1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাঁধ বিরোধ - কেরালা বনাম তামিলনাড়ু

২ ডিসেম্বর ২০১১

ভারতের দক্ষিণী রাজ্য কেরালার মুল্লারপেরিয়ার বাঁধ নিয়ে পার্শ্ববর্তী রাজ্য তামিলনাড়ুর সঙ্গে কেরালার বিরোধ এখন তুঙ্গে৷ কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চেয়ে আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী ও তামিলনাড়ুর সাংসদরা৷

https://p.dw.com/p/13LTf
টিপাইমুখ বাঁধ নিয়েও চলছে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ (ফাইল ফটো)ছবি: Bdnews24.com

কেরালার মুখ্যমন্ত্রী ওমেন চন্ডী নিরাপত্তার যুক্তি দেখিয়ে রাজ্যের ১১৬ বছরের পুরানো মুল্লাইপেরিয়ার বাঁধ নতুন করে তৈরি করতে কেন্দ্রের সমর্থন আদায় করতে আজ প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং এবং জোট সরকারের চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন৷ তাঁর যুক্তি, ভূমিকম্প হলে এই পুরানো বাঁধ তার ধকল সহ্য করতে পারবেনা৷ জানমালের বিপুল ক্ষয়ক্ষতির কথা ভেবে রাজ্যের সাধারণ মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে৷ কেরালা সরকার নিরাপত্তার ঝুঁকি নিতে রাজি নয়৷

মুখ্যমন্ত্রী ওমেন চন্ডী ১০০ বছর বা তার বেশি পুরানো বাঁধগুলি পরিদর্শন করে অবিলম্বে আশু ব্যবস্থা নেবার অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রীকে৷তিনি বলেন, রাজ্যের প্রয়োজনের কথা বলেছি৷ তবে তামিলনাড়ুকে তার প্রাপ্য জল সর্বদাই দিতে রাজি৷ তামিলনাড়ুর জন্য জল কেরালার জন্য সুরক্ষা৷

অন্যদিকে তামিলনাড়ুর সাংসদরাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এর সন্তোষজনক সমাধানের জন্য তাঁর হস্তক্ষেপ চান৷ তাঁরা সংসদের স্পীকার মীরা কুমারের সঙ্গে দেখা করে বাঁধের অবস্থা পরিদর্শনের জন্য এক সংসদীয় দল পাঠাবার অনুরোধ করেন৷ আলোচনার মাধ্যমে দুই রাজ্যের এই সমস্যা যাতে মিটিয়ে ফেলা যায় তার জন্য জলসম্পদ মন্ত্রণালয়কে এক বৈঠক ডাকতে বলেন প্রধানমন্ত্রী৷

কেরালার মুখ্যমন্ত্রী বাঁধের জলাধারে জলের মাত্রা কমিয়ে ১২০ ফুট করার জন্য তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতাকে চিঠি দেন৷ বলেন এটাই জনমনের আতঙ্ক প্রশমিত করার প্রথম পদক্ষেপ৷

পাল্টা উত্তরে জয়ললিতা জলের মাত্রা বাড়ানোর জন্য বাঁধের উচ্চতা ১৩৬ ফুট থেকে বাড়িয়ে ১৪২ ফুট করার কথা বলেছেন যাতে সেচের কাজে তামিলনাড়ু প্রয়োজনীয় জল পায়৷ জয়ললিতা কেরালা সরকাকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, জনসাধারণের মনে যেন অহেতুক আতঙ্ক সৃষ্টি করা না হয়৷ বাঁধের আশপাশে কয়েকবার ভূমিকম্প হয়েছে কিন্তু বাঁধের কোন ক্ষতি হয়নি৷ আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে জয়ললিতা আদালতে মামলা করেন৷

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে মুল্লাপেরিয়ার বাঁধ পরীক্ষা করে রুরকির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনলজির বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভূকম্পনের তীব্রতা যদি ৬.৪-এর বেশি হয়,তাহলে বাঁধ টিকবেনা৷ মুল্লায়ার ও তার শাখানদী পেরিয়ারের ওপর নির্মিত এই বাঁধ কেরালায় কিন্তু জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে তামিলনাড়ু৷ জলপ্রবাহ তামিলনাড়ুর দিকে হওয়ায় সিংহভাগ জল পায় তামিলনাড়ু৷ কেরালার আপত্তি সত্ত্বেও সব সুফল পায় তামিলনাড়ু৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য