1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

২০২২-র বিশ্বকাপে আফগানিস্তান?

১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪

যে দেশে ৩০ বছর ধরে ফুটবল প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল, তারা আজ ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপে অংশ নেবার স্বপ্ন দেখছে – এবং সঙ্গত কারণেই৷ হ্যাঁ আফগানিস্তান, ২০১৩ সালে দক্ষিণ এশিয়া চ্যাম্পিয়ন হয় দেশটি৷

https://p.dw.com/p/1DE0F
Fussball SAFF Cup Afghanistan gegen Indien
ফাইল ফটোছবি: GoalNepal

এশিয়ায় বিশ্বকাপ৷ সে বিশ্বকাপে এশিয়ার একটি দেশ – আফগানিস্তান – অংশগ্রহণ করবে, সেই ‘‘অসম্ভব স্বপ্ন''-ই দেখছেন আফগানিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আলি রেজা আঘাজাদা: ‘‘আমাদের ক্ষমতায় না কুলোতে পারে৷ আমরা হয়ত তা ঘটাতে পারব না৷ কিন্তু আমরা যে সে'বিষয়ে আদৌ কথা বলতে পারছি, তা থেকেই প্রমাণিত হয়, আমরা অতি স্বল্প সময়ে কতটা পথ এসেছি৷ আমরা যদি বিশ্বকাপ ফাইনালে না-ও যেতে পারি, বিশ্বকাপের কোয়ালিফাইং-এ অংশ নেওয়া, দেখা, আমাদের খেলার কিভাবে বিকাশ ঘটছে, আমাদের টেকনিক আরো ভালো হচ্ছে, সেটাই হবে আমাদের পক্ষে একটা বিরাট সাফল্য – বিশেষ করে আমাদের দেশে ফুটবলের প্রায় অকালমৃত্যু ঘটার পর৷''

ফুটবলের প্রত্যাবর্তন

বলতে কি, আফগানিস্তানে পাক্কা ৩০ বছর ধরে ফুটবল প্রায় উঠে গিয়েছিল৷ জাতীয় দল ১৯৮৪ থেকে ২০০২ সাল অবধি কোনো ম্যাচ খেলেনি৷ আজ কিন্তু রাষ্ট্র পর্যায়ে চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজিত হয় – তা-তে অংশ নেয় দেশের ৩৪টি প্রদেশের সব ক'টি থেকে আগত দল৷ মরশুমের শেষে রাজধানী কাবুলে অনুষ্ঠিত হয় আটটি দলের একটি টুর্নামেন্ট – সে টুর্নামেন্ট চলে ৪৫ দিন ধরে৷ গাজি এবং কাবুল স্টেডিয়াম দু'টি ভরে যায় দর্শকে৷

২০১১ সালের প্রথম সিজনে আমন্ত্রণকর্তা টেলিভিশন সংস্থা একটি এক্স-ফ্যাক্টর গোত্রীয় টিভি শো সৃষ্টি করে৷ কোন প্লেয়ার কোন দলে খেলবে, শো'র দর্শকরা ভোট দিয়ে তা নির্ধারণ করেন৷ ফরম্যাটটি খুবই জনপ্রিয় হয়৷ সে'বছরই আফগানিস্তান দক্ষিণ এশীয় ফুটবল ফেডারেশন কাপ টুর্নামেন্টে রানার-আপ হয় – এবং ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন! বিজয়ের পথে আফগানিস্তান ছ'বারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারায় ২-০ গোল: নেপালের কাঠমান্ডুতে সেই বিজয়ের দৃশ্য আফগানিস্তানের মানুষ ভুলে যাননি, যেমন তারা ভোলেননি কাবুলের রাজপথে আনন্দের জোয়ার, যুদ্ধ সত্ত্বেও, তালেবান সত্ত্বেও৷

আফগানিস্তানের ফুটবল সমিতি কিন্তু তৈরি হয় ১৯২২ সালে; আফগানিস্তান ফিফা-তে যোগ দেয় ১৯৪৮ সালে৷ ৩০ বছর অনুপস্থিতির পর তাদের বিশ্ব ফুটবল পরিবারে প্রত্যাবর্তনের পিছনে সবচেয়ে বড় দান সম্ভবত প্রিমিয়ার লিগের৷ বিভিন্ন প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব আফগানিস্তানের কোচ ও প্লেয়ারদের প্রশিক্ষণের জন্য দুবাইতে কোচিং কোর্সের ব্যবস্থা করেছে৷ আজ আফগানিস্তান ফিফা তথা এশীয় ফুটবল বিকাশ নিধির অর্থানুকুল্য পাচ্ছে বটে – কিন্তু কাবুলের গাজি স্টেডিয়ামে তালেবানের প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরি করার বিভীষিকা পুরোপুরি মিলিয়ে যেতে আরো কিছুটা সময় লাগবে৷

এসি/ডিজি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য