‘দ্য নিউলিওয়েডস’
২৫ মে ২০১২একটি অনলাইন ডেটিং ওয়েবসাইটে পরিচয়, এরপর ভালোবাসা এবং শেষমেষ বিয়ে৷ বর্তমানে, মানে ইন্টারনেটের যুগে এধরনের ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে৷ এর মধ্যে আবার নতুন কী খুঁজে পেলেন মার্কিন লেখিকা নেল ফ্রয়ডেনবার্জার? এমন প্রশ্ন যারা করছেন, তাদের জন্য উত্তর হচ্ছে, এখানে নায়ক-নায়িকার মধ্যকার দূরত্ব কয়েক হাজার মাইল৷ সেটাও হয়ত মানা যেতে পারে৷ কিন্তু তারপরের বিষয়টি হচ্ছে, দু'জন আবার সম্পূর্ণ ভিন্ন সংস্কৃতিতে এবং পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন৷ একজন বাংলাদেশি মুসলিম, নাম আমেনা৷ অন্যজন জর্জ, তাঁর বাড়ি নিউ ইয়র্ক রাজ্যের রচেস্টারে৷
এই দুই ভিন্ন সংস্কৃতির নর-নারীর প্রেমের সম্পর্ককে উপজীব্য করে উপন্যাস লিখেছেন ফ্রয়ডেনবার্জার৷ নাম, ‘দ্য নিউলিওয়েডস'৷ এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আপনি কাউকে কতটা ভালোবাসেন সেটা আসলে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়৷ আসল কথা হচ্ছে, একজন মানুষের সঙ্গে দিনের পর দিন বসবাস করা এবং সন্তান লালন করা৷'' তিনি বলেন, ‘‘আমি মনে করি এটা সব বিয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, সেটা অভিভাবক দ্বারা নির্ধারিত কিংবা ইন্টারনেটে পরিচয়ের ভিত্তিতে অথবা ভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে - যেভাবেই হোক না কেন৷''
বিমানে নিউ ইয়র্ক সিটি থেকে রচেস্টারে যাওয়ার পথে একটি দৃশ্য নজর কাড়ে ফ্রয়ডেনবার্জার'এর৷ মার্কিন স্বামীর হাত ধরে বসে আছে এক বাংলাদেশি তরুণী৷ তিনি আগ্রহী হয়ে উঠেন তাদের সম্পর্ক নিয়ে৷ কথা বলেন তরুণীর সঙ্গে৷ তাঁর নাম ফারাহ দিবা মুন্নি৷ এই মুন্নিই হচ্ছে ফ্রয়ডেনবার্জার'এর উপন্যাসের আমেনা৷ তিনি অবশ্য মুন্নি'র জীবনের ভিত্তিতে এই বই লেখার আগে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়েছিলেন৷ এমনকি মুন্নির সঙ্গে বাংলাদেশও সফর করেছেন তিনি৷
ফ্রয়ডেনবার্জার'এর উপন্যাসের একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে বাংলাদেশে আমেনার সংগ্রামের কথা৷ উপন্যাসের এই নায়িকা তাঁর বাবা-মাকে মার্কিন মুল্লুকে নিয়ে আসতে চেয়েছেন৷ বিদেশি স্বামীকে যাতে পরিবার মেনে নেয়, সেজন্য তিনি বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেছেন৷ এমনকি অ্যাসিড হামলার মত বিষয়ও চলে এসেছে ঘটনাপ্রবাহে৷
ফ্রয়ডেনবার্জার'এর এই উপন্যাস যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে৷ মেয়েদের ম্যাগাজিন ‘এল' লিখেছে, এটি ঘন বুনটের সুন্দর উপন্যাস৷ লেখক গ্যারি শাইটেনগার্ট বলেছেন, ‘আমাদের তরুণ শতাব্দীর অন্যতম বিশ্বাসযোগ্য ভালোবাসার গল্প এটি'৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম (রয়টার্স)
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন