প্রাকৃতিকভাবে তৈরি প্রোটিন ক্যান্সার চিকিৎসায় কার্যকর হতে পারে
১৫ জানুয়ারি ২০১১এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানী এবং চিকিৎসকরা টিউমার চিকিৎসায় যার ওপরে ভিত্তি করে কাজ করছেন, তা হচ্ছে, নালিগুলোর সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া৷ আর এর ফলেই তাদের পুষ্টির জন্য সরবরাহও বন্ধ হয়ে যায়৷ এর পরেও সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেলজিয়ামের ল্যুভেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি দল বলছেন, হয়তোবা এটির আরো কোনো উপায় আছে৷
শুক্রবার ক্যান্সার সেল জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন, রক্তে পাওয়া প্রোটিন হিস্টিডিয়েন-রিচ গ্লাইকোপ্রোটিন বা এইচআরজি ব্যবহার করে বিশেষ প্রতিরোধক জীবকোষ কার্যকর করা সম্ভব৷ যা টিউমারের বেড়ে ওঠাকে বাধাগ্রস্ত করে৷
উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লিনা ক্লেসন-ওয়েলস এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘‘আমাদের সমীক্ষায় দেখা গেছে, টিউমার সংক্রান্ত দাহ্য ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে৷ এবং এইচআরজি-র উন্নয়ন ঘটিয়ে ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য ওষুধ তৈরিরও একটা বড় ধরণের সম্ভাবনা রয়েছে৷''
এই গবেষণা যদিও এখন পর্যন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রেও এইভাবে এখনও কোনো চেষ্টা করা হয়নি৷ বেলজিয়ান দলের পেটার কারমিলিয়েট বলেন, ‘‘টিউমারকে যদি উপোস রাখা হয়, অর্থাৎ সেই টিউমার যদি রক্ত, বা রক্তরস না পায় তাহলে সেখানে অক্সিজেনের অভাব ঘটতে পারে৷ যার ফলে তৈরি হতে পারে একটি অতি ক্ষুদ্র বৈরী পরিবেশ, যেখান থেকে কোষগুলো পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে৷'' তিনি বলেন, ‘‘তারা অন্য কোথাও যাওয়ার জন্য জায়গা খোঁজে৷ ফলে শরীরে এমন একটা অবস্থা তৈরি হয়, যাতে বেশিরভাগ রোগীই প্রাণ হারায়৷
কারমিলিয়েট এবং তাঁর সহকর্মীরা ব্রেস্ট এবং পাকস্থলীর ক্যান্সারসহ কয়েক ধরণের ক্যান্সারের ওপরে পরীক্ষাগারে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা চালিয়েছেন৷ সেখানে তাঁরা এইচআরজি ব্যবহার করে টিউমারের রক্তকণিকাতে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়িয়েছেন৷ কারমিলিয়েট বলেন, ‘‘এতে হয়তো আপনারা ভাবতে পারেন, টিউমারটি বিশাল বড় হয়ে বেড়ে উঠেছে, কিন্তু আসলে আমরা যা পেয়েছি, সেটি হচ্ছে, অতিরিক্ত অক্সিজেন সরবরাহ করার ফলে তারা এতোটাই সুখি বোধ করেছে যে, আর বাড়ার প্রয়োজন বোধ করেনি৷''
প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ