এবারের অমর একুশে বইমেলা নিয়ে রিপোর্টগুলো ভীষণ ভালো লাগলো৷ মাসব্যাপী এই মেলা নিয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন প্রচারের অনুরোধ করছি৷
ইরানের নারীদের ভোটাধিকারের ৫০ বছর নিয়ে ছবিঘরটি ব্যাতিক্রমী ছিল৷ আমি মনে করি, ইরানের মহিলারা দাম্পত্য জীবনে অনেক সুখি ও স্বাধীন৷ পশ্চিমারা বেশি স্বাধীন বলে সেখানে তালাকের সংখ্যা বাড়ছে৷ এর সঙ্গে অবৈধ গর্ভধারণেও সমকামীর সংখ্যা বাড়ছে পাল্লা দিয়ে৷
গণপিটুনি নিয়ে মানবাধিকার কর্মী আদিলুর রহমানের সাথে সাক্ষাৎকারধর্মী রিপোর্টটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল৷ তবে বিচার ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ সন্ত্রাসীদের পিটুনি দেন৷ তবে মাঝে মধ্যে সাধারণ মানুষও অকারণে গণপিটুনির স্বীকার হন৷ এভাবেই তিনটি ই-মেল পাঠিয়েছেন ফয়সাল আহমেদ, গোপালগঞ্জ থেকে৷
গতকালের এই প্রতিবেদনটি শুনে খারাপ লাগেনি এমন মানুষ হয়ত কমই পাবেন৷ অনেকে হয়ত তাঁদের এই ভুলের জন্য গালি দেবেন৷ কিন্তু ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় মানুষ কত বড় ঝুঁকি নিতে পারে তার একটি ডুবন্তপ্রায় নজির এটা৷ ভাবা যায়, ১৩৮ জন মানুষ যদি পানিতে ডুবে মারা যেত তাহলে হয়ত এই ১৬ কোটির বেশি মানুষের দেশের কোনো ক্ষতি হবে না৷ কিন্তু ক্ষতি যাঁদের হবার তাঁদের ঠিকই হয়েছে৷
হয়ত কোনো দুষ্টু লোকের পাল্লায় পড়ে লাখ লাখ টাকা খরচ করেছেন ঐ সব মানুষ৷ বিনিময়ে কি পেলেন তাঁরা? আমার মনে হয়, তাঁদের জীবনের চরম ভুলগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম ভুল৷ শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনীকে ধন্যবাদ না দিয়ে পারা যায় না৷ একটি ডুবতে থাকা ট্রলার থেকে ১৩৮ বাংলাদেশি ও মিয়ানমারের নাগরিকদের উদ্ধার করেছে দীর্ঘ ২০ ঘণ্টা পরিশ্রমের পর৷ কোনো একটি জায়গার উদ্দেশ্যে হয়ত তাঁদের নিয়ে যাবার জন্য এই ট্রলারে তোলা হয়েছিল৷ কিন্তু এই অচেনা সাগরে তাঁরা কি কোনো কূল পেল? পেল অবশেষে শ্রীলঙ্কায় ঠাঁই৷ সব আশা জলে জলাঞ্জলি দিয়ে তাঁরা আজ সর্বস্বান্ত৷
বিদেশে গিয়ে ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করা, সীমাহীন দারিদ্র্য থেকে মুক্তির উপায় খোঁজা আর তাঁদের হলো না৷ এমনটি যেন কারো জীবনে না ঘটে৷ আমরা চাইবো, ক্ষতিগ্রস্থরা যেন ভালোভাবে দেশে ফিরে আসতে পারেন৷ আর সে জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা সরকার করবে বলে আশা করি৷ মো. সোহেল রানা হৃদয়, প্রেসিডেন্ট ফ্রেন্ডস ডি-এক্সিং ক্লাব, ভিউয়ার/পরিদর্শক, ঢাকা সেনানিবাস, ঢাকা৷
বাংলাদেশে প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে তোলার তোড়জোড় চলছে৷ জাপানের ফুকুশিমা পারমানবিক দুর্ঘটনার কথা কারো অজানা নয়৷ এই দুর্ঘটনার সময় যেভাবে পারমানবিক দূষণ ছড়িয়েছিল, তাতে বিশ্বের বহু মানুষ আজও আতঙ্কিত৷ এছাড়া, পারমানবিক শক্তিকেন্দ্র নির্মাণের খরচ অত্যন্ত বেশি, সন্ত্রাসী আক্রমণের আশঙ্কাও বেশি, পারমানবিক জ্বালানি এবং বর্জ্য ফেলাও ঝুঁকিপূর্ণ৷ এছাড়া, জনগণ যেভাবে পারমানবিক শক্তিকেন্দ্র স্থাপনের বিরোধিতা করে চলেছেন তাতে এই প্রকল্প কতটা বাস্তবায়িত করা সম্ভব হবে বা কতটা লাভজনক হবে, তা বলা খুব শক্ত৷
গত ২১শে জানুয়ারি ওবামার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বিয়ন্সে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত নিজে না গেয়ে আগে থেকে রেকর্ড করা গানের সাথে ঠোঁট নেড়েছেন – এমন অভিযোগের জবাব তিনি নিজেই দিয়েছেন গত বৃহস্পতিবার খালি গলায় জাতীয় সংগীত গেয়ে৷ এর মাধ্যমে তিনি সমালোচকদের যোগ্য জবাব দিলেন এবং নিজে প্রমাণ করলেন যে তিনি সত্যি সত্যিই একজন প্রকৃত গানের শিল্পী৷
কারগিল যুদ্ধের ঠিক আগে, পাকিস্থানের তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মুশাররফ হোসেন নিজে নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করে ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করেন – এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন অবসরপ্রাপ্ত পাকিস্থানি কর্নেল আসফাক হুসেন৷ তাঁর এ অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে বলতেই হয় যে, জেনারেল মুশাররফ হোসেন অত্যন্ত গর্হিত কাজ করেছেন৷ সেই সঙ্গে এটা ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীরও চরম ব্যর্থতার প্রকাশ বলেই মনে করি৷
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে হিলারি ক্লিন্টনকে পৃথিবীর বহু মানুষ দীর্ঘদিন মনে রাখবে৷ কারণ তিনি একাধারে সুদক্ষ রাজনীতিক, কূটনীতিক, সদা হাস্যময়ী ব্যক্তিত্ব৷ ১১২টি দেশ সফর করে ১০ লক্ষ মাইল পথ অতিক্রম করে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে যে নজির তিনি গড়ে তুলেছেন, তার উদাহরণ মেলা ভার৷
ছবিঘরে বিশ্ব-উষ্ণায়ন রোধে গৃহীত নানা ব্যবস্থার উপর তোলা ছবিগুলি আমাদের মুগ্ধ না করে পারেনি৷ জীবাশ্ম জ্বালানির দহন কমিয়ে, নবায়নযোগ্য শক্তি যেমন সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, জৈবশক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে, বাড়ি বা অফিসে ফিলামেন্ট বাতির পরিবর্তে ফ্লুরোসেন্ট বাতি ব্যবহার, অপ্রয়োজনে বাতি না জ্বালিয়ে, স্থানীয় খাদ্যসামগ্রী রান্না করে, অপ্রয়োজনে যানবাহন ব্যবহার না করে, গাছপালা না কেটে, নতুন গাছপালা লাগানোর দিকে মনোযোগ দিয়ে আমরা যদি কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমণ কমাতে পারি, তাহলেই আমরা বিশ্ব-উষ্ণায়ণ রোধ করতে পারি এবং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আরো সমৃদ্ধ করতে পারি৷
জামায়াত শিবিরের ডাকা সহিংস হরতালে বগুড়ায় দু'জন নিহত হওয়ার ঘটনা নিঃসন্দেহে খুবই দুঃখজনক৷ সহিংস ধর্মঘট কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়৷ এতে দেশের সম্পদ যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যানবাহনের অভাবে তেমনি মানুষ ভীষণ দুর্ভোগে পড়ে৷ এমনকি সহিংসতার বলি হয়ে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ে৷ কাজেই এমন ঘটনা কখনোই কাম্য নয়৷ আর এর জন্য প্রয়োজন সরকার বা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা ও মতামত বিনিময়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাধান করা এবং হরতাল যাতে না হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা৷ অনুষ্ঠান সম্পর্কে বিস্তারিত মতামত জানিয়ে লম্বা এই ই-মেলগুলো পাঠিয়েছেন বিশ্বনাথ মণ্ডল, সভাপতি, ওয়ার্ল্ড রেডিও ক্লাব, চক হড়হড়িয়া, ইসলামপুর, মুর্শিদাবাদ থেকে৷
ফেসবুকে মতামত দেয়া প্রতিযোগিতায় আমি বিজয়ী হওয়াতে চরমানন্দিত৷ সেই সাথে ৩২ জন শ্রোতাবন্ধুকে অভিনন্দন৷ আপনাদের বিচার-বিশ্লেষণ সঠিক, কারণ এই ৩২ জন বন্ধুর কমেন্ট ফেসবুকে প্রতিদিনই দেখি৷ আমার পুরো নাম ঠিকানা...এস এম এ হান্নান, পাছশুয়াইল রেডিও শ্রোতা ক্লাব, হরিপুর, চাটমোহর, পাবনা৷
৩১শে ডিসেম্বর তারিখে ডয়চে ভেলের অনুষ্ঠানে ‘রিপোটার্স উইদাউট বডার্স' সংগঠনের প্রতিবেদনের উপর আলোচনাটি ভালো লাগল৷ অবাধ সাংবাদিকতার মাপকাঠিতে মিয়ানমারের জঘন্য অবস্থা থেকে কিছুটা হলেও উঠে আসা সারা বিশ্বের গণতন্ত্রকামী মানুষের কাছে খুবই কাঙ্ক্ষিত সংবাদ৷ কিন্তু অনুষ্ঠানটিতে ভারতের কথা নেতিবাচকভাবে উল্লেখ করা হলেও, তালিকায় ভারতের বর্তমান এবং অতীত অবস্থানের কোনো সুনির্দিষ্ট উল্লেখ কিন্তু নেই৷ এক্ষেত্রে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের ব্যাপারে কোনো অস্পষ্টতা অবশ্য ছিল না৷
আবার ভারতের কথা বলতে গিয়ে অপ্রাসঙ্গিকভাবে বাংলাদেশের নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা যোগ করে ‘সব মিলিয়ে ....চারজন' বলা হলো৷ এটার মানে বুঝলাম না৷ একজন ভারতীয় হিসাবে এটা আমার ভালো লাগল না৷ এটুকু ক্ষোভের কথা বাদ দিলে অনুষ্ঠানটি সুন্দর হয়েছে৷ আগামীদিনে প্রথম স্থানাধিকারী ফিনল্যান্ড এবং অন্তিম স্থানাধিকারী এরিট্রিয়ায় সাংবাদিকতার সুবিধা-অসুবিধার কথা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান সম্প্রচারের অনুরোধ জানাই৷ সুখময় মাজী, গঙ্গাজলঘাটী, বাঁকুড়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত৷
-সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ লেখার জন্য৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ