1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চোখ দিল্লির দিকে

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৭ মে ২০১৪

নরেন্দ্র মোদীর নতুন সরকার এখন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে কোন নীতি গ্রহণ করে, তাই নিয়েই চলছে আলোচনা৷ রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক, সাধারণ মানুষ কেউ আলোচনার বাইরে নেই৷ যেন সবার চোখই এখন দিল্লির দিকে৷

https://p.dw.com/p/1C7DH
Indien Vereidigung Premierminister Narendra Modi 26.5.2014
নরেন্দ্র মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানছবি: Reuters

নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ বাংলাদেশে একটি বড় খবর৷ তাই সোমবার সন্ধ্যার সেই অনুষ্ঠান এবং তার খবর জানার আগ্রহও ছিল বেশ৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও সাধারণ মানুষ এ নিয়ে কথা বলেছেন, মন্তব্য করেছেন সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে৷ একই সঙ্গে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে ঢুঁ মেরেছেন তাঁরা খবর জানতে৷ বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমও এ নিয়ে সর্বশেষ খবর পরিবেশনে ছিল ব্যস্ত৷

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক ড. শান্তনু মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এই আগ্রহ স্বাভাবিক৷ ভারত আমাদের সবচেয়ে বৃহৎ এবং ক্ষমতাধর প্রতিবেশী৷ এছাড়া কংগ্রেসের পর বিজেপি ক্ষমতায় আসায় এই আগ্রহ বেড়ে গেছে৷ কারণ নতুন একটি দল ভারতের ক্ষমতায় এসেছে৷ তাই দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন কোনো অবস্থা সৃষ্টি হবে কিনা – সে প্রশ্ন আছে অনেকের মনেই৷’’

‘‘তবে প্রশ্ন এবং সংশয় যাই থাকুক না কেন, এটা একটি অমোঘ সত্য যে আমরা চাইলেই প্রতিবেশী পরিবর্তণ করতে পারব না৷ তাই আমরা চাই বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সমতার ভিত্তিতে সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে উঠুক৷’’

শান্তনু মজুমদার বলেন, ‘‘মোদী সরকার বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কী পদক্ষেপ নেয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়৷ তিস্তার পানি, সীমানা চিহ্নিতকরা, সীমান্ত হত্যা বন্ধ – এই বিষয়গুলো অনেক দিন ধরে ঝুলে আছে৷ নতুন সরকার তা ঝুলিয়ে রাখবে না সমাধান করবে – তা আমাদের জানা দরকার৷’’
তাঁর মতে, ‘‘ভারতের নতুন সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের সরকারের আদর্শিক দূরত্ব থাকতে পারে৷ তবে তা সৎ প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্কের পথে বাধা হওয়া উচিত নয়৷’’

অন্যদিকে সাবেক রাষ্ট্রদূত এবং কূটনীতিক কাজী আনোয়ারুল মাসুদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের একটা ধারাবাহিকতা আছে৷ আছে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট৷ দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্কও বহুমাত্রিক৷ তাই সম্পর্কের ধারাবাহিকতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক৷ কিন্তু তারপরও নতুন সরকারের সিদ্ধান্ত এবং কাজ না দেখে আগাম কোনো মন্তব্য করা কঠিন৷’’

তিনি বলেন, ‘‘ভারতের নতুন এই সরকারটির রাজনৈতিক আদর্শ আগের সরকারের থেকে ভিন্ন৷ কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের নীতি ভিন্ন হবে কিনা – তা বলার সময় এখনো আসেনি৷’’ তাই তিনি জানান, ‘‘শুধু রাজনীতিবিদরাই নয়, কূটনীতিক এবং বিশ্লেষকরাও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন৷ তাঁরা বোঝার চেষ্টা করছেন ভারতে সরকার পরিবর্তন কতটা গুণগত আর কতটা প্রচারণামূলক৷’’

আনোয়ারুল মাসুদের কথায়, ‘‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের কতগুলো ‘কমন’ ইস্যু আছে৷ পানি, সীমান্ত, নিরাপত্তা, বণিজ্য – এ সব৷ আর এই সব ইস্যুই হবে সম্পর্কের নিয়ামক৷ কারণ এই ইস্যুগুলোর সঙ্গে নাগরিকরা সরাসরি জড়িত৷ এর মাধ্যমে ভোটের হিসাব হয়৷ মোদী যেমন ভোটের হিসাব করেছেন৷ বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরাও তাই করেন৷’’

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য