1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাপানদ্রেউ'কে নিয়ে দোলাচলে ইউরো এলাকার ভবিষ্যৎ

৩ নভেম্বর ২০১১

ফ্রান্সের কান শহরে চলতি জি টোয়েন্টি সম্মেলনের শুরুতেই উঠে এল প্রসঙ্গ গ্রিস৷ ইউরোর সমস্যা নিয়ে আলোচনা এগোনোর সম্ভাবনা এই সম্মেলনে৷ শেয়ার বাজারে যদিও ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে৷

https://p.dw.com/p/134ZD
French President Nicolas Sarkozy, left, and US President Barack Obama walk together during arrivals for the G20 summit in Cannes, France on Thursday, Nov. 3, 2011. French President Nicolas Sarkozy will welcome Barack Obama of the U.S., Hu Jintao of China as well as the leaders of India, Brazil, Russia and the other members of the Group of 20 leading world economies in the city made famous by its annual film festival, but the event is far from the star turn the unpopular French leader had hoped to make six months before he faces a tough re-election vote. (AP Photo/Philippe Wojazer, Pool)
সম্মেলনে বারাক ওবামা ও নিকোলা সার্কোজিছবি: dapd

ফ্রান্সের কান শহরে জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশগুলির শীর্ষ নেতারা যখন আলোচনা শুরু করছেন, তার আগেই কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে ইউরোর দোলাচলকে ঘিরে বিশ্বজুড়ে শেয়ার বাজারে পড়ে গেছে সামান্য হলেও মন্দার প্রভাব৷ অভিন্ন ইউরোপীয় মুদ্রা ইউরোর ভবিষ্যৎ এবং গ্রিস সহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি ঋণের দায়ে জর্জরিত দেশগুলির সমস্যা কাটানোর পন্থা এই সম্মেলনে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷

সম্ভাবনা রয়েছে অন্য অনেক কিছুরই৷ ঋণের দায়ে জর্জরিত গ্রিসকে বাঁচাতে যে বিপুল অংকের অর্থ ধার হিসেবে পাওয়ানোর বন্দোবস্তো করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী পাপানদ্রেউয়ের অবস্থান নিয়ে এখন বেশ সংকটেই জি টোয়েন্টি৷ পাপানদ্রেউ আদৌ গ্রিসের এই বেইল আউটের বাকি অর্থ আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের কাছ থেকে যদি নিতে চান, সেক্ষেত্রে প্রথমে তাঁকে স্বদেশে পরিকল্পিত গণভোটে এর স্বপক্ষে অনুমোদন সংগ্রহ করতে হবে৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল সেই গণভোটের বিষয়ে আগাম হুঁশিয়ারি শুনিয়ে রেখেছেন৷ গতকাল বুধবার পাপনদ্রেউয়ের সঙ্গে কান শহরে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজির বৈঠকে সেকথাই স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন দুই নেতা৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আইএমএফের কাছে আরও ৮ বিলিয়ন ইউরো ঋণ পেতে গেলে গ্রিসকে প্রথমে দেশের অভ্যন্তরে আর্থিক সংস্কার কার্যকর করতে হবে৷ পাপান্দ্রেউ এ ব্যাপারে গণভোটের রায় চান৷ আগামী ৪ ডিসেম্বর গণভোটের দিন স্থির হয়েছে৷ প্রসঙ্গত, গ্রিসের অভ্যন্তরে কিন্তু এই আর্থিক সংস্কার নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্যাপক গণবিক্ষোভ দেখা যাচ্ছে৷ সেক্ষেত্রে পাপানদ্রেউ সরকারের পক্ষে এর মোকাবিলা করাটা কতটা বাস্তবসম্মত সে প্রশ্নও স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসছে৷

সম্ভবত সেদিকে তাকিয়েই গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী পাপানদ্রেউ নিজে এই সমস্যার দায়ভার কাঁধ থেকে নামাতে চেয়েই সরে যেতে চাইছেন বলে ধারণা করছে ওয়াকিবহাল মহল৷ বৃহস্পতিবার সকালে মন্ত্রিসভার একটি জরুরি বৈঠকের পর গ্রিক প্রধানমন্ত্রী নিজের পদত্যাগপত্র জমা দিতে পারেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে৷ তবে এ প্রতিবেদন পড়া পর্যন্ত তিনি পদত্যাগ করেন নি বলেই খবর৷

আই এম এফ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঋণ না পেলে গ্রিসের পক্ষে ইউরো তালিকায় থাকা সম্ভবপর হবেনা বলে মত প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা৷ সেক্ষেত্রে, ইউরোর ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন উঠে যাবে৷ সুতরাং, পাপানদ্রেউ এ বিষয়ে তাঁর নিজের সিদ্ধান্ত স্পষ্ট না করা পর্যন্ত, জি টোয়েন্টির আলোচনাও কিছুটা দোলাচলে রয়ে গেল৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য