1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফ্রান্সের বাজেট ঘাটতি

৯ এপ্রিল ২০১৪

জার্মানি আগামী বছরই ঋণ নেওয়া বন্ধ করার তোড়জোড় করছে, কিন্তু ফ্রান্স বাজেট ঘাটতির ঊর্ধ্বসীমা শিথিল করার ডাক দিচ্ছে৷ ইউরো এলাকার প্রবৃদ্ধির ধীর গতির পক্ষে-বিপক্ষে শোনা যাচ্ছে নানা যুক্তি৷

https://p.dw.com/p/1BdpF
Symbolbild EZB Europäische Zentralbank Frankfurt am Main
ছবি: Getty Images

জার্মানি আগামী বছরই নতুন করে কোনো ঋণ না নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে৷ যদিও ইউক্রেনের চলমান সংকটের ফলে সেই পরিকল্পনা নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন খোদ জার্মান অর্থমন্ত্রী ভল্ফগাং শয়েবলে৷ এ দিকে ফ্রান্সের নতুন অর্থমন্ত্রী ইউরো এলাকার বাজেট ঘাটতির নিয়ম শিথিল করার পক্ষে সওয়াল করেছেন৷ কিন্তু জার্মান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান এমন প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করে বলেছেন, একক মুদ্রা এলাকার মধ্যে কড়া নিয়ম মেনে না চললে মুদ্রা হিসেবে ইউরো-র বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থ বিষয়ক কমিশনারও ফ্রান্স-কে এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দিতে প্রস্তুত নন৷ উল্লেখ্য, সদস্য দেশগুলির বাজেট ঘাটতির ঊর্ধ্বসীমা ৩ শতাংশে বেঁধে দেওয়া আছে৷

আসলে বাজেট ঘাটতি কমাতে বা নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যয় সংকোচ কর্মসূচি নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক চলে আসছে৷ মূলত জার্মানির মতো কিছু দেশের চাপে অর্থনীতির দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতাকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে৷ অর্থাৎ ‘স্টিমুলাস প্যাকেজ' বা করের হার কমিয়ে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার পথে যাচ্ছে না ইউরো এলাকা৷

চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইউরোপের পুঁজিবাজারে বেশ দরপতন ঘটেছে৷ এই সাময়িক অস্থিরতা সত্ত্বেও সার্বিকভাবে ইউরো এলাকা চাঙ্গা হয়ে উঠছে৷ সোমবার প্রকাশিত এক পূর্বাভাষ অনুযায়ী চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে প্রবৃদ্ধির গড় হার ছিল ০.৪ শতাংশ৷ তবে বছরের বাকি সময় তা সামান্য কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে৷ বেকারত্বের হার কমারও তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷ বিভিন্ন দেশে ব্যয় সংকোচ কর্মসূচির ফলে ক্রেতারা কেনাকাটা কমিয়ে দিয়েছেন৷ কিছু মহলের মতে, এর ফলে প্রবৃদ্ধির ধীর গতি দেখা যাচ্ছে৷

এদিকে ক্রাইমিয়ার পর ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে অস্থিরতার জের ধরে উত্তেজনা বাড়তে পারে, বাজারে এমন আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে৷ অ্যামেরিকা সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রযুক্তিভিত্তিক কোম্পানিগুলির শেয়ারের দরপতন ঘটার ফলেও বাজার অশান্ত রয়েছে৷ মঙ্গলবার অবশ্য বাজার আবার কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে৷

নতুন প্রধানমন্ত্রী মাটেও রেনসি হাল ধরার পর থেকে ইটালি থেকে ইতিবাচক খবর পাওয়া যাচ্ছে, যদিও আগের সরকারগুলির সংস্কারের সুফল এবার পাওয়া যাচ্ছে৷ ঋণভার কমে ২.৮ শতাংশে নেমে গেছে৷ গ্রিস আবার বন্ড বাজারে প্রবেশ করবে বলে শোনা যাচ্ছিল৷ তবে তাতে কিছুটা বিলম্ব ঘটছে৷ সরকার ধীরে এগোতে চাইছে৷

এসবি / জেডএইচ (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য