1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রোস্টেট ক্যান্সার গবেষণার ফল নিয়ে বিতর্ক

১২ এপ্রিল ২০০৯

প্রোস্টেট ক্যান্সার নিয়ে গোটা বিশ্বেই চলেছে অনেক গবেষণা৷ তবে সম্প্রতি দুটি গবেষণার ফলাফল নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে নতুন করে বিতর্ক৷

https://p.dw.com/p/HVIQ
গবেষণাগারে পরীক্ষায় ব্যস্ত এক বিজ্ঞানী (ফাইল ফটো)ছবি: picture-alliance/ dpa

এই দুটি গবেষণা চালিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বিজ্ঞানীরা৷ বছরের পর বছর ধরে তারা হাজার হাজার মানুষের ওপর এ গবেষণা চালিয়েছেন৷ তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী ও ইউরোপীয় বিজ্ঞানীদের গবেষণার ফলাফল কিন্তু ভিন্ন৷ এক হিসেবে বলা যায় বিপরীতমুখী৷ তাই নতুন এ গবেষণা জন্ম দিয়েছে বিতর্কের৷ তবে তার আগে প্রোস্টেট ক্যান্সার নিয়ে একটু বলে নিই৷

চিকিৎসকদের মতে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রোস্টেট ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে থাকে৷ বিশেষ করে ৫০ বছরের বেশি যাদের বয়স তাদের প্রোস্টেট ক্যান্সার যাতে না হয় সেজন্য নিয়মিত চেকআপ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা৷ এই চেকআপ করাতে গিয়ে যে পরীক্ষা করা হয় তার নাম প্রোস্টেট স্পেসিফিক এন্টিজেন বা পিএসএ৷ রক্তে পিএসএস লেভেলের মাত্রা প্রতি যদি প্রতি মিলিয়নে ৪থেকে ১০ গ্রামের মধ্যে থাকে তাহলে প্রোস্টেট ক্যান্সারের আশংকা রয়েছে বলে ধরা হয়৷ উন্নত বিশ্বের পঞ্চাশোর্ধ বেশিরভাগ মানুষ পিএসএ টেস্ট করিয়ে থাকেন৷ অনেকে প্রোস্টেট ক্যান্সারের সম্ভাবনা না থাকলেও কেবল আশংকা থেকেই বিভিন্ন ধরণের চিকিৎসা নিয়ে থাকেন৷

Senioren beim Nordic-Walken
পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তিদের প্রোস্টেট ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকেছবি: www.BilderBox.com

এবার ফিরে আসি গবেষণনার কথায়৷ প্রোস্টেট ক্যান্সার ঠেকাতে বয়স্ক ব্যক্তিরা যেসব চিকিৎসা করে থাকেন সেগুলো কেমন কাজে দেয় তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন নানা গবেষণা চালিয়েছেন৷

যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা ১৯৯২ সাল থেকে প্রায় ৭৫ হাজার মানুষের ওপর নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা চালান যাদের বয়স ৫৫ থেকে ৭৪৷ এসব লোক প্রতি বছর পিএসএ টেস্ট করেছে৷ অপরদিকে ইউরোপের বিজ্ঞানীরা ১৯৯০ সাল থেকে সাতটি দেশের প্রায় এক লাখ ৬২ হাজার মানুষের ওপর তাদের পরীক্ষা চালান যাদের বয়স ৫৫ থেকে ৬৯ পর্যন্ত৷ ইউরোপের বিজ্ঞানীরা দেখতে পান যে প্রতি চার বছর পরপর পিএসএ পরীক্ষা করলে প্রোস্টেট ক্যান্সারে মৃত্যুর হার ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে৷ কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীদের গবেষণায় মৃত্যুর হার কমার কোন প্রমাণ ধরা পড়েনি৷ ইউরোপের বিজ্ঞানীদের গবেষণায় যারা আশাবাদী হয়ে থাকবেন তারাই আবার নিরাশ হবেন মার্কিন বিজ্ঞানীদের গবেষণার কথা শুনলে৷ বিজ্ঞানীদের এ দুই ধরণের গবেষণার ফলাফল বিতর্কের ঝড় তুলেছে চিকিৎসা বিজ্ঞান জগতে৷

প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারুক