1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফুটবল গুন্ডামির অভিযোগে ড্রেসডেনকে বহিষ্কার করল ডিএফবি

২৬ নভেম্বর ২০১১

আগামী ইউরোকাপের জন্য জার্মানিকে ফেভারিট ভাবা শুরু হয়েছে, এদিকে ঘরের মধ্যে ফুটবল গুন্ডাদের নিয়ে জার্মানির সমস্যা বেড়েই চলেছে৷ এই পরিস্থিতিতে ডায়নামো ড্রেসডেন ক্লাবকে লিগ থেকে বরখাস্ত করল জার্মান ফুটবল ফেডারেশন৷

https://p.dw.com/p/13HjU
ফুটবল মাঠে হট্টগোল ঠেকাতে পুলিশের অ্যাকশনছবি: dapd

গুন্ডামি আর হিংসার আশ্রয় নেওয়া কোন নতুন বিষয় নয় জার্মান ফুটবল ফ্যানদের কাছে৷ বিশেষ করে বিভিন্ন ক্লাব পর্যায়ের খেলার সময় একদল সমর্থকের অন্যদেরকে স্টেডিয়ামের মধ্যেই আক্রমণ করা বা খেলাকে ঘিরে মারপিট ভাঙচুর এসবের নজির রাখা প্রায়শই ঘটে থাকে৷ জার্মান ফুটবল ফেডারেশন বা ডিএফবি এবার উঠেপড়ে লেগেছে এই অসভ্যতা বন্ধ করতে৷ যে কারণে, দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাব ডায়নামো ড্রেসডেনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল মাসখানেক আগের একটি স্টেডিয়াম গুন্ডামি মামলায়৷

বোরুসিয়া ডর্টমুন্ডের সেই ম্যাচে ড্রেসডেন ক্লাবের গুন্ডা সমর্থকরা মারপিট করে কয়েক ডজন ফুটবল দর্শককে আহত করেছিল৷ স্টেডিয়ামের বসার আসন থেকে বাথরুম এবং খাবার কিয়স্কগুলিতে বেধড়ক ভাঙচুর চালায় তারা সেদিন৷ দেড় লক্ষ ইউরোর ক্ষতি হয় স্টেডিয়ামটির৷ সেই ঘটনায় মোট ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ ডিএফবি-র এই শাস্তিতে স্বভাবতই ড্রেসডেন ক্লাবের কর্তারা খুশি নন৷ তাঁদের মতে, এই শাস্তি একটু বাড়াবাড়ি৷ কিন্তু ডিএফবি-র কর্তাব্যক্তিদের জবাব, তাঁরা জার্মানির ফুটবলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে চান৷

DFB-Urteil gegen Dynamo Dresden
রায় শোনাচ্ছেন বিচারক হান্স লোরেঞ্জছবি: dapd

শৃঙ্খলা যে একেবারেই গোল্লায় গেছে, তা গত এক বছরের পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যাবে, বলেছেন ডিএফবি-র প্যানেল বিচারপতি হান্স লোরেঞ্জ৷ গত ফুটবল মরশুমে জার্মানির বুন্ডেসলিগার দুটি ডিভিশনের বিভিন্ন খেলায় মারামারির ফলে মোট ৮৪৬ জন সমর্থক মাঠের মধ্যে আহত হয়েছেন৷ গত বারো বছরের মধ্যে যা কিনা সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে ওপরে৷ ড্রেসডেনের বিরুদ্ধে আনা মামলার রায়দান করতে গিয়ে বিচারপতি লোরেঞ্জ আরও জানান, এ পর্যন্ত খেলার মাঠের মারামারিতে কেউ মারা যায়নি ঠিকই, কিন্তু পরিস্থিতি যেদিকে চলেছে, তা এখনই বন্ধ না করতে পারলে, তেমন হতেও বেশি সময় লাগবে না৷

খেলার মাঠের মারামারি তো আছেই, স্টেডিয়ামে আতসবাজি বা অন্যান্য পটকা ইত্যাদি নিয়ে ঢোকা নিষিদ্ধ হলেও সমর্থকরা দিব্যি সেসব নিয়ে মাঠে ঢোকে এবং প্রায়শই দেখা যায়, একদল আরেকদলের ওপর সেসব নিয়ে চড়াও হচ্ছে৷ খেলা চলাকালীন মাঠের মধ্যে জ্বলন্ত বাজি ছোঁড়াও প্রায় নিয়মিত ঘটনা৷ বিশেষ করে ক্লাব পর্যায়ের খেলায়৷

বাইরের দেশে জার্মানির ফুটবলের কদর থাকলেও ঘরের মাঠে এইসব হিংসাত্মক আচরণ বন্ধ করতে ডিএফবি-র উদ্যোগ প্রশংসিত হয়েছে সব মহল থেকে৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম