1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে প্রতি দুজন নারীর মধ্যে একজন নির্যাতনের শিকার

২৪ মার্চ ২০০৯

বাংলাদেশে প্রতি দুজন নারীর মধ্যে একজন নিয়মিত গৃহ নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ৷ এর মূল কারণ হিসেবে নিজদের অধিকার সম্পর্কে মেয়েদের অজ্ঞতাকেই দায়ী করা হয়৷

https://p.dw.com/p/HIZS
ছবি: DW/Peter Koppen

এছাড়া স্ত্রীদের প্রতি স্বামীদের অসম্মানসূচক আচরণও বিশাল একটি ভূমিকা পালন করছে বলে অনেকে মনে করেন৷ সম্প্রতি বাংলাদেশে পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট নামক একটি সংগঠন ঢাকাস্থ প্রেস ক্লাবের সামনে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন৷ প্রেস ক্লাবের সেই সভার মূল বিষয় ছিল বাংলাদেশে গৃহ নির্যাতন৷

বক্তারা অনেকেই আক্ষেপের সঙ্গে জানান, বাংলাদেশের বেশির ভাগ নারীই তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন নয়৷ তাদের প্রতি সমাজের দায়িত্ব বা কর্তব্য কি হওয়া উচিৎ তা তারা জানেই না৷ তাদের স্বামীরাও অনেকে তাদের অবহেলা করে, স্ত্রীদের অধিকার নিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদেরও কোন মাথাব্যাথা নেই, দায়িত্ববোধ নেই৷ যে কারণে প্রতি দুজন বিবাহিত নারীর মধ্যে একজন গৃহ নির্যাতনের শিকার হচ্ছে৷

তারা আরও জানান শুধু বাংলাদেশে নয়, গৃহ নির্যাতন ছড়িয়ে পড়েছে দক্ষিণ এশিয়ার অন্তত ছয়টি দেশে৷ ভারত, নেপাল এবং আফগানিস্তানে গৃহ নির্যাতন বেড়েছে আগের চেয়ে অনেক বেশি৷ পরিবারের ভিতরে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে কেউ কেউ বেছে নেয় আত্মহত্যার পথ৷ তাদের ওপর চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন৷ তাদের মেরে ফেলা হয় বা এসিড নিক্ষেপ করে সারাজীবনের জন্য পঙ্গু করা হয়৷

বাংলাদেশে গত বছর গৃহনির্যাতন জনিত কারণে অন্তত ৫৮০ জন নারী মারা গেছে বলে প্রকাশ৷ প্রায় তেরশ গৃহ নির্যাতনের ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে৷ গৃহে নির্যাতন কমাতে আন্তর্জাতিক এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রায় সাড়ে তিনশ এন জি ও শুরু করেছে প্রচারাভিযান৷ সারা দেশের প্রায় ৪৮টি জেলায় এই কাজ শুরু করা হয়েছে৷ এই প্রচারাভিযানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বা এ নিয়ে কাজ করছে প্রায় ৩ কোটি মানুষ৷

পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোটের প্রধান সুলতানা কামাল জানান, পৃথিবীতে যে সব দেশে গৃহ নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে বাংলাদেশ তাদের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে৷ সারা দেশ থেকে আরো প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ গৃহ নির্যাতন বন্ধ করতে অঙ্গীকার বদ্ধ৷

তিনি বেশ জোর দিয়েই বলেন, অমানুষিক এবং অমানবিক এই আচরণ বন্ধ করতে সমাজের ছোট-বড় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে৷ সরকারকে আরো কঠোর কিছু আইন প্রণয়ন করতে হবে৷ আমাদের প্রয়োজন এমন কিছু আইন যা দিয়ে নারীদের অধিকার সত্যিকার অর্থে আদায় সম্ভব হবে, ফিরিয়ে আনা যাবে তাদের সম্মান, বলেন সুলতানা কামাল৷ সমাজে তারা শুধু নারী হয়ে বেঁচে থাকবে না বেঁচে থাকবে মানুষ হয়ে, আত্নসম্মান নিয়ে, মাথা উঁচু করে৷ শুধুমাত্র এভাবেই গৃহ নির্যাতন প্রতিরোধ করা সম্ভব৷

প্রতিবেদক: মারিনা জোয়ারদার, সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারুক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান