1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুই দলের নিরাপত্তা কমিটি

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৬ মার্চ ২০১৩

সাধারণের নিরাপত্তার জন্য সরকার এবং বিরোধী দল উভয়ই কমিটি গঠন করছে৷ তবে প্রশ্ন উঠেছে, এই ধরণের কমিটির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে কিনা৷ নাকি উল্টে সাধারণ মানুষকে অনিশ্চয়তায় ফেলে দেবে৷

https://p.dw.com/p/17yhy
ছবি: Reuters

গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি জামায়াত নেতা মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর সারা দেশে ব্যাপক সহিংস ঘটনা ঘটে৷ জামায়াত-শিবির রায়ের প্রতিবাদের হামলা চালায় পুলিশের ওপর৷ হামলা হয় সংখ্যালঘুদের ঘর-বাড়ি, উপসনালয়ে৷ আর এই সংঘাতে পুলিশ ও সাধারণ মানুষহ প্রায় শতাধিক ব্যক্তির প্রাণহানির ঘটনা ঘটে৷ রাষ্ট্রীয় সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়৷ এরপর সরকার দেশের প্রতিটি অঞ্চলে জনসাধারণকে নিয়ে সন্ত্রাস ও নাশকতা বিরোধী কমিটি গঠনের কাজ শুরু করে৷ বিরোধী দল বিএনপিও জননিরাপত্তা কমিটি গঠনের ঘোষণা দেয়৷

নিরাপত্তা বিশ্লেষক এবং সেন্টার পর পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্ট্যাডিজ-এর প্রধান মেজর জেনারেল এম মুনীরুজ্জামান(অব.) ডয়চে ভেলেকে জানান, এই পাল্টাপাল্টি কমিটি নতুন করে সংঘাত উসকে দেবে৷ সরকারের কমিটিতে স্বাভাবিকভাবেই স্থানীয় আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের নেতা কর্মীদের প্রাধান্য থাকবে৷ আর বিরোধী দলের কমিটিতে বিএনপি-জামায়াতসহ ১৮ দলের নেতা-কর্মীরা প্রাধান্য পাবেন৷ ফলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা বলা হলেও মূলত সরকার ও বিরোধী দলের দুই কমিটি বিভিন্ন এলাকায় মুখোমুখি অবস্থান নেবে৷ তাতে আবার নতুন করে সংঘাত-সংঘর্ষ দেখা দিতে পারে৷

Delwar Hossain Sayedee Kriegsverbrechen Todesurteil Bangladesch
ছবি: AFP/Getty Images

এম মুনীরুজ্জামান মনে করেন, সরকারের উচিত মানুষের নিরাপত্তার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে নিরপেক্ষভাবে কাজে লাগানো৷ তারা যদি মানুষের নিরাপত্তার জন্য কার্যকরভাবে কাজ করেন তাহলে মানুষ ভরসা পাবে৷ তারা নাশকতা বা সন্ত্রাসের আলামত পেলে খবর দেবে৷ আর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যদি তাদের আস্থা অর্জন করতে পারে তাহলে সাধারণ মানুষই কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলবে সন্ত্রাস এবং নাশকতার বিরুদ্ধে৷ তিনি বলেন ২৮শে ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ই মার্চ পর্যন্ত সহিংস ঘটনায় পুলিশকে জানিয়েও মানুষ সহায়তা পায়নি এমন একাধিক ঘটনার খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে৷ পুলিশকে দ্রুত সাড়া দিতে হবে৷

পুলিশের সাবেক আইজি মোহাম্মদ নুরুল হুদা মনে করেন, এই সময়ে দেশে যে বিভাজন তাতে তাতে ২টি কমিটিই পক্ষপাতদুষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়৷ ফলে তারা যে তালিকা এবং তৈরি করবে তাও পক্ষপাতদুষ্ট হবে৷ আর এই ধরণের কমিটির সন্ত্রাসী বা নাশকতায় জড়িত ব্যক্তিদের তালিকা তৈরির ম্যান্ডেট থাকা উচিত নয়৷ রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর যে কাজ তা অন্যকে দেয়া যায়না৷ তাই উচিত হবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কার্যকরভাবে কাজে লাগান৷ অন্যথায় সরকার ও বিরোধী দলের এই দুই কমিটি যত ভাল উদ্দেশ্যেই করা হোক না কেন তা শেষ পর্যন্ত নতুন সংঘাতেরই ইন্ধন যোগাবে৷ জননিরাপত্তা বা সাধারণ মানুষের মধ্যে নিরাপত্তা বোধ তৈরি করবেনা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য