1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফাইনালের আগেই ফাইনাল: বায়ার্ন বনাম রেয়াল

২৯ এপ্রিল ২০১৪

চ্যাম্পিয়নস লিগে যখন এই দু’টি দল মুখোমুখি হয়, তখন সেটা কোয়ার্টার না সেমি, তা নিয়ে বিশ্বের কোনো ফুটবলপ্রেমী মাথা ঘামান না৷ তবে বায়ার্ন তার জার্মান টিকিটাকা ফুটবল দিয়ে রোনাল্ডো-বেইল-বেনজেমার ধাক্কা সামলাতে পারবে কি?

https://p.dw.com/p/1BpYq
ছবি: Reuters

বায়ার্ন হালের চ্যাম্পিয়ন এবং সেই খেতাব বজায় রাখতে চায়, যা এর আগে আর কোনো ক্লাবের পক্ষে সম্ভব হয়নি৷ পণ্ডিতরা সপ্তাহান্তে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর বুন্ডেসলিগা ও লা লিগার খেলা দু'টি খুঁটিয়ে বিশ্লেষণ করে দেখেছেন৷ বায়ার্ন ভ্যার্ডার ব্রেমেনকে হারিয়েছে ৫-২ গোলে, অর্থাৎ বায়ার্ন ছিল স্কোরিং মুডে৷ মুশকিল এই যে, বায়ার্নকে দু'টো গোল খেতে হয়েছে, যা তার ডিফেন্সের অবস্থা নিয়ে কর্মকর্তাদের চিন্তায় ফেলতে পারে৷

ব্রেমেনের বিরুদ্ধে খেলার প্রথমার্ধে বায়ার্নের ডিফেন্সকে বিশেষ করে কাউন্টার অ্যাটাকের বিরুদ্ধে নড়বড়ে বলে মনে হয়েছে – দু'দুবার বায়ার্নকে এক গোলে পিছিয়ে থাকতে দেখা গেছে৷ পাল্টা আক্রমণ রোখায় অসামর্থ্যের কারণেই এক সপ্তাহ আগে বের্নাবেউতে ১-০ গোলে হারে বায়ার্ন, ৬৪ শতাংশ বল পজেশন সত্ত্বেও৷

বল পজেশন মানে বল নিজের কাছে রাখা৷ ভালো কথা৷ কিন্তু বল কাছে রেখে বায়ার্নের কোনো সুবিধা হয়নি: কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা স্বয়ং স্বীকার করেছেন যে, বায়ার্নের হয়ত আর একটু ‘ভার্টিকাল' অর্থাৎ গোলমুখী খেলা উচিত৷ আর জার্মানি তথা বিশ্বের টেলিভিশন দর্শকরা দেখেছেন, বায়ার্নের আক্রমণে ধার নেই, বায়ার্নের আক্রমণ ভোঁতা৷ বায়ার্ন কিংবদন্তি ফ্রানৎস বেকেনবাউয়ার, যিনি আবার ক্লাবের সাম্মানিক প্রেসিডেন্টও বটে, তিনি স্বয়ং বলেছেন: ‘‘প্রতিপক্ষ যদি উন্নততর সুযোগগুলো সৃষ্টি করে, তা হলে বল পজেশনের কোনো অর্থ হয় না৷ ওরা যে শুধু একটা গোল দিয়েছে, সেটা আমাদের কপাল ভালো বলে৷''

এক কথায়, মঙ্গলবারের সেকেন্ড লেগটি পেপ গুয়ার্দিওলার পক্ষেও পরীক্ষা হয়ে দাঁড়াতে পারে, কেননা জার্মান গণমাধ্যমে তাঁর ‘ট্যাকটিক্স' নিয়ে অসন্তোষের চিহ্ন সুস্পষ্ট৷ গুয়ার্দিওলা যেন বায়ার্নকে ল্যাবোরেটরি বানিয়ে নানা ধরনের ‘কৌশলগত পরীক্ষা-নিরীক্ষা' চালাচ্ছেন: ফিলিপ লামকে ফুলব্যাক থেকে মিডফিল্ডে; টোনি ক্রোসকে অ্যাটাকিং মিডফিল্ড থেকে ডিফেন্সে৷ বায়ার্নের গত ১২টি বুন্ডেসলিগা খেলায় গুয়ার্দিওলা ম্যাচ প্রতি স্টার্টিং লাইন-আপে গড়ে পাঁচটি করে পরিবর্তন এনে সেই ‘ম্যাজিক ফর্মুলা' আবিষ্কার করার চেষ্টা করেছেন৷ কিন্তু বায়ার্নের খেলায় পূর্বাপর কোনো চমক নেই৷

Champions League Real Madrid Bayern München
বায়ার্নের কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা ও রেয়ালের কার্লো আন্সেলত্তিছবি: picture-alliance/dpa

দন্তহীন, ‘বোরিং': ফার্স্ট লেগে বায়ার্নের খেলা সম্পর্কে এই ছিল জার্মান মিডিয়ার নিষ্করুণ মন্তব্য৷ ওদিকে রেয়াল লা লিগায় তাদের শেষ চারটি খেলায় গোল দিয়েছে ১৭টি, নিজেরা কোনো গোল না খেয়ে৷ গত শনিবারেও মাদ্রিদ ওসাসুনাকে হারায় ৪-০ গোলে, তার মধ্যে ছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর দু'টি গোল৷ সে খেলায় গ্যারেথ বেইল, করিম বেনজেমা, ডিফেন্ডার পেপে ও মিডফিল্ডের সাবি আলন্সোকে না নামিয়ে তাদের রেস্ট দিয়েছেন রেয়ালের কোচ কার্লো আন্সেলত্তি৷

মঙ্গলবারের খেলা সম্পর্কে আন্সেলত্তির মন্তব্যটি সরাসরি ভীতিপ্রদর্শন হিসেবে গণ্য না হলেও, ভীতিকর: ‘‘আমার দলের খেলোয়াড়দের উপর গভীর বিশ্বাস এবং বাকি সকলের তা-ই করা উচিত, বলে আমার ধারণা৷ বেইল, বেনজেমা আর ক্রিস্টিয়ানো যদি ভালো থাকে, তাহলে তারা খেলবে এবং আমাদের প্রথম প্রচেষ্টা হবে গোল করার, ডিফেন্ড করার নয়৷''

সেটাই তো বায়ার্নের বলিরেখা গভীরতর হবার কারণ: মাদ্রিদে বায়ার্ন কোনো গোল করতে পারেনি; এখন মিউমিখে যদি রেয়ালের গোল করা রোখা না যায়...

এসি/ডিজি (এপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য