1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বর্ণভেদের সমাধান খুঁজছে ব্রিটেন

আনিয়া কুপারস-ম্যাককিনন/এপিবি৪ অক্টোবর ২০১৩

ভারতের বর্ণ বৈষম্য বা জাতিভেদ প্রথা নিয়ে আইন তৈরি করার জন্য নড়েচড়ে বসেছে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ৷ এ বিষয়ে আইন করার চিন্তাভাবনা হলেও ২০১৫ সালের আগে তা সম্ভব নয়৷ কিছু ব্রিটিশ ভারতীয় অবশ্য মনে করেন, এমন আইনের দরকারই নেই৷

https://p.dw.com/p/19tOU
Caste Discrimination / Kasten Diskriminierung Inder Grossbritannien Anti Caste discrimination protesters, UK Bildbeschreibung: Protestors in front of Parliament and Big Ben in London Tags: caste, London, Indians UK, Britain, discrimination, equality, protest, law, Schlagworte: Kaste, Inder in Grossbritannien, England, Diskriminierung, Einwanderer, Anti Diskrimkinierungs Gesetz Name of photographer: Ravi Kumar When: 4 September, 2013 Where: Central London, Parliament Square Description: Protest by the Anti-Caste Discrimination Alliance on the occasion of the return of Parliament to session. Rechteeinräumung: Der Fotograf Ravi Kumar hat alle Online Rechte der Welle übertragen.
ছবি: Ravi Kumar

ভারতে জাতিভেদ প্রথা এখনও বহাল৷ কর্ম ও শিক্ষাক্ষেত্র থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি স্তরেই এই ভেদাভেদ লক্ষ্যণীয়৷ কিন্তু দেশের বাইরেও এই ভেদাভেদ থেমে নেই৷ ব্রিটেনের রাম ধারিভালের কাহিনিই তার অন্যতম উদাহরণ৷ ব্রিটেনে আইটি পেশায় কাজ করতে গিয়ে হয়রানির মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁকে৷ অফিসের একটি বৈঠকে নতুন একজন ভারতীয় সহকর্মী তাঁকে তাঁর জাতি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন এবং তিনি দলিত হওয়ায় তথাকথিত ‘অচ্ছুত' বলে উল্লেখ করেন৷ তখন নিজেকে ভীষণ ছোট মনে হয়েছিল ধারিভালের৷

তাঁর মতো অনেকেই এ অভিজ্ঞতার শিকার৷ ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ সম্প্রদায়ের মধ্যে এই ভেদাভেদ বেড়েই চলেছে৷ এ কারণে ব্রিটেনের আইন প্রণেতারা এ বিষয়ে শক্ত পদক্ষেপ নেয়ার কথা ভাবছেন৷ এ বছরই যুক্তরাজ্যের ‘অ্যান্টি-ডিস্ক্রিমিনেশন ইকুয়ালিটি অ্যাক্ট' বদলানোর উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁরা৷ তবে সমালোচকরা বলছেন, এর ফলে জাতিভেদ আরো প্রকট হবে এবং সমস্যাটা ছোট থেকে বড় হয়ে উঠবে৷

রাম ধারিভাল ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, উচ্চ জাতের ব্রিটিশ ভারতীয়রা নিজেদের উঁচু জাতের দোহাই দিয়ে বেশ গর্ব বোধ করেন৷ যুক্তরাজ্যের হিন্দু ফোরামের সদস্য ভারতী টেইলর জানান, এই আইনের ফলে আরো বেশি মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন হবেন৷ এর ফলে ভেদাভেদ আরো বেড়ে যাবে এবং পুরোনো ক্ষতকে আরো বাড়িয়ে দেবে এ আইন৷

জাতিভেদ সংক্রান্ত অন্তত ২৪টি ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করেছে আইন প্রণেতা হিলারি মেটকাফ ও তাঁর এক সহকর্মী৷ সেসব রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে জাতিভেদের কারণে কতজন ভারতীয় চাকরিচ্যুত হয়েছেন বা কত শিশু স্কুল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে৷

রিপোর্টে তিনি লিখেছেন, নীচু জাতের মানুষদের শক্তিশালী করতে এবং তাদের অধিকারের জন্য ‘অ্যান্টি কাস্ট ডিস্ক্রিমিনেশন' আইন নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন৷ তবে ২০১৫ সালের আগে সেটা করা সম্ভব নয় বলে জানান মেটকাফ৷

ভারতী টেইলরের কথায় অবশ্য, এই আইন যে আসলে দরকার নেই, সেটা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করতে দু'বছর অনেক সময়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য