1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংকার বিধ্বংসী নতুন বোমা তৈরী করছে পেন্টাগন

৪ আগস্ট ২০০৯

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মাটির অনেক নীচে থাকা বাংকার ধ্বংসের জন্য আরো শক্তিশালী বোমা তৈরী করতে যাচ্ছে৷ মূলত: উত্তর কোরিয়া এবং ইরানের ভূগর্ভস্থ পরমাণু কারখানাগুলোকে সামনে রেখে এই নতুন বোমা তৈরীর প্রকল্প হাতে নিয়েছে পেন্টাগন৷

https://p.dw.com/p/J34G
মার্কিন বাহিনীর তৈরী এই বোমাটির নাম জিবিইউ ৪৩/বি, এর ওজন ২১ হাজার পাউন্ড

পেন্টাগনের এই প্রকল্পের নাম ম্যাসিভ অর্ডিন্যান্স পেনেট্রেটর বা এমওপি৷ মাটির অনেক নীচে থাকা বাংকার ধংসের জন্য আরো কার্যকর বোমা তৈরী করতে ২০০৪ সাল থেকে পেন্টাগন নতুন প্রকল্প হাতে নেয়৷ পেন্টাগনের মুখপাত্র ব্রায়ানা হুইটম্যান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, যে ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের জন্য কংগ্রেসের কাছে অর্থ চাওয়া হয়েছে৷ তিনি বলেন, এই বছরের মধ্যেই যাতে বোমা তৈরী শুরু করা যায় সেজন্য ৬৮ মিলিয়ন ডলার চাওয়া হয়েছে৷ এটা অনুমোদিত হলে আমাদের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাবে৷

নতুন বোমার ওজন হবে ৩০,০০০ পাউন্ড বা ১৩,৬০০ কিলোগ্রাম৷ বোমাটি ২৪০০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত বিস্ফোরক বহন করতে সক্ষম৷ মার্কিন বিমান বাহিনীর অন্যতম বোমারু বিমান বি-২ বোমারু বিমান থেকে এই বোমা ফেলা হবে৷ উল্লেখ্য, বি-২ বোমারু বিমানটি রাডারকে ফাঁকি দিতে সক্ষম৷ নতুন এই বোমার ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা এত বেশি যে তা মাটির ২০০ ফুট নীচে থাকা কংক্রিটের বাংকারকেও গুঁড়িয়ে দিতে পারবে৷

মনে করা হচ্ছে ইরান এবং উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচীকে লক্ষ্য করেই নতুন এই অস্ত্র তৈরী করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র৷ উল্লেখ্য, দুইটি দেশের পরমাণু কারখানা মাটির অনেক নীচে অবস্থিত৷ তবে ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলেও কোন কিছু বলতে রাজি হননি পেন্টাগনের মুখপাত্র ব্রায়ান হুইটম্যান৷ তবে উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারে তিনি এতটুকু বলেছেন যে পিয়ংইয়ং ভূগর্ভস্থ কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে তারা তাদের কর্মকান্ডকে লুকিয়ে রাখতে চাচ্ছে৷ উল্লেখ্য, যদি এমওপি প্রকল্প সফল হয় তাহলে এটাই হবে মার্কিন সেনাবাহিনীর সবচেয়ে ভয়াবহ মারণাস্ত্র৷

প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: দেবারতি গুহ