1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পোশাক শ্রমিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ

২৬ নভেম্বর ২০১২

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রফতানিকারক হলেও বাংলাদেশের পোশাক কারখানায় আগুন লাগার ঘটনা মাঝে মধ্যেই ঘটে থাকে৷ শনিবার আশুলিয়ার অগ্নিকাণ্ড ছিলো পোশাক কারখানায় সবচেয়ে বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা৷

https://p.dw.com/p/16pcZ
An army personnel inspects the burnt machineries of a garment factory after a devastating fire in Savar November 25, 2012. A fire swept through a garment factory on the outskirts of Bangladesh's capital killing more than 100 people, the fire brigade said on Sunday, in the country's worst ever factory blaze. REUTERS/Andrew Biraj (BANGLADESH - Tags: DISASTER BUSINESS TEXTILE MILITARY)
ছবি: Reuters

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম দেশ বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রফতানিতে দিন দিন সুনাম কুড়াচ্ছে৷ বিপরীত দিকে পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার জন্য দুর্নামও কুড়িয়ে যাচ্ছে৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্য মতে, বিগত ২০০৬ সালে চট্টগ্রামের একটি পোশাক কারখানায় আগুন লেগে গেলে ৮৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছিলো৷ শনিবার রাতে রাজধানী ঢাকার অদূরে আশুলিয়ার তাজরিন ফ্যাশন নামে কারখানাটিতে আগুন লাগলে অন্তত ১১২ জন মানুষ প্রাণ হারায়৷ নীচের দিকে আগুন লাগায় শ্রমিকেদের অনেকে আটকা পড়ে ওপরে৷ প্রাণে বাঁচতে অনেকে নয় তলা ভবনের জানালা ভেঙ্গে লাফ দিলে নিহত হয়৷

Relatives mourn the death of a garment worker after a devastating fire in a garment factory in Savar November 25, 2012. A fire swept through Tazreen Fashion factory in the Ashulia industrial belt of Dhaka, on the outskirts of Bangladesh's capital killing more than 100 people, the fire brigade said on Sunday, in the country's worst ever factory blaze. REUTERS/Andrew Biraj (BANGLADESH - Tags: DISASTER BUSINESS EMPLOYMENT TPX IMAGES OF THE DAY)
স্বজন হারিয়ে শোকার্ত মানুষছবি: Reuters

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, তাজরিন ফ্যাশন নামে কারখানাটি গত ২০০৯ সালে চালু হয়৷ সেখানে কাজ করতো ১,৬৩০ জন শ্রমিক৷ এই কারখানা থেকে ইউরোপের সি অ্যান্ড এ এবং হংকং এর লি অ্যান্ড ফুং এর মতো নামকরা ব্র্যান্ডের পোশাক সরবরাহ করা হতো৷ সি অ্যান্ড এ কোম্পানির মুখপাত্র থর্স্টেন রল্ফস এএফপিকে জানিয়েছেন, তারা এই কারখানায় ২,২০,০০০ সোয়েটার তৈরির অর্ডার দিয়েছিলেন৷

এদিকে এই অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ তাজরিন ফ্যাশনের মালিক প্রতিষ্ঠান টুবা গ্রুপের দাবি, কারখানাটিতে ৬০ টি ধোঁয়া শনাক্তকরণ এবং ২০০টি অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র ছিলো৷ বাংলাদেশে মাঝে মধ্যেই পোশাক কারখানাতে আগুন লাগে এবং তাতে পোশাক শ্রমিকরা প্রাণ হারায়৷ আমস্টারডাম ভিত্তিক ক্লিন ক্লোথ ক্যাম্পেইন এর তথ্য মতে, গত ২০০৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫০০ শ্রমিক আগুনে পুড়ে মারা গেছে৷ এইসব কারখানাকে মরণ ফাঁদ বলে অভিহিত করেন ক্যাম্পেইনের মুখপাত্রী ইনিকে সেলডেনরুস্ট৷ উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসে পাকিস্তানেও পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে৷ তাতে মারা যায় ২৮৯ জন পোশাক শ্রমিক৷

আরআই/এএইচ (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য