1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফেসবুক স্ট্যাটাসে অসত্য

২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

ফেসবুকে অনেকেই হয়ত বাড়িয়ে-চড়িয়ে নানা অসত্য কথা লেখেন বা তুলে ধরেন ভিত্তিহীন তথ্য৷ তাঁদের জন্য সতর্কবার্তা হচ্ছে, সময় এসেছে শুধরে যান৷ কেননা ফেসবুক কিন্তু এবার থেকে ধরে ফেলবে আসলেই আপনার তথ্যটা সঠিক কিনা!

https://p.dw.com/p/1BCKG
Facebook Headquarter Zentrale Kalifornien Menlo Park
ছবি: picture-alliance/dpa

ইউরোপের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় এটি নিয়ে কাজ করছে৷ এ দলের নেতৃত্বে আছে ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারে অবস্থিত শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়৷ তারা এমন একটি সিস্টেম বা ব্যবস্থা তৈরির কথা ভাবছে, যেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে যে কোনো তথ্যের সত্যতা এবং তার সাথে সংশ্লিষ্ট সূত্র সম্পর্কে জানতে পারবে৷

গবেষকরা জানিয়েছেন, এমারজেন্সি সার্ভিস, গণমাধ্যম এবং প্রাইভেট সেক্টরে এটা বেশ কাজে দেবে৷ কেননা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব সেক্টর নিয়ে নানা ধরনের গুজব ছড়াতে দেখা যায়৷

Mark Zuckerberg Gründer Facebook Porträt Archiv
ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক সাকারবার্গছবি: picture-alliance/AP Photo

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থ সহায়তায় তিন বছরের প্রকল্পটির নাম দেয়া হয়েছে ‘ফিমে'৷ এর মাধ্যমে টুইটার ও ফেসবুকে ব্যবহারকারীদের দেয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করা যাবে৷ এক বিবৃতিতে প্রকল্পের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্তমানে প্রচুর গুজব ও অসত্য তথ্য দেখা যায়৷ এ ধরনের বার্তাগুলোর সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে, যা পরবর্তীতে বড় ধরনের কোনো বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে৷ কিন্তু এই তথ্য ভাণ্ডারটি এতটাই বিশাল যে ঠিক যখন এটা দেয়া হবে তখনই এটা যাচাই-বাছাই করা সম্ভব নয়৷ এতে কিছুটা সময় লাগবে৷

তাঁরা এখানে কিছু উদাহরণ তুলে ধরেছেন, যেমন ২০১১ সালে লন্ডনে দাঙ্গার ঘটনা৷ তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল লন্ডন আই অবজারভেশন হুইলে আগুন লেগে গেছে৷ আর লন্ডন চিড়িয়াখানা থেকে সব প্রাণীকে বের করে দেয়া হয়েছে৷ এ সবই ছিল গুজব৷

প্রকল্পের গবেষণা পরিচালক শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. ক্যালিনা বনচেভা জানালেন, ‘‘সবচেয়ে বড় সমস্যাটা হলো একটি খবর এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যে সেটা সত্য না মিথ্যা – তা খুঁটিয়ে দেখা সঙ্গে সঙ্গে সম্ভব হয় না৷ যেমন কোনো একটি গুজব সম্পর্কে সত্য ঘটনা যাচাই-বাছাই করতে করতে দেখা গেল সত্যটাও ততক্ষণে অনেকেই জেনে ফেলেছে৷ তাই প্রকৃত সময়ে এটা করাটাই আমাদের কাজ৷''

প্রকল্পটি চার ধরনের তথ্য নির্ধারণে কাজ করছে – জল্পনা, বিতর্ক, ভুল তথ্য এবং অসত্য তথ্য৷ মূলত তিনটি ফ্যাক্টর ব্যবহার করে কাজটি করছেন গবেষকরা৷ প্রথমত যে তথ্যটি দেয়া হয়েছে, দ্বিতীয়ত অন্য কেউ এ ধরনের তথ্য দিলে এবং তৃতীয়ত তথ্য ভাণ্ডার থেকে প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করা গেলে৷

জানা গেছে, সত্য তথ্যটা যাচাই-বাছাইয়ের পর ব্যবহারকারী তাঁর পেজে দেখতে পাবেন৷

টাইমস পত্রিকা জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই প্রকল্পে ৪৩ লাখ ইউরো ব্যয় করছে এবং এটি শেষ হতে অন্তত ১৮ মাস সময় লাগতে পারে৷ শেফিল্ড ছাড়া বাকি চারটি বিশ্ববিদ্যালয় হলো কিংস কলেজ লন্ডন, ইংল্যান্ডের ওয়ারউইক, জার্মানির সারল্যান্ড এবং ভিয়েনার মোডুল বিশ্ববিদ্যালয়৷ এর সাথে আরো চারটি কোম্পানি কাজ করছে৷ সেগুলি হলো – স্পেনের আটোস, কেনিয়ার আইহাব, বুলগেরিয়ার অনটোটেক্সট এবং সুইস-ইনফো৷

এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য