1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পিৎসা বিক্রেতারা অলিম্পিকে

২০ ডিসেম্বর ২০১৩

এক সময় বাড়ি বাড়ি গিয়ে পিৎসা বিক্রি করেছেন তোমোকো সাকাগামি৷ তিনি এবং তাঁর মতো আরো কয়েকজন এভাবেই বদলে দিয়েছেন ভাগ্য৷ আসন্ন শীতকালীন অলিম্পিকে জাপানের হয়ে আইস হকি খেলবেন তাঁরা৷ সবাই গর্ব করে তাঁদের নিয়ে৷

https://p.dw.com/p/1AciB
Analogkäse auf Pizza
ছবি: dapd/Timur Emek

আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়ার সোচিতে শুরু হবে শীতকালীন অলিম্পিক৷ সেখানে আইস হকিতে অংশ নেবে জাপানের মেয়েদের দল৷ ফুটবল আর বাস্কেটবলের জনপ্রিয়তার কারণে কয়েক বছর আগেও আইস হকি খেলার জন্য কঠিন সংগ্রাম করতে হয়েছে জাপানের মেয়েদের৷ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বড় কোনো সাফল্য ছিল না৷ ১৯৯৮ সালে শীতকালীন অলিম্পিকের আয়োজক ছিল জাপান৷ সে আসর বসেছিল নাগানো শহরে৷ সেখানে পাঁচ ম্যাচের সবগুলোতেই হেরেছিল জাপানের মেয়েরা৷ মাত্র দুটি গোল করে খেয়েছিল ৪৫টি!

এমন যাঁদের পারফরম্যান্স তাঁদের খেলা দেখবে কে? খেলায় উন্নতি করার প্রেরণাই বা দেবে কে? তখন থেকে বলতে গেলে নিজেদের লড়াইটা নিজেরাই করেছে জাপানের মেয়েরা৷ খেলার পেছনে বেশি সময় দিতে গেলে ভালো কোনো চাকরি করা যায় না৷ চাকরিতে দিনের বেশিরভাগ সময় চলে গেলে খেলবেন কখন, প্র্যাকটিস করার সময়ইবা পাবেন কী করে!

Bildergalerie Ausblick Sportereignisse 2014 Olympia Sotschi
ছবি: KIRILL KUDRYAVTSEV/AFP/Getty Images

সে কারণেই খণ্ডকালীন চাকরি বা যে কাজে দিনের খুব বড় অংশ চলে যায় না এমন কাজ করেছেন সবাই৷ তোমোকো সাকাগামি তখন বাড়ি বাড়ি গিয়ে পিৎজা দিয়ে আসতেন৷ পিৎসা বিক্রির টাকায় কোনো রকমে চালাতেন নিজের যাবতীয় খরচ, বাকি টাকায় আইস হকির সরঞ্জামও কিনতেন৷

তোমোকো সাকাগামি একা নন, জাপানের বেশির ভাগ আইস হকি খেলোয়াড়কেই এভাবেই চলতে হয়েছে তখন৷ এমন কষ্ট করলে যে-কোনো ভালো কাজে সফল হওয়া সম্ভব৷ জাপানের মেয়েরা তা আবার প্রমাণ করে দেখিয়েছে৷ শুধু এমন একাগ্রচিত্তে পরিশ্রম করে যাওয়ার কারণেই বাছাই পর্ব পেরিয়ে সোচি শীতকালীন অলিম্পিকে অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছে তাঁরা৷

বাছাই পর্ব পেরোনোর পর থেকেই তোমোকো সাকাগামিসহ দলের সব খেলোয়াড়েরই ভাগ্য বদলে গেছে৷ এখন আর খণ্ডকালীন কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করার পাশাপাশি খেলায় উন্নতি করার জন্য খেটে মরতে হয় না তাঁদের৷ ভালো চাকরি জুটেছে৷ নিয়োগদাতারা প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্য কাজের সময়েই প্র্যাকটিস করার সুযোগও রেখেছেন৷

আর কী চাই! জাপানের আইস হকি দলের মেয়েরা এখন সোচিতে স্মরণীয় কিছু করে দেখানোর জন্য তুমুল উৎসাহে নিজেদের তৈরি করছেন৷

এ মুহূর্তে আইস হকির বিশ্ব ব়্যাংকিংয়ে জাপানের মহিলা দল আছে ১০ নম্বরে৷ তাঁদের পক্ষে সোচিতে পদক জেতা বেশ কঠিন হলেও অসম্ভব কিন্তু নয়৷ জাপানের মহিলা ফুটবল দলের কথা মনে আছে? ২০১১ বিশ্বকাপের আগে জাপানকে নিয়ে একটুও আশাবাদী ছিলেন না বিশেষজ্ঞরা৷ সেই দল ফাইনালে উঠেছিল এবং সেখানে যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল সবাইকে৷ তাই এবার সোচি অলিম্পিকে জাপানের মেয়েরাও সব হিসেব উল্টে দিতেই পারে৷

এসিবি/জেডএইচ (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য