1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চুড়ান্ত রায় ১৯শে নভেম্বর

১২ নভেম্বর ২০০৯

দীর্ঘ তের বছরের পথ পরিক্রমা শেষে সর্বোচ্চ আদালতে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আপীল শুনানি শেষ হল৷ রায় হবে ১৯ শে নভেম্বর৷ বৃহস্পতিবার এটর্নী জেনারেল এডভোকেট মাহবুবে আলমের বক্তব্যের মধ্য দিয়েই ২৯তম দিনে আপিল শুনানি শেষ হয়৷

https://p.dw.com/p/KVQS
ফাইল ফটোছবি: dpa

শেষ দিন সকালে আসামী পক্ষের আইনজীবী খান সাইফুর রহমান ও রেজ্জাক খান জবাব দান পর্বে বক্তব্য রাখেন৷ জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই মামলায় ন্যায় বিচারের প্রত্যাশা করেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌসুলী এডভোকেট আনিসুল হক৷

শুনানি শেষ হওয়ার মুহুর্তে এটর্নী জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতে বলেন, অনেক মরুভূমির মধ্যে আমরা হেঁটেছি, এখন মনে হচ্ছে বিচারালয় মরুদ্যান৷

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের নৃশংস হত্যাকান্ডে এই মামলার অন্যতম কৌসুলি ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসও তার বাবা-মাকে হারান৷ তিনি বলেন, জাতি তার প্রতীক্ষিত রায় হয়তো পেতে যাচ্ছে৷

আসামীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট খান সাইফুর রহমান জানান, তাঁরা তাদের মক্কেলের পক্ষে আইনগত পয়েন্টে শেষ দিন পর্যন্ত লড়াই করেছেন৷ এখন অপেক্ষা করছেন রায়ের জন্য৷

'৭৫ এর ১৫ আগষ্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনীদের দায় মুক্তি দিয়ে ষড়যন্ত্রের মূল হোতা খন্দকার মোশতাক ১৯৭৫ সালেই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারী করেছিল৷ ১৯৯৬ সালে ১২ই নভেম্বর সংসদে এই কুখ্যাত অধ্যাদেশ বাতিল করা হয়৷

ধানমন্ডি থানায় মামলা হয় ১৯৯৬ সালের ২রা অক্টোবর৷ চার্জশীট হয় ১৯৯৭ সালের ১৫ জানুয়ারি৷ ২০ জন আসামীর মধ্যে ১৫ জনকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়ে নিম্ন আদালত রায় ঘোষণা করে ১৯৯৮ সালের ৮ই নভেম্বর৷

এর পর ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে ২০০০ সালের ১৪ই ডিসেম্বর হাইকোর্ট দ্বিধাবিভক্ত রায় দেয়৷ বিচারপতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ১৫ জনের মধ্যে ১০জনের ফাঁসির আদেশ বহাল রেখে ৫ জনকে খালাস দেন৷ বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ১৫ জনেরই মৃত্যুদন্ড বহাল রাখেন৷ পরে তৃতীয় বিচারপতি মো: ফজলুল করিম ১২ জনের মৃত্যুদন্ডাদেশ বহাল রাখেন৷ গত ৫ই অক্টোবর থেকে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চুড়ান্ত আপিল শুনানি শুরু হয়৷ বৃহস্পতিবার ২৯তম দিনে শুনানি শেষ হওয়ার পর আগমি ১৯শে নভেম্বর বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করে আদালত৷

প্রতিবেদক: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার