1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ব্ল্যাক ফরেস্ট’-এর কাঠের কাজ

এলকে শোয়াব / এসবি২৮ ডিসেম্বর ২০১৩

এককালে যা গরিব মানুষের সম্বল ছিল, আজ তা শিল্পকর্মের উপাদান৷ জার্মানির ব্ল্যাক ফরেস্ট অঞ্চলে নিপুণ হাতে তৈরি কাঠের কাজের অসংখ্য নমুনা দেখা যায়৷ পর্যটকদের কাছেও এই ঐতিহ্য এক বড় আকর্ষণ৷

https://p.dw.com/p/1Ahbb
ছবি: Stadt Meßkirch

পিতামহের কাছ থেকেই কাঠ খোদাইয়ের কাজের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন ইয়োহানেস ক্যোপফার৷ কাঁচামাল তো বাড়ির সামনেই পাওয়া যায়৷ সব কাজেই কাঠের ব্যবহার হয়৷ ঘর গরম রাখতে, ঘর তৈরি করতে এবং শিল্পকলার কাজে৷ ক্যোপফার বলেন, ‘‘এর একটা ঐতিহ্য রয়েছে৷ আসলে অতীতে ব্ল্যাক ফরেস্ট অঞ্চলের মানুষ খুব গরিব ছিল৷ প্রায় প্রতিটি পরিবারই চাষবাসের উপর নির্ভর করতো৷ বাড়ির চারিদিকে কাঠের টালি লাগাতে হতো৷ নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক জিনিসপত্রও তৈরি হতো কাঠ দিয়ে৷''

একটি প্রদর্শনীতে এই শিল্পী তাঁর সৃষ্টিকর্মের বৈচিত্র্য তুলে ধরেছেন৷ আছে সুন্দর মূর্তি, বাইবেলের দৃশ্য এবং উৎসবের মুখোশ৷ ব্যার্নাউ উপত্যকার এক প্রান্তে রয়েছে কাঠের কাজের অপূর্ব নিদর্শন৷ সেখানে স্থানীয় উপকথার উপর ভিত্তি করে একটি কাঠের মূর্তি খোদাই করেছেন শিল্পী৷ রূপকথার জঙ্গলের দ্বারপ্রান্তও সেখানেই৷ ইয়োহানেস ক্যোপফার বলেন, ‘‘ব্যার্নাউ-এর রূপকথার জঙ্গল সত্যি জাদুময় এক জগত৷ ছোট ছোট নদী বয়ে যাচ্ছে, অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য৷ সব বয়সের মানুষই সেখানে স্বচ্ছন্দে হেঁটে বেড়াতে পারেন, আবিষ্কারে মেতে উঠতে পারেন৷''

ব্ল্যাক ফরেস্টের এই অংশে সংরক্ষিত এলাকায় পথনির্দেশিকাও আসলে শিল্পকর্ম৷ প্রায় ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথের প্রায় প্রতিটি বাঁকেই অপেক্ষা করে রয়েছে বিস্ময়৷ তারপর ব্যার্নাউ-এ ফেরার পথ৷ শিল্পের অনুরাগীদের জন্য গ্রামে রয়েছে বিশেষ মিউজিয়াম৷ ক্যোপফার বলেন, ‘‘হান্স টোমা ব্যার্নাউ-এরই সন্তান৷ তিনি এখানেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন৷ ১৯২০ সালে তিনি জার্মানির সবচেয়ে বিখ্যাত চিত্রশিল্পী ছিলেন৷ নিসর্গ, পোর্ট্রেট খুবই বাস্তব ভঙ্গিতে আঁকতেন৷ তাঁর ছবি দেখলেই বোঝা যায়, ব্যার্নাউ কত বদলে গেছে৷''

নিজের সময়ের ধারাকে অগ্রাহ্য করে হান্স টোমা বাস্তববাদী চিত্রশৈলীকেই বেছে নেন৷ গ্রামাঞ্চল ছিল তাঁর মোটিভ৷ সেই পথে অবিচল থেকে তিনি কার্লসরুয়ে শিল্পকলা অ্যাকাডেমির অধ্যাপক হয়েছিলেন৷

ব্যার্নাউ-এর পাহাড়ের উপরে রয়েছে আরেক আকর্ষণ৷ ঘণ্টাখানেক হেঁটে সেখানে পৌঁছাতে হয়৷ আবহাওয়া ভালো থাকলে সেখান থেকে ফ্রান্সের আল্পস পর্বতের মঁ ব্লঁ শৃঙ্গও দেখা যায়৷

পথিকদের বিশ্রাম নেয়ার জন্য অনেক জায়গা রয়েছে৷ অল্পস্বল্প খাওয়া-দাওয়ারও ব্যবস্থা আছে সেখানে৷ যেমন পাউরুটির সঙ্গে ব্ল্যাক ফরেস্টের বিখ্যাত মাংসের টুকরা৷ খেয়ে-দেয়ে নতুন উদ্যম নিয়ে আবার পথে নামতে হবে৷ ব্ল্যাক ফরেস্ট যে অপেক্ষা করে রয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য