1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাঘ বিতর্ক

২৮ আগস্ট ২০১২

সপ্তাহান্তে জার্মানির কোলন শহরের চিড়িয়াখানায় বাঘের হাতে সেখানকার এক কর্মী নিহত হয়েছেন৷ বাঘটাকেও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে৷ এ নিয়ে এখন চলছে বিতর্ক৷

https://p.dw.com/p/15y2K
ছবি: dapd

বাঘটার নাম আলতাই৷ বয়স চার৷ পুরুষ এই বাঘটির খাঁচা পরিষ্কার করতে ঢুকেছিলেন চিড়িয়াখানার এক নারী কর্মী৷ কিন্তু নিরাপত্তা দরজা বন্ধ করতে ভুলে যান তিনি৷ ফলে বাঘটি খাঁচায় ঢুকে পড়ে ঐ নারী কর্মীকে আক্রমণ করতে থাকে৷ ঘটনা সামাল দিতে পুলিশের আহ্বানে সাড়া দিয়ে চিড়িয়াখানার প্রধান কর্মকর্তা গুলি করে বাঘটিকে মেরে ফেলেন৷ এরপর তড়িঘড়ি করে নারী কর্মীটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কিন্তু তাঁকে বাঁচানো যায় নি৷

এই ঘটনার পর বিভিন্ন অনলাইন ফোরামে বিতর্ক শুরু হয়েছে৷ তাঁদের বেশিরভাগই ঐ নারী কর্মীটির মৃত্যুতে নয়, হতাশা প্রকাশ করেছেন বাঘটির মৃত্যুতে! এজন্য তাঁরা চিড়িয়াখানার প্রধান টেও পাগেল'এর বিচারও দাবি করেছেন৷

কেউ কেউ বলছেন, বাঘটিকে গুলি না করে ঘুম পাড়ানো ওষুধ দিয়ে দমানোর চেষ্টা করা যেত৷ কিন্তু চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, এতে অনেক দেরি হয়ে যেত৷

এদিকে এই ঘটনায়, বাঘ সহ বনের পশুপাখিকে চিড়িয়াখানায় বন্দি করে রাখাটা যুক্তিসঙ্গত কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়েছে৷ যেমন ‘দি পিপল ফর দি এথিক্যাল ট্রিটমেন্ট অফ অ্যানিমেলস' বা পেটা নামের একটি সংস্থা বলেছে যে, এই ঘটনার শিক্ষা হলো এই যে, চিড়িয়াখানায় বাঘ রাখতে নেই৷ কেননা বাঘকে খাঁচায় পুড়ে রাখার শতভাগ কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই৷

পেটা সংস্থার এক মুখপাত্র পেটার হ্যোফকেন বলেন, এ বছর কোলন সহ জার্মানির মোট তিনটি চিড়িয়াখানা থেকে চিতাবাঘ পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে৷ তিনি বলেন, ‘‘পশুপাখিরা সবসময় বের হয়ে আসতে চায়৷ কোনো বাঘ যদি মানুষকে আক্রমণ করার বা পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় তাহলে সে সেই সুযোগটা গ্রহণ করতে চায়৷''

তবে জার্মানির চিড়িয়াখানাগুলোর কর্মীদের সংগঠনের মহাসচিব পেটার ডোলিঙার বলেছেন, চিড়িয়াখানার নিরাপত্তা নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে সেসব ‘একদম বাজে' কথা৷ তিনি বলেন, গত এক দশকে এরকম কর্মী নিহতের ঘটনা ঘটেছে মাত্র দু'তিনটি৷

জেডএইচ / এসবি (ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য