বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চুড়ান্ত রায় ১৯শে নভেম্বর
১২ নভেম্বর ২০০৯শেষ দিন সকালে আসামী পক্ষের আইনজীবী খান সাইফুর রহমান ও রেজ্জাক খান জবাব দান পর্বে বক্তব্য রাখেন৷ জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই মামলায় ন্যায় বিচারের প্রত্যাশা করেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌসুলী এডভোকেট আনিসুল হক৷
শুনানি শেষ হওয়ার মুহুর্তে এটর্নী জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতে বলেন, অনেক মরুভূমির মধ্যে আমরা হেঁটেছি, এখন মনে হচ্ছে বিচারালয় মরুদ্যান৷
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের নৃশংস হত্যাকান্ডে এই মামলার অন্যতম কৌসুলি ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসও তার বাবা-মাকে হারান৷ তিনি বলেন, জাতি তার প্রতীক্ষিত রায় হয়তো পেতে যাচ্ছে৷
আসামীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট খান সাইফুর রহমান জানান, তাঁরা তাদের মক্কেলের পক্ষে আইনগত পয়েন্টে শেষ দিন পর্যন্ত লড়াই করেছেন৷ এখন অপেক্ষা করছেন রায়ের জন্য৷
'৭৫ এর ১৫ আগষ্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনীদের দায় মুক্তি দিয়ে ষড়যন্ত্রের মূল হোতা খন্দকার মোশতাক ১৯৭৫ সালেই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারী করেছিল৷ ১৯৯৬ সালে ১২ই নভেম্বর সংসদে এই কুখ্যাত অধ্যাদেশ বাতিল করা হয়৷
ধানমন্ডি থানায় মামলা হয় ১৯৯৬ সালের ২রা অক্টোবর৷ চার্জশীট হয় ১৯৯৭ সালের ১৫ জানুয়ারি৷ ২০ জন আসামীর মধ্যে ১৫ জনকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়ে নিম্ন আদালত রায় ঘোষণা করে ১৯৯৮ সালের ৮ই নভেম্বর৷
এর পর ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে ২০০০ সালের ১৪ই ডিসেম্বর হাইকোর্ট দ্বিধাবিভক্ত রায় দেয়৷ বিচারপতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ১৫ জনের মধ্যে ১০জনের ফাঁসির আদেশ বহাল রেখে ৫ জনকে খালাস দেন৷ বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ১৫ জনেরই মৃত্যুদন্ড বহাল রাখেন৷ পরে তৃতীয় বিচারপতি মো: ফজলুল করিম ১২ জনের মৃত্যুদন্ডাদেশ বহাল রাখেন৷ গত ৫ই অক্টোবর থেকে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চুড়ান্ত আপিল শুনানি শুরু হয়৷ বৃহস্পতিবার ২৯তম দিনে শুনানি শেষ হওয়ার পর আগমি ১৯শে নভেম্বর বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করে আদালত৷
প্রতিবেদক: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার