1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চৌম্বক ক্ষেত্রের রহস্য

আলেক্সান্ড্রা হারডর্ফ/এসবি২৫ জানুয়ারি ২০১৪

পৃথিবীকে শুধু বায়ুমণ্ডল ঘিরে রাখেনি, আছে আরও একটি বর্ম, যা খালি চোখে দেখা যায় না৷ সেটা হলো চৌম্বক ক্ষেত্র৷ জটিল ও অদৃশ্য এই বলয় সম্পর্কে জানতে নতুন একটি উদ্যোগ শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা৷

https://p.dw.com/p/1Awnc
SWARM-Mission der ESA
ছবি: ESA

পৃথিবীর উপর আঘাত হেনে চলেছে কসমিক পার্টিকল বা মহাজাগতিক কণা৷ সূর্য থেকে সেই কণা ধেয়ে চলেছে মহাকাশের দিকে৷ আমাদের গ্রহের চৌম্বক ক্ষেত্র সেই ধাক্কা সামলাচ্ছে৷ এই বলয় না থাকলে পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্বই থাকতো না৷

অদৃশ্য এই বর্ম পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে তিনটি যমজ স্যাটেলাইট৷ মিশনের নাম ‘সোয়ার্ম'৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চৌম্বক ক্ষেত্রের প্রকৃতি কীভাবে বদলায়, এই প্রথম তা পরীক্ষা করা হচ্ছে৷ জার্মান ভূ-গবেষণা কেন্দ্রের হ্যারমান ল্যুয়র বলেন, ‘‘কোনো স্যাটেলাইট পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র নিখুঁতভাবে পরিমাপ করতে চাইলে যন্ত্রটি এমন জায়গায় রাখতে হবে, যাতে কোনো ব্যাঘাত না ঘটে৷''

SWARM-Mission der ESA
মিশনের নাম ‘সোয়ার্ম'ছবি: GFZ

সে কারণে এই স্যাটেলাইট দেখতে অনেকটা রুশ ‘বালালাইকা' গিটারের মতো৷ সংবেদনশীল যন্ত্রগুলি তার মাস্তুলে বসানো রয়েছে – অর্থাৎ স্যাটেলাইটের নিজস্ব ইলেকট্রনিক যন্ত্রগুলো থেকেও দূরে৷ পৃথিবীর বর্ম দুর্বল হয়ে পড়ছে৷ কেন? সোয়ার্ম অভিযান তা জানার চেষ্টা করছে৷ আসলে আমাদের গ্রহে মোট তিনটি চৌম্বক ক্ষেত্র রয়েছে, যা ছড়িয়ে রয়েছে ভূ-পৃষ্ঠের নীচে ও পৃথিবীর কাছাকাছি মহাকাশ পর্যন্ত৷ ভূ-পৃষ্ঠের ঠিক নীচে সবচেয়ে শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়৷ ভূতত্ববিদ ও ভূ-পদার্থবিদদের কাছে এই স্তরের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে৷

দ্বিতীয় চৌম্বক ক্ষেত্র সৃষ্টি হয় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে৷ সেখানে ইলেকট্রিক স্রোত বইতে থাকে৷ সেগুলিই অসাধারণ ‘পোলার লাইট' বহন করে, যা ক্ষতিকারক নয়৷ কিন্তু এই স্রোত স্যাটেলাইটগুলির জন্য বিপজ্জনক হতে পারে৷ ইলেকট্রনিক যন্ত্র বিকল করে দিতে পারে, ন্যাভিগেশন সংকেতে গোলযোগ সৃষ্টি করতে পারে৷ হ্যারমান ল্যুয়র বলেন, ‘‘পৃথিবীর মহাসাগরগুলিও তাদের ঢেউয়ের মাধ্যমে এক চৌম্বক ক্ষেত্র সৃষ্টি করে৷ তবে সেটা খুবই ছোট আকারের৷ তবে তার নিখুঁত পরিমাপ করতে চাই আমরা৷''

এটা করলে সামুদ্রিক স্রোত কত বড় ও তার মাধ্যমে কতটা উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে, তা আরও স্পষ্ট করে জানা যাবে৷ এই সব তথ্যের সাহায্যে গবেষকরা জলবায়ু সম্পর্কে আরও ভালো পূর্বাভাষ দিতে পারবেন৷

সোয়ার্ম মিশনের মেয়াদ ধরা হয়েছে পাঁচ বছর৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য