1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ত্রুটিপূর্ণ পোশাক কারখানা

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৫ জুন ২০১৪

ত্রুটিপূর্ণ পোশাক কারখানা বন্ধে রাজি হচ্ছে না সরকার৷ শ্রমিকদের কাজ হারানো এবং অসন্তোষকে বিবেচনায় নিয়ে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ পোশাক কারখানার প্রধান পরিদর্শক সাঈদ আহমেদ জানিয়েছেন, কারখানা বন্ধের বিষয়টি খুবই জটিল৷

https://p.dw.com/p/1CCeZ
Bangladesch Gedenken Textilfabrik Katastrophe
প্রতীকী ছবিছবি: picture-alliance/AP

গত বছরের ২৪শে এপ্রিল বাংলাদেশের সাভারে রানা প্লাজা ধসে ১,১৩৪ জন শ্রমিক নিহত হওয়ার পর বাংলাদেশের পোশাক কারখানার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে৷ প্রশ্ন ওঠে এর অবকাঠামো এবং বিদ্যুৎ ও অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে৷ এর পর বাংলাদেশ সরকার এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা-আইএলও-র উদ্যোগে বাংলাদেশের ৩,৫০০ পোশাক কারখানার ভবন, বিদ্যুৎ ও অগ্নিসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনের উদ্যোগ নেয়া হয়৷ এর মধ্যে একই ভবনে যৌথভাবে স্থাপিত ১,৫০০ কারখানা পরিদর্শনের দায়িত্ব পড়ে বাংলাদেশ সরকারের ওপর৷

বাংলাদেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কারখানা পরিদর্শকরা এরই মধ্যে ২৫০টি কারখানা পরিদর্শন করেছেন৷ কিন্তু তাঁরা কোনো প্রতিবেদনই প্রকাশ করেননি৷ উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের একটি গ্রুপ ৬৮০টি কারখানা পরিদর্শনের কাজ করছেন৷ তাঁরা এরই মধ্যে ২৭টি কারখানার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন ছবিসহ৷ তাঁদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ সব কারখানার ভবন, বিদ্যুৎ এবং অগ্নি নিরাপত্তা পুরোটাই ত্রটিপূর্ণ৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্রেতাদের জোট ১,৫৪৫টি কারখানা পরিদর্শন শেষ করে ১০টি কারখানার ওপর ছবিসহ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷ তা থেকে স্পষ্ট যে প্রতিটি কারখানারই ভবনসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ৷ এ সব কারখানা সংস্কার প্রয়োজন৷

অ্যাকর্ড বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কারখানা পরিদর্শনের কাজ করছে৷ অ্যাকর্ড-এর পরিদর্শক দলের প্রধান ব্র্যাড লোয়েন অভিযোগ করেছেন, ‘‘বাংলাদেশের পোশাক কারখানার প্রধান পরিদর্শক অনিরাপদ পোশাক কারখানা বন্ধে রাজি হচ্ছেন না৷ এটা আমাদের জন্য খুবই বিব্রতকর৷'' প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তারা আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থার সঙ্গে বসবেন৷ তাঁদের মতে, অ্যাকর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী ত্রুটির্পূর্ণ পোশাক কারখানা বন্ধ করা হলে তা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে৷ তাঁদের মতে, তাঁদের পরিদর্শনে ৫০ ভাগের মতো পোশাক কারখানা ত্রুটিপূর্ণ৷

ওদিকে পোশাক কারখানার প্রধান পরিদর্শক সাঈদ আহমেদ বলেছেন, ‘‘ত্রুটিপূর্ণ পোশাক কারখানা বন্ধ করাটা খুবই জটিল৷ আমরা এরই মধ্যে ১৪টি পোশাক কারখানা বন্ধ করেছি৷ আরো কয়েকশ ত্রুটিপূর্ণ পোশাক কারখানা বন্ধ করা হলে শ্রমিকরা কাজ হারাবেন৷ শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিতে পারে৷ এরই মধ্যে ১০ হাজার শ্রমিক কাজ হারিয়েছে৷''

বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম রনি ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘পোশাক কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটান প্রয়োজন৷ তবে তার জন্য পদ্ধতি নির্ধারণ করতে হবে৷ শ্রমিকরা কাজ হারায় এমন কোনো সিদ্ধান্ত শ্রমিক এবং পোশাক শিল্পের ক্ষতি ডেকে আনবে৷'' তিনি বলেন, ‘‘যে সব পোশাক কারখানার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন সেগুলো শেয়ারড ভবনে৷'' বন্ধ না করে বিকল্প কোনো ভাবে এ সব কারখানার নিরাপত্তার উন্নয়ন করা যায় কিনা, তা ভেবে দেখার কথা বলেন তিনি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য