বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বুননো পোশাক প্রস্তুতকারী দেশ
৭ এপ্রিল ২০১১বাংলাদেশ নিটওয়্যার বা বুননো পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সংস্থা বিকেএমইএ জানিয়েছে, ২০১০ সালে বাংলাদেশ ৭.৭৮ বিলিয়ন পিস বুননো পোশাক রপ্তানি করেছে৷ অন্যদিকে তুরস্ক রপ্তানি করেছে ৭.৭৪ বিলিয়ন পিস৷ বিকেএমইএ-এর প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস পত্রিকাটিকে বলেন, ‘‘দ্বিতীয় বৃহত্তম নিটওয়্যার প্রস্তুতকারী দেশ হিসেবে আমরা তুরস্কের স্থানটি দখল করে নিয়েছি গত বছরে৷ রপ্তানির পরিমাণ বা সংখ্যা অনুযায়ি চীনের পরেই আমরা এখন দ্বিতীয় বৃহত্তম বুননো পোশাক প্রস্তুতকারী দেশ৷''
রহমান বলেন, ‘‘তবে রপ্তানিকৃত বুননো পোশাকের মূল্যের দিক দিয়ে তুরস্ক এখনও বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে৷ গত বছরে তুরস্কের রপ্তানিকৃত বুননো পোশাকের মূল্য ছিল ৬.৯২ বিলিয়ন ডলার৷ আর বাংলাদেশের রপ্তানিকৃত বুননো পোশাকের মূল্য ৬.১৯ বিলিয়ন ডলার৷'' তিনি বলেন, ‘‘আমাদের পোশাক রপ্তানি চলতি অর্থ বছরে শতকরা ৪০ ভাগ বেড়েছে৷ যা অত্যন্ত উৎসাহজনক৷ বাড়ার এই হার যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে আগামী অর্থ বছরে আমরা মূল্যের দিক দিয়েও তুরস্ককে ছাড়িয়ে যাবো৷'' হাবিবুর রহমান বলেন,‘‘তুরস্কের তৈরী পোশাকে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে স্পোর্টসওয়্যারের মতো বিভিন্ন উচ্চ মূল্যের পণ্য, যা পশ্চিমা ফ্যাশনের অনুকুল৷ অন্যদিকে বাংলাদেশ মূলত কাজ করে টি-শার্ট-এর মত স্বল্প মূল্যের পণ্য নিয়ে৷'' তিনি বলেন, ‘‘আমরা পোশাক প্রস্তুতকারী ব্যবসায় এসেছি ১৯৯০-এর দশক থেকে৷ আর তুরস্কের একটি প্রধান পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কাজ করছে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর থেকে৷'' তিনি বলেন, খুব বেশি শ্রম মূল্যের কারণে তারা স্বল্প মূল্যের অর্ডার গ্রহণ করে না৷
পত্রিকার ঐ প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তুরস্কও বাংলাদেশের জন্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পোশাক বাজারে পরিণত হয়েছে৷ ২০০৯ সালে শতকরা ৬৫ ভাগ শিপমেন্ট করা হয়েছে সেখানে, যার মূল্য ১০৮ মিলিয়ন ডলার৷
অন্যদিকে চীন দখল করে রেখেছে বিশ্বের নিটওয়্যার বাজারে একনম্বর স্থানটি৷ বিশের ৫শ বিলিয়ন ডলার মূল্যের নিটওয়্যার বাণিজ্যের প্রায় অর্ধেক পণ্য আসে চীন থেকে৷
প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী