1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফিলিস্তিনিদের পৃথক আবাসভূমির দাবির প্রতি সমর্থন দিলেন মিচেল

১০ জুন ২০০৯

মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জর্জ মিচেল ফিলিস্তিনিদের পৃথক আবাসভূমির দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন৷ তিনি তাঁর নতুন মধ্যপ্রাচ্য শান্তি মিশন নিয়ে দেখা করেছেন প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে৷

https://p.dw.com/p/I75T
বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে জর্জ মিচেল (ডানে)ছবি: AP

স্থবির হয়ে পড়া আলোচনা দ্রুত পুনরায় শুরু এবং সম্পন্ন করতে চায় ওয়াশিংটন, ইসরায়েলী নেতাদের এই কথা জানানোর পরে মিচেল আজ রামাল্লায় বৈঠক করেন আব্বাসের সঙ্গে৷ ইসরায়েলী প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে মঙ্গলবার চার ঘন্টা আলোচনা ছাড়াও অন্যান্য ইসরায়েলী নেতার সঙ্গেও এদিন কথা বলেছেন জর্জ মিচেল৷

বুধবার রামাল্লায় পৌঁছে মার্কিন দূত মিচেল বলেন, ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন শান্তি আলোচনা দ্রুত শুরু করার জন্যে যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করতে হবে৷ এর আগে তিনি পৃথক প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ওয়াশিংটনের অঙ্গীকারের নিশ্চয়তা দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের আইনসঙ্গত দাবি কখনোই ছেড়ে দিতে বলবে না৷

পশ্চিমতীরের রামাল্লা শহরে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠকের পর, জর্জ মিচেল সাংবাদিকদের বলেন, ফিলিস্তিনিদের আকাঙ্খা অনুযায়ী এই সংঘাতের একমাত্র নির্ভরযোগ্য সমাধান হচ্ছে, প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা৷

২০০৩ সালে শান্তির রোড ম্যাপের ব্যাপারে তাদের কি ধরনের নৈতিক বা আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে তা দেখার জন্যে দু'ক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জর্জ মিচেল৷ রোড ম্যাপের শর্ত অনুযায়ী ইসরায়েলকে আরো বসতি স্থাপন বন্ধ এবং প্যালেস্টাইন কর্তৃপক্ষকে জঙ্গিদের লাগাম টেনে নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলা হয়েছিল৷

জর্জ মিচেল বলেন, দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানই এই সংঘাত উপশমের একমাত্র উপায় এই কথা পরিষ্কার করে দিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷

তাঁর এই মন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র- ইসরায়েল বন্ধুত্বে ফাটল ধরাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি কখনোই সমর্থন করেন না এবং তিনি বলেছেন, দখলকৃত পশ্চিমতীরে বসতি স্থাপনের জন্যে নির্মাণ কাজ অব্যাহত থাকবে৷

মধ্যপ্রাচ্য সফরের শেষ পর্যায়ে লেবানন, সিরিয়া ও মিশরে যাবেন মার্কিন দূত জর্জ মিচেল৷ তিনি বলেন, এই প্রচেষ্টায় সমর্থনের জন্যে আমরা ইসরায়েল, ফিলিস্তিন এবং এই অঞ্চলের অন্যান্যদের সঙ্গে এখন গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চালাচ্ছি৷

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস সাংবাদিকদের সামনে কোন মন্তব্য করেনি৷ তিনি বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা অর্থহীন হবে, যদি নেতানিয়াহু দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান মেনে না নেন এবং বসতি স্থাপন বন্ধ না করেন৷

ফিলিস্তিন আলোচক সায়েব এরাকত এক বিবৃতিতে বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্য শান্তির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র তার ইচ্ছে পরিষ্কার ভাবেই প্রকাশ করেছে৷ তিনি বলেন, এমনকি যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে, দু'পক্ষই রোড ম্যাপের শর্ত বাস্তবায়ন করবে৷

প্রতিবেদক: ফাহমিদা সুলতানা, সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক