1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফিলিপাইন্স’এ পাওয়া গেল হাসিমুখো পোকা

৯ জুন ২০১১

মানুষ মহাকাশের গভীরে পৌঁছে গেলেও পৃথিবীর বুকে যে এখনো অনেক প্রজাতি আবিষ্কারের কাজ বাকি, তা বার বার প্রমাণিত হচ্ছে৷ যেমন ফিলিপাইন্সে এবার আবিষ্কৃত হলো চমকপ্রদ কিছু প্রাণী৷

https://p.dw.com/p/11XHN
An exhibition of carnivorous plants in Silesian Zoo in Chorzow, Poland, opened 09 August 2007. Carnivorous plants are plants that derive some or most of their nutrients (but not energy) from trapping and consuming animals or protozoans, most focusing on insects and other arthropods. They usually grow in places where the soil is thin or poor in nutrients, especially nitrogen, such as acidic bogs and rock outcroppings. Foto: EPA/ANDRZEJ GRYGIEL POLAND OUT +++(c) dpa - Report+++
ছবি: picture alliance/dpa

দ্বীপরাষ্ট্র ফিলিপাইন্স'এর হাজার হাজার দ্বীপের আনাচে-কানাচে লুকিয়ে রয়েছে অনেক রহস্য৷ সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস এবং কিছু স্থানীয় প্রতিষ্ঠান মিলে আবিষ্কার করেছে অদ্ভুত কিছু প্রাণী৷ এর মধ্যে রয়েছে হাসিমুখো ‘সিকাডা' জাতীয় পোকা, বিড়ালের মতো দেখতে হাঙর মাছ ইত্যাদি৷ পাওয়া গেছে একেবারে নতুন ধরণের তারামাছ, ইল মাছ সহ অনেক সামুদ্রিক প্রাণী৷ ক্যালিফোর্নিয়ার বিজ্ঞানী রিচার্ড মই জানিয়েছেন, তাঁরা কমপক্ষে ৭৫টি নতুন প্রজাতির প্রাণী আবিষ্কার করেছেন৷ তবে এখনো বিশ্লেষণের কাজ শেষ হয় নি৷ তখন হয়তো তালিকায় আরও নতুন নাম যোগ হবে৷ শুধু তারামাছ ও সি আর্চিন জাতীয় ২০টি প্রাণী আবিষ্কারের অকাট্য প্রমাণ পাওয়া গেছে৷ তাঁর সহকর্মী জন ম্যাককস্কার জানালেন বিড়ালের মতো দেখতে হাঙর মাছের কথা, যাদের পিঠের রঙ খয়েরি, তার উপর ডোরা কাটা দাগ৷ পেটের রঙ সাদা৷ এর আগে অন্য কোনো হাঙরের গায়ে এমন রঙ দেখা যায় নি৷ সমুদ্রপৃষ্ঠের প্রায় ২,০০০ মিটার গভীরে মাত্র ৬০ সেন্টিমিটার দীর্ঘ এই হাঙর পাওয়া গেছে৷ তাদের প্রধান খাদ্য চিংড়ি জাতীয় মাছ৷ বিজ্ঞানীদের দলের অপর সদস্য টেরি গসলাইনার সদ্য আবিষ্কৃত ইল মাছের কথাও জানালেন৷

তবে এর মধ্যে সবচেয়ে চমকপ্রদ প্রাণী বোধহয় হাসিমুখো পোকা৷ শুধু মুখে হাসি লেগে নেই, তার ডাক শুনলে মনে হবে যেন খিলখিল করে হাসছে৷ স্থানীয় মানুষজন এতদিন এই হাসি শুনে ভয় পেত৷ লুজন দ্বীপের মাউন্ট বানা-হ আগ্নেয়গিরির প্রায় ২,১৫৮ মিটার উচ্চতায় এই অদ্ভুত পোকা পাওয়া গেছে৷ এর আগে কেউ এমন পোকা দেখেছে কি না, তা জানতে ফ্রান্সের এক মিউজিয়ামে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে৷ লুজন দ্বীপেই আরও পাওয়া গেছে নতুন প্রজাতির মাকড়শা৷ বিজ্ঞানীদের দলে বড় বড় বিশেষজ্ঞ থাকায় তারা সহজেই এই সব প্রাণীকে একেবারে নতুন বলে চিহ্নিত করতে পেরেছেন৷ তবে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে গবেষণাগারে কিছু পরীক্ষা চালানো হচ্ছে৷ সেইসঙ্গে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে৷

এমন এক ঘটনার পর বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, আবিষ্কার না হলে এই সব প্রাণী হয়তো সবার অগোচরে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারতো৷ কারণ ফিলিপাইন্স'এ দূষণ যে মাত্রায় বাড়ছে, ও উষ্ণায়নের ফলে সমুদ্রের উচ্চতা যেভাবে বেড়ে চলেছে, সেকারণে গোটা এলাকায় প্রাণীজগত এমনিতেই বিপন্ন হয়ে উঠছে৷ এবার সদ্য আবিষ্কৃত এই সব প্রাণীকে বাঁচাতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হবে বলে বিজ্ঞানীরা আশা করছেন৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক