1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ত্রাণের কাজে অ্যামেরিকা

১৪ নভেম্বর ২০১৩

দেশ-বিদেশের ত্রাণ এসে পৌঁছালেও ফিলিপাইন্সের ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে ত্রাণ বণ্টনের কাজে জটিলতা কাটছে না৷ যথেষ্ট উদারতা দেখিয়ে সাহায্য করতে ব্যর্থ হওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়ছে চীন৷ অন্যদিকে ওয়াশিংটন যথেষ্ট তৎপরতা দেখাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/1AHQT
ছবি: picture-alliance/dpa

টাকলোবান সহ ফিলিপাইন্সের ঝড়ে বিধ্বস্ত এলাকার মানুষ নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফেরার চেষ্টা করছে৷ তার মধ্যে একটি বেদনাদায়ক কাজ হলো মৃতদেহগুলির সৎকার করা৷ বৃহস্পতিবার টাকলোবান শহরের বাইরে পাহাড়ের কোলে একটি কবরখানায় অনেক মৃতদেহ দাফন করা হয়৷ অনেক মৃতদেহ শনাক্ত না করতে পারায় গণকবর দিতে হয়েছে৷ কর্তৃপক্ষ তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা এখনো ছেড়ে দেয়নি৷ তবে মৃতদেহগুলির ডিএনএ নমুনা রাখা হচ্ছে কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷

ত্রাণ তৎপরতা নিয়ে জটিলতা এখনো কাটেনি৷ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে বিচ্ছিন্নভাবে খাদ্য ও পানীয় জল পৌঁছাচ্ছে বটে, কিন্তু অনেক মানুষই প্রয়োজনীয় সাহায্যের নাগাল পাচ্ছে না৷ লুটপাটের ঘটনা বাড়ছে, ফলে নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তা দেখা দিচ্ছে৷ অনেক ক্ষেত্রে সামরিক বাহিনীর পাহারায় ত্রাণ বণ্টন করতে হচ্ছে৷ যথেষ্ট পারদর্শিতা দেখাতে না পারায় প্রেসিডেন্ট বেনিগনো অ্যাকুইনোর প্রশাসন প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ছে৷

জাতিসংঘের মানবিক সাহায্য সংস্থার প্রধান ভ্যালেরি আমোস টাকলোবান বুধবার পরিদর্শন করেছেন৷ তিনি বলেন, টাইফুন হাইয়ানের ফলে প্রায় ১ কোটি ১৫ লক্ষ মানুষ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ যারা মাথার উপর ছাদ হারিয়েছে, তাদের সহায়তা করাই আপাতত সবচেয়ে জরুরি বলে মন্তব্য করেন আমোস৷ ঝড়ের ৬ দিন পরেও সব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছানো সম্ভব না হওয়ায় তিনি দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেন৷ রাজধানী ম্যানিলা ও সেবু-র বিমানবন্দরে দেশ-বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী এসে জমা হচ্ছে৷ কিন্তু তার বণ্টন নিয়ে সমস্যা রয়ে গেছে৷ টাকলোবান শহরের অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিমানবন্দরে চিকিৎসা তৎপরতা চলছে৷

ফিলিপাইন্সে ত্রাণ তৎপরতার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিভিন্ন দেশের প্রভাব-প্রতিপত্তির বিষয়টিও বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে৷ চীন সামগ্রিকভাবে গোটা অঞ্চলে প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করলেও ফিলিপাইন্সের ত্রাণের প্রশ্নে যথেষ্ট উদার মনোভাব দেখাচ্ছে না৷ ফলে বেইজিংয়ের প্রশাসন দেশে-বিদেশে সমালোচনার মুখে পড়ছে৷ বৃহস্পতিবার চীন অবশ্য চাপের মুখে তৎপরতা বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে৷

এই শূন্যস্থান পূরণ করতে বাড়তি উদ্যম নিয়ে এগিয়ে আসছে অ্যামেরিকা৷ দাবি করা হচ্ছে, যে সে দেশের ইতিহাসে এত বড় ত্রাণ তৎপরতা দেখা যায়নি৷ মার্কিন সামরিক বাহিনী রণতরী সহ বড় রকমের সাজ-সরঞ্জাম নিয়ে সাহায্যের কাজ চালাচ্ছে৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য