1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পূর্ব জেরুসালেম ইস্যুতে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ দাবি

১৭ মার্চ ২০১০

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটন বুধবার জর্ডানের রাজার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন৷ এর আগে তিনি পূর্ব জেরুসালেম ইস্যু ছাড়াও, সিরিয়া এবং ইসরায়েলের মধ্যে শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরুর কথাও বলেন৷

https://p.dw.com/p/MVKB
ফাইল ফটোছবি: Berthold Werner

মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটন বুধবার জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ-র সঙ্গে বৈঠক করেন৷ বৈঠকে জেরুসালেমে ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন আব্দুল্লাহ৷ তিনি বলেন, জেরুসালেমের আরব অধিবাসী, মুসলিম এবং খ্রিষ্টানদের উপর ইসরায়েল আধিপত্য বিস্তার করতে চাইছে এবং এই ইস্যুতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের নিরব থাকা উচিত নয়৷

এর আগে অ্যাশটন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ এর সঙ্গে বৈঠক করেন৷ বৈঠকে অ্যাশটন ইসরায়েলের সঙ্গে সিরিয়ার শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু করার প্রতি জোর দেন৷ গত বছর গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের পর বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ঐ পরোক্ষ শান্তি আলোচনা৷

এদিকে, প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বুধবারও দাবি করেছেন, পূর্ব জেরুসালেমসহ দখলকৃত এলাকায় সব ধরণের নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে হবে ইসরায়েলকে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমাগত চাপের মুখে মাত্র ১০দিন আগে ইসরায়েলের সঙ্গে পরোক্ষ শান্তি আলোচনায় সম্মত হন আব্বাস৷ কিন্তু এরপরই পূর্ব জেরুসালেমে নতুন বসতি নির্মাণের ঘোষণা দেয় ইসরায়েল৷ দেশটি এমন এক সময় এই ঘোষণা দেয় যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলে সফর করছিলেন৷ ফলে ভেঙ্গে পড়ে শান্তি আলোচনা৷

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিন্টন এই প্রসঙ্গে বলেন, এটা অপমানজনক এবং এটা শুধু ভাইস প্রেসিডেন্টের জন্য অপমানজনক নয়৷ তেমনটা তাঁর প্রাপ্যও নয়৷ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি স্থাপন এবং ইসরায়েলের জনগণের স্বার্থে শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য তিনি সেখানে গিয়েছিলেন৷ বিষয়টি গোটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর জন্যই অপমানজনক৷

অবশ্য ব্রাসেলস এর ফ্রি ইউনিভার্সিটির মার্কিন বিশেষজ্ঞ হারমান মাথিয়াস জানান, উচ্চ পর্যায়ে অবশ্যই সমঝোতা হবে, উদাহরণ হিসেবে এই বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন এবং নেতানিয়াহু-র কথা বলা যায়৷ শান্তি আলোচনা শুরুর আগে ইসরায়েল নতুন বসতি নির্মাণ বন্ধ করুক, যুক্তরাষ্ট্র শুধুমাত্র সেটা চায় - আমি সে কথা মনে করি না৷ কারণ, তাহলে তারা ইসরায়েল সম্পর্কে অন্য উদ্যোগ নিত৷ কিন্তু তারা সেটা করছে না৷

এদিকে, ইসরায়েলে এহেন সব ঘটনার মাঝেই দেশটির প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহুর শ্যালক হাজি বিন আর্টসি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে ইহুদি বিদ্বেষী বলে আখ্যা দিয়েছেন৷ বলাবাহুল্য এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে খোদ ইসরায়েল, একইসঙ্গে ইসরায়েলের নিরাপত্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের অঙ্গীকারের প্রতিও গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে দেশটি৷

প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ