পালিয়ে গেলেন থাকসিন
১১ আগস্ট ২০০৮অবৈধভাবে সরকারি জমি কেনার অভিযোগে দায়ের করা মামলার শুনানির জন্য সোমবার তাঁদের আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিলো৷ এদিকে শুনানিতে হাজিরা না দেয়ায় দ্রুতই ব্যবস্থা নিয়েছে থাই সুপ্রিম কোর্ট৷ জামিনের শর্ত অমান্য করায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে থাকসিন শিনাওয়াত্রা ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে৷ সেইসঙ্গে তাঁদের জামিনের ১ কোটি ৩০ লাখ বাট্ বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷
সোমবার সকালে শিনাওয়াত্রা হাতে লেখা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত৷ তাঁকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এসব করা হচ্ছে৷
ম্যানচেস্টার সিটি ফুটবল ক্লাবের মালিক ধনকুবের এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী আরো বলেছেন, যদি ভাগ্য ভালো থাকে তো আবারো ফিরবেন থাইল্যান্ডে৷ সাধারণ আর দশজন থাইয়ের মতো দেশের মাটিতেই মরতে চান তিনিও৷ নিজ দেশ ছেড়ে ব্রিটেন যাওয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন শিনাওয়াত্রা৷
পর্যবেক্ষকদের ধারণা, ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে পারেন সাবেক এই থাই প্রধানমন্ত্রী৷
২০০৬ সালে রক্তপাতহীন সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ব্রিটেনে নির্বাসনে যান শিনাওয়াত্রা৷ তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ আনা হয়৷ ৫ বছরের জন্য তাঁর উপর রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়৷ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় তাঁর থাই রাক থাই পার্টি৷
এ বছরের জানুয়ারিতে শিনাওয়াত্রা সমর্থিত পিপলস পাওয়ার পার্টি নির্বাচনে জিতে জোট সরকার গঠন করার পর মার্চে থাইল্যান্ড ফিরেছিলেন তিনি৷ তাঁর মাথার উপর ঝুলছে সরকারি অর্থে ব্যক্তিগত ব্যবসা বাড়ানো, কর ফাঁকি, ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীর নামে সরকারি জমি কেনা, সম্পত্তির তথ্য গোপন ছাড়াও বেশ কয়েকটি মামলা৷