প্রযুক্তির উন্নতি সত্ত্বেও থামছে না বিমান দুর্ঘটনা
৭ জুন ২০০৯যেমনটি কয়েকদিন আগে আটলান্টিক মহাসাগরে এয়ারফ্রান্স এর একটি বিমান দুর্ঘটনায় পড়ে৷ সব মিলিয়ে মোট ২২৮ জন ছিলেন বিমানটিতে৷ এই দুর্ঘটনার কারণ জানতে একাধিক দেশ চালাচ্ছে তদন্ত এবং অনুসন্ধান৷ সাধারণত বিমান দুর্ঘটনায় কোন যাত্রীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা থাকে না বললেই চলে৷ এ জন্য সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও আরো আধুনিকায়ন করা হয়েছে৷ বিমান যখন পূর্ণগতিতে আকাশে ওড়ে তখন ভূমি থেকে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার ফুট উচ্চতায় তা অবস্থান করে৷ কিন্তু কোন কারণে বিমানে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে বিমানটিকে ভূমি থেকে ১০ থেকে ১৫ হাজার ফুট উচ্চতায় নামিয়ে আনা হয়৷ কারণ ভূমি থেকে অনেক বেশি উপরে থাকলে অক্সিজেনের অভাবে যাত্রীদের শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেয়৷ বিমানযাত্রীদের প্রত্যেকের জন্যই আলাদা লাইফ বেল্ট থাকে৷ বিমানের নিজস্ব বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও ল্যান্ডিং গিয়ার অক্ষত থাকে যাতে করে জরুরি অবতরণ করা যায়৷ বিমানে যদি আগুন ধরে যায় তাহলে প্রয়োজন হলে বিমানের জ্বালানি তেল ফেলে দেন পাইলট৷ অন্য যে কোন ধরণের সমস্যা মোকাবিলা করা যাতে সম্ভব হয় সেজন্য বিমানের ক্রুদের দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়৷ দেখা গেছে বিমান দুর্ঘটনার জন্য বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই থাকে পাইলটের ভুল চালনা নয়তো যান্ত্রিক ত্রুটি৷ এছাড়া দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিমান দুর্ঘটনার জন্য দায়ী৷
প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারুক