1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বই ধার করে পড়া

৭ এপ্রিল ২০১৪

মিয়ানমারে সামরিক শাসন আসার আগে শিক্ষিতের হার ছিল দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি৷ সেসময় থেকেই দেশটিতে বই ধার করে পড়ার সংস্কৃতি চালু রয়েছে৷ তবে দিন পাল্টেছে৷

https://p.dw.com/p/1BcVe
বই ধার দেয়ার এই দোকানটি আগে জমজমাট ছিল৷ আর এখন...বোঝাই যাচ্ছেছবি: picture-alliance/dpa

এখন আর মানুষ বই পড়তে ততটা আগ্রহী নয়৷ পাঠকরা এখন হয়ে যাচ্ছেন দর্শক৷ টেলিভিশন আর সিডি-ডিভিডিতে ছায়াছবি বা অন্য কিছু দেখতেই তাঁরা এখন বেশি আগ্রহী৷ অর্থেরও এখানে একটা বড় ভূমিকা রয়েছে বলে জানান ইয়াঙ্গনের অধিবাসী ও তিন সন্তানের জনক টিন হিটভে৷ তিনি বলেন, ‘‘২০০ কিয়াত খরচ করে একটা ডিভিডি ভাড়া করলে পুরো পরিবার মিলে সেটা উপভোগ করা যায়৷ কিন্তু প্রত্যেকের জন্য বই ভাড়া নিতে লাগবে ৫০০ থেকে ১০০ কিয়াত৷''

সমৃদ্ধ ইতিহাস

১৯৪৮ সালে মিয়ানমার স্বাধীন হয়৷ বই ধার করে পড়ার সংস্কৃতিটা চালু হয় তার আগে থেকেই৷ আর্থিক কারণে সেসময় বই কিনে পড়াটা ছিল বিলাসী একটা ব্যাপার৷ শিক্ষার্থীরাও পড়ালেখার জন্য প্রয়োজনীয় বই কিনতে পারতেন না৷ তাই শিক্ষকরা তাদের বই ধার দিতেন৷ এরপর ধীরে ধীরে চায়ের দোকানে চা পানের সময় কিংবা নৌকা ও ফেরি পারাপারের সময় বই ধার দেয়ার চল শুরু হয়৷ এভাবে একসময় বই ভাড়া দেয়ার ব্যবসাটা জমজমাট হয়ে ওঠে৷

৬৯ বছরের উ চো ঐসময় একটি বইয়ের দোকান দিয়েছিলেন৷ কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন হওয়ায় তাঁকে এখন দোকানের একটা অংশ ভিডিও গেম অপারেটরের কাছে ভাড়া দিতে হয়েছে৷ এছাড়া চাহিদা কমে যাওয়া ইদানীং বইয়ের দোকানও খুলছেন সন্ধ্যার পর৷ উ চো বলেন, ‘‘আমি সারাদিনই দোকান খোলা রাখতে চাই৷ কিন্তু এখন আর সেই চাহিদা নেই৷''

নতুন উদ্যোগ

তরুণদের বই পড়তে উৎসাহী করে তুলতে সীমিত পর্যায়ে হলেও একটা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার৷ এ জন্য ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে৷ ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষরা এখন সহজেই বই পড়তে পারছেন৷

জেডএইচ/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য