1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফুটবল এবার অস্ট্রেলিয়াও জয় করতে চলেছে

২০ এপ্রিল ২০১৩

অস্ট্রেলিয়ার ফুটবলমোদীদের সেইরকমই দাবি৷ ফুটবলের জনপ্রিয়তা ও মাঠে দর্শকসংখ্যা সে কথাই বলে৷ যুক্তরাষ্ট্রের মতো ইউরোপের ‘বর্ষীয়ান’ ফুটবল খেলোয়াড়দের এনে অস্ট্রেলিয়ান লিগ ফুটবলের ইমেজ বাড়ানোটাই এই সাফল্যের একমাত্র কারণ নয়৷

https://p.dw.com/p/18Jen
Thomas Broich spielt an einem Strand in Australien mit de Ball - eine Filmszene aus «Tom meets Zizou. Kein Sommermärchen» (undatiertes Handout). Als Kind träumte Thomas Broich von einer Karriere als Profifußballer. Mit Anfang Zwanzig hatte er es in der Bundesliga geschafft - und wurde todunglücklich. Heute kickt er in Australien. Am 28. Juli kommt der Dokumentarfilm «Tom meets Zizou. Kein Sommermärchen» ins Kino, der die psychologischen Spielregeln der Bundesliga infrage stellt. dpa (zu dpa-Kinostarts vom 21.07.2011) ACHTUNG: Verwendung nur für redaktionelle Zwecke im Zusammenhang mit der Berichterstattung über diesen Film und bei Urheber-Nennung Foto: mindjazz pictures +++(c) dpa - Bildfunk+++
ছবি: picture-alliance/dpa

এককালে ইউরোপের নামি-দামি ফুটবল খেলোয়াড়রা ক্যারিয়ারের শেষের দিকে ভালো পারিশ্রমিক পেলে মার্কিন মুলুক কি জাপানে যেতে রাজি থাকতেন৷ তারপর চীন অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্যের মুখ দেখবার পর সেদেশও ঐ মহাজনপন্থা অনুসরণ করতে শুরু করেছে: ইউরোপ থেকে ভালো, পুরনো প্লেয়ার লোভনীয় পারিশ্রমিক দিয়ে ধরে এনে নিজেদের ক্লাব ফুটবলের মান ও জনপ্রিয়তা বাড়ানো৷ তা চীনে যদি সেটা করা সম্ভব হয়, তাহলে অস্ট্রেলিয়াই বা বাদ যাবে কেন?

অস্ট্রেলিয়ার মুশকিল অনেক৷ প্রথমত তার ভৌগোলিক অবস্থান, ইংরিজিতে যাকে বলে ‘ডাউন আন্ডার' – পৃথিবীর মানচিত্রের তলার দিকে কোথাও একটা! দ্বিতীয়ত, অস্ট্রেলিয়ায় যে তিনটি খেলা বড় মাপে চালু আছে, সেগুলি হল মার্কিন ফুটবল, রাগবি এবং ক্রিকেট৷ তাহলে ফুটবলের জায়গা হবে কোথা থেকে?

ব্যাপারটা অন্যরকম দাঁড়ায় যখন থিয়েরি অঁরি কিংবা আলেস্সান্দ্রো দেল পিয়েরোর মতো সাবেক চৌম্বক-শক্তিদের ডাউন আন্ডারে মাঠে নামানো হয়৷ তখন প্রমাণ পাওয়া যায় যে, অস্ট্রেলিয়াতেও স্পোর্ট-পাগল জনতাকে অ্যামেরিকান ফুটবল, রাগবি ও ক্রিকেটের মোহ কাটিয়ে ফুটবল স্টেডিয়ামে আনা সম্ভব৷

Fussball, Nationalmannschaft, Laenderspiel, Deutschland - Australien, Dienstag (29.03.11), Stadion im Borussia-Park, Moenchengladbach: Sven Bender (l.) und Australiens Carl Valeri kaempfen um den Ball. Foto: Juergen Schwarz/dapd
জার্মানির সঙ্গে একটি প্রীতিম্যাচে অস্ট্রেলিয়া...ছবি: dapd

আনা? ফুটবল স্টেডিয়াম ভরানো, বলা চলতে পারে৷ তবে তার কারণ থিয়েরি-দেল পিয়েরোদের পায়ের খেলই নয়৷ বস্তুত অস্ট্রেলীয়রা নিজেরাই ফুটবল খেলাটাকে ভালোবেসে ফেলেছে৷ আজ যতো অস্ট্রেলীয় রাগবি কি ফুটবল খেলে, তাদের চেয়ে বেশি সংখ্যক অস্ট্রেলীয় ফুটবল খেলে৷ অর্থাৎ স্কুল-কলেজে, মাঠেঘাটে অপেশাদারি ফুটবল খেলা অস্ট্রেলীয়দের সংখ্যা রাগবি আর ক্রিকেট মিলিয়ে যা হয়, তার চেয়ে বেশি!

এটা ঘটল কি করে? অস্ট্রেলিয়ার জনগণের একটা বড় অংশ এখন এশীয়৷ তাদের ঝোঁক এমনিতেই ফুটবলের দিকে৷ দ্বিতীয়ত, রাগবি খেলার জন্য যে ধরনের দশাসই চেহারা চাই, সেটা আছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলির বাসিন্দাদের – কিন্তু হাল্কা-পল্কা, ছোটখাট এশীয়দের নয়৷ তাই ফুল-কনট্যাক্ট রাগবি খেলতে গিয়ে হাড়গোড় ভাঙার চাইতে এশীয় বাবা-মায়েরা তাদের কচিকাঁচাদের হাফ-কনট্যাক্ট ফুটবল খেলতে দিতেই বেশি পছন্দ করেন৷

বাকি রইল স্টেডিয়ামে দর্শক টানার প্রশ্ন৷ অস্ট্রেলিয়ার এ-লিগের বয়স আজ সাকুল্যে আট বছর৷ তাদের খেলার মান কিন্তু দেল পিয়েরোকেও চমকে দেওয়ার মতো৷ দেল পিয়েরোর নিজের ক্লাব সিডনি এফসির খেলাগুলিতে এ মরশুমে মাঠে গড়ে দর্শক ছিল ১৮ হাজারের বেশি৷ দশটি টিমের এ-লিগ ধরলে সেই গড় দাঁড়ায় ১২ হাজারের কিছু বেশিতে৷ মনে রাখতে হবে, অনেক ত্রিশ বছরের পুরনো রাগবি ক্লাবের খেলাতেও এমন দর্শকের ভিড় হয় না৷ টেলিভিশনে এ-লিগের ম্যাচগুলি দেখে খেলা প্রতি প্রায় আট লাখ দর্শক৷

সব মিলিয়ে এটাই প্রমাণ হয় যে, বিশ্ব যতো ছোট হচ্ছে, ফুটবল ততোই বড় হচ্ছে৷

এসি/ডিজি (ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য