1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হিজাব পরার জন্য বরখাস্ত

২৮ নভেম্বর ২০১৩

প্যারিসের কাছে অবস্থিত একটি নার্সারির এক কর্মীকে হিজাব পরার কারণে বরখাস্ত করা হয়েছিল৷ ধর্মনিরপেক্ষতার নামে যা অবিচারও বটে৷ তবে এবার, প্যারিসের একটি আপিল আদালত সেই বরখাস্তের আদেশ বজায় রেখেছে৷

https://p.dw.com/p/1APYv
Bulgarian Pomak women (ethnic-Bulgarian of the Islamic faith) queue at a polling station during the parliamentary elections, Ribnovo, Bulgaria on 05 July 2009. Voting began in Bulgarian parliamentary elections which are the first since the Balkan country joined the European Union in 2007. Socialist Prime Minister Sergey Stanishev seeks another four-year term in office. But his party, plagued by corruption scandals and the economic downturn, according to polls, is likely to lose against the opposition GERB party of Sofia Mayor Boyko Borisov. 6.8 million registered voters will cast their ballots 240 members of parliament. Also voting are Turkish emigrants with dual citizenship which is strongly opposed by nationalist parties. EPA/VASSIL DONEV +++(c) dpa - Report+++
ছবি: picture-alliance/dpa

প্যারিসের উপকণ্ঠে ‘‘বাচ্চা নেকড়ে'' কিন্ডারগার্টেন ২০০৮ সালে তাদের কর্মী ফাতিমা আফিফ'কে হিজাব পরার কারণে বরখাস্ত করে৷ ফাতিমা সেই কিন্ডারগার্টেনের বিরুদ্ধে ধর্মভিত্তিক বৈষম্যের অভিযোগ নিয়ে আদালতে গেলে আদালত এ'বছরের মার্চ মাসে ফাতিমার পক্ষেই রায় দেন৷ এবার প্যারিসের আপিল আদালত সেই রায় উল্টে দিয়েছে৷

বলা দরকার, ২০০৮ সালে ফাতিমা ফেরেন পাঁচ বছর মাতৃত্বকালীন ছুটির পর এবং কিন্ডারগার্টেন কর্তৃপক্ষকে জানান যে, তিনি এবার থেকে হিজাব পরে কাজে আসতে চান৷ ডে নার্সারিটির প্রধান ফাতিমার এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন এই বলে যে, প্রতিষ্ঠানের নিয়মাবলী অনুযায়ী কর্মীদের জীবনদর্শন, রাজনীতি ও ধর্মের বিচারে নিরপেক্ষ থাকতে হবে৷

ফাতিমা অতঃপর আদালতে যান এবং আদালত তাঁর যুক্তিই মেনে নেয় - আপিল আদালত যা করেনি৷ আপিল আদালতের রায়ে নার্সারির পদক্ষেপকেই সমর্থন করা হয়েছে৷ ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষাব্যবস্থার প্রবক্তারা যেমন এই নতুন রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন, ঠিক তেমনই মুসলমান সংগঠনগুলির অভিযোগ, এ'ভাবে ধর্মনিরপেক্ষতার নামে মুসলিম সমাজের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে৷

৪৪ বছর বয়সি ফাতিমার আইনজীবীরা বলেছেন, তারা খুব সম্ভবত আবার আপিল করবেন৷ ফাতিমা নিজে বলেছেন, তিনি মামলাটি নিয়ে ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতে পর্যন্ত যেতে রাজি আছেন৷ একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে তিনি এ'ও বলেছেন যে, প্রকাশ্যে হিজাব পরিধান করে তাঁর নিজেকে স্বাধীন ও মুক্ত লাগে এবং: ‘‘আমি কোনো মতাদর্শের পতাকা বহন করছি না, আমি শুধু ন্যায়বিচার চাইছি৷''

REFILE - CORRECTING TENSE Turkey's ruling Ak Party (AKP) lawmakers Nurcan Dalbudak (C) and Sevde Beyazit Kacar (R) attend the general assembly wearing their head scarves at the Turkish Parliament in Ankara October 31, 2013. Four female lawmakers from Turkey's Islamist-rooted ruling party wore their Islamic head scarves in parliament on Thursday in a challenge to the country's secular tradition. The last time a lawmaker attempted to wear the head scarf in parliament in 1999 she was expelled from the assembly. REUTERS/Umit Bektas (TURKEY - Tags: POLITICS RELIGION TPX IMAGES OF THE DAY)
ছবি: Reuters

ফাতিমার উকিল মিশেল অঁরি এই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে, বিচারক রাজনৈতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করে এই রায় দিয়েছেন৷ ফ্রান্সের সরকারি স্কুলগুলিতে প্রকাশ্যে হিজাব, ইহুদিদের মাথার টুপি কিংবা শিখদের পাগড়ির মতো ধর্মীয় প্রতীকের ব্যবহার নিষিদ্ধ৷ কিন্তু একটি বেসরকারি নার্সারি বা কিন্ডারগার্টেন সেই আইনের আওতায় পড়ে না, বলে রায় দিয়েছিল ফ্রান্সের সর্বোচ্চ আপিল আদালত - এটা গত মার্চ মাসের ঘটনা৷ সে রায় এবার পাল্টে যাওয়াতে বিতর্কটা আবার নতুন ইন্ধন পাবে৷

ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত বা ইসিএইচআর'এর সামনে আপাতত একটা মামলা চলেছে, যার উদ্দেশ্য হল, ফ্রান্সে বোরখা'র উপর নিষেধাজ্ঞাকে বৈষম্যমূলক বলে প্রতিপন্ন করা৷ মামলাটি আনা হয়েছে এক ব্রিটিশ বাদীপক্ষের তরফ থেকে৷ আগামী বছরের সূচনায় রায় বেরোতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে৷ মামলায় ২৩ বছর বয়সি এক ফরাসি মহিলা আদালতকে বলেছেন, তিনি সম্পূর্ণভাবে নিজের ইচ্ছায় বোরখা পরেন, কোনো পুরুষ তাঁকে বোরখা পরতে বাধ্য করেনি এবং নিরাপত্তার প্রয়োজনে তিনি যে-কোনো সময় নিজেকে বোরখামুক্ত করতে প্রস্তুত৷

ফ্রান্সে বোরখা পরার উপর নিষেধাজ্ঞা চালু হয় ২০১০ সালে, প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি'র শাসনকালে৷ ২০১১ সাল থেকে ফ্রান্সে মহিলাদের পূর্ণ মুখাবরণের বোরখা পরিধানের জন্য ১৫০ ইউরো অবধি অর্থদণ্ড হতে পারে৷ বেলজিয়াম এবং সুইজারল্যান্ডের কিছু অংশেও ফ্রান্সের অনুকরণে বোরখা পরিধান নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ ইটালি এবং নেদারল্যান্ডস অনুরূপ নিষেধাজ্ঞার কথা বিবেচনা করছে৷

এসি / জেডএইচ (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য