‘বই পড়ুন, দৃষ্টি প্রসারিত করুন’ | পাঠক ভাবনা | DW | 23.04.2013
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘বই পড়ুন, দৃষ্টি প্রসারিত করুন’

‘এ রিডার লিভস এ থাউজেন্ড লাইভস বিফোর হি ডাইজ, দ্য ম্যান হু নেভার রিডস লিভস ওনলি ওয়ান’- জর্জ আর মার্টিন৷ আজ ২৩শে এপ্রিল বিশ্ব পুস্তক ও কপিরাইট দিবস৷ বই ছাড়া জীবন উদ্দেশ্যবিহীন৷

এই বিশেষ দিনটিকে স্মরণ করতে আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে আমাদের জীবনে বই পড়ার অভ্যাসকে চিরদিনের সঙ্গী করে নেওয়ার, ছোট বড় সকলকে পড়ার প্রতি আগ্রহ করে তোলার৷ তাই আসুন, আমরা সকলে মিলে এই দিনটিকে পালন করার মধ্য দিয়ে আমাদের জ্ঞানের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করি, মনকে পরিপূর্ণভাবে বিকশিত করে তুলি৷ ভালো হয় যদি এই উপলক্ষ্যে ডয়চে ভেলে একটি ছোট্ট পরিবেশনা উপহার দেয়৷

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের নির্বাচিত হওয়ার খবরটি ডয়চে ভেলের ওয়েবপেজ থেকেই প্রথম পেলাম৷ নতুন রাষ্ট্রপতির জন্য রইলো আমাদের শুভেচ্ছা৷

‘মলদোভার নিঃসঙ্গ শিশুরা' – এ নিয়ে ছবিঘরটি দেখে জানতে পারলাম পূর্ব-ইউরোপের এই দরিদ্র দেশটির পারিবারিক চিত্র আর শিশুদের কষ্টকর জীবনযাত্রার কথা৷ ভাবতে আবাক লাগে যে একটি দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে মলদোভার জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদেশে কাজ করে৷

বেশ ভালো লাগলো ‘চেনা চ্যাপলিন, আদেখা চ্যাপলিন' পরিবেশনটি৷ যদিও এই কিংবদন্তি চলচ্চিত্র শিল্পী স্যার চার্লস স্পেন্সার চ্যাপলিন সম্পর্কে জানেন না এমন মানুষ খুব কমই আছেন, তবুও নাতিদীর্ঘ এই পরিবেশনটির মধ্য দিয়ে তাঁকে স্মরণ করা এবং না জানা অসাধারণ দিক পাঠকদের কাছে তুলে ধরার প্রশংসনীয় প্রয়াসটির জন্য ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগকে ধন্যবাদ৷ এরকমই বেশ কয়েকটি ই-মেল পাঠিয়েছেন নতুন দিল্লি থেকে নিয়মিত পাঠক বন্ধু সুভাষ চক্রবর্তী৷

বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন সাহিত্য ও লোকজ সংস্কৃতির বাইরে বাংলাদেশের বাঙালিদের অবদান আছে কৃষিক্ষেত্রে৷ বাঙালি কৃষক অত্যান্ত পরিশ্রমী ও সৃজনশীল এক্ষেত্রে তাদের নিষ্ঠা ও নৈপুণ্য বিস্ময়কর৷ অন্যদিকে, সামাজিক সাংস্কতিক ও ধর্মীয় নানা বাধা নিষেধের মধ্যেও অন্তঃপুরে আটকে থাকা বাঙালি মুসলিম নারীদের অন্তত একটা অংশের ঈর্ষণীয় সাফল্য লক্ষণীয়৷ লোক শিল্পকলা, বিশেষ করে নকশি কাথা নির্মাণের অনন্য সৃজন নিপুনতায় পূর্ণ অন্তঃপুরের নারীরা৷ বাঙালি হিন্দু নারীদের হাতে আলপনা যেমন শৈল্পিক সৌন্দর্য লাভ করেছে, তেমনি বাঙালি মুসলিম নারীর প্রতিভার বিকাশ ঘটেছে বাংলার বিশিষ্ট নকশিকাঁথা শিল্পে৷ রন্ধনকলা ও পিঠা-পুলি তৈরিতে হিন্দু ও মধ্যবিত্ত মুসলিম রমনীকুল বাঙালি সভ্যতায় এক বিশেষ অবদান রেখেছে৷ তবে বাঙালি নারীর নকশিকাঁথা এখন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এক নন্দিত শিল্প মাধ্যম৷ মিসেস হাবিবা আক্তার তাবাসসুম, পাছশুয়াইল রেডিও হরিপুর, চাটমোহর, পাবনা৷

- বোন তাবাসুমকে অনুরোধ করছি আগামীতে ডয়চে ভেলের সাথে সম্পৃক্ত যে কোনো বিষয়ে মতামত জানালে খুশি হবো৷

আজকের ওয়েবসাইটের বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন পড়লাম, ভালোই লাগলো৷ পোশাক শিল্প নিয়ে প্রতিবেদনটি ছিল সময়োপযোগী৷ আসলেই আমাদের দেশের ভবিষ্যত কোন দিকে যাচ্ছে তা বলা যাচ্ছে না৷ আমরা আছি খুব সংকটের মধ্যে, তবে এ সবের মধ্যে আশার বাণী খুঁজছি প্রতিনিয়ত৷ জানিনা কবে আমরা ভালো হবো৷ মো: সোহেল রানা হৃদয়, ঢাকা সেনানিবাস, ঢাকা৷

- ধন্যবাদ সকলকে৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন