1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফেলানী মামলার আপিল

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১২ সেপ্টেম্বর ২০১৩

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে নিহত বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী হত্যার ন্যায় বিচার পেতে থেকে আপিল করা হবে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি৷ মানবাধিকার কর্মীরা বলেছেন, সরকার সক্রিয় হলে ন্যায়বিচার পাওয়া সম্ভব৷

https://p.dw.com/p/19gYc
Dhaka, Barbados. 11th September 2013 -- A group of youths organised on Facebook form a human chain near the National Press Club. -- Youths form a human chain in front of the National Press Club in the capital to protest the acquittal of a Border Security Force (BSF) soldier who was charged with murdering Bangladeshi girl Felani Khatun at the border two and a half years ago.
ছবি: picture-alliance/Demotix

ডা. দীপু মনি বৃহস্পতিবার তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, সীমান্তে ফেলানী হত্যা মামলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর আদালত যে রায় দিয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভারতের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে৷ আদালতের চূড়ান্ত রায়ে যদি ন্যায়বিচার পাওয়া না যায়, তাহলে অবশ্যই আপিল করা হবে বলে জানান তিনি৷ তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত রায়ের যে খবর পাওয়া গেছে, তাতে ন্যায়বিচার পাওয়া যায়নি৷

মানবাধিকার নেত্রী অ্যাডভোকেট এলিনা খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, সরকার যদি সক্রিয় হয় তাহলে ফেলানী হত্যা মামলায় ন্যায়বিচার পাওয়া সম্ভব৷ এ জন্য পররাষ্ট্র এবং স্বরাষ্ট্র – এই দুই মন্ত্রণালয়কে একযোগে কাজ করতে হবে৷ তারা সক্রিয় হলে ভারতের মানবাধিকার সংগঠনগুলোও সহায়তা করবে৷ এমনকি এই বিচার ভারতের প্রচলিত আদালতেও নেয়া সম্ভব৷ তিনি বলেন, এ জন্য বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলোও সরকারকে সহায়তা করতে প্রস্তুত৷ তাঁর মতে, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একই সঙ্গে ক্ষতিপূরণ আদায়ও সম্ভব৷

Indien Bangladesh Grenze mit Soldaten und Stacheldraht
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে নিহত বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী হত্যার ন্যায় বিচার চায় ফেলানীর বাবাছবি: AP

এলিনা খান জানান, ১০ বছর আগে বাংলাদেশি নারী হনুফা বেগম পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া স্টেশনে গণধর্ষনের শিকার হয়েছিলেন৷ সেই মামলার বিচার ভারতের আদালতেই হয়েছে৷ বাংলাদেশ ও ভারতের মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ জন্য একযোগে কাজ করেছে৷ তাই ধর্ষণের জন্য যারা অভিযুক্ত হয়েছে, তাদের শাস্তির আওতায় আনা গেছে৷ হনুফা ১০ লাখ ভারতীয় টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন৷ আর দায়ীদের ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে৷ তিনি বলেন, ফেলানী হত্যা মামলায় বিএসএফ সদস্য কনেস্টবল অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দিয়েছে বিএসএফ-এর বিশেষ আদালত৷ এখানে আইনের ফাঁক-ফোকর এবং ভাষার সমস্যাকে ব্যবহার করা হয়েছে৷

এদিকে ফেলানীর পরিবারের সদস্যরা এই হত্যা মামলার পুনর্বিচারের দাবিতে কুড়িগ্রামে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বৃহস্পতিবার৷ ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে ন্যায় বিচারের সঙ্গে ক্ষতিপূরণও দাবি করেছেন৷

২০১১ সালের ৭ই জানুয়ারি বাংলাদেশের কিশোরী ফেলানী কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত হয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য