1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরিবেশ বাঁচাতে উটের পেছনে ছুটছে অস্ট্রেলিয়া

১০ জুন ২০১১

ধরিত্রীকে বাঁচাতে উট মারো, অস্ট্রেলিয়ার সংসদ শেষ পর্যন্ত এই পথেই এগুলো৷ একটি উট মারলে ৭০ ডলার পুরস্কার৷ আসছে সপ্তাহে এই নিয়ে আইন পাশ করতে যাচ্ছে তাদের সংসদ৷ তা এতো কিছু থাকতে, হঠাৎ করে তারা উটের পেছনে ছুটলো কেন?

https://p.dw.com/p/11XmZ
মরুভূমির জাহাজ অস্ট্রেলিয়া পৌঁছল কি করে?ছবি: picture-alliance/ dpa

ভাবছেন, ক্যাঙ্গারুর দেশে উট আসলো কীভাবে ? একটা সময় ছিল যখন মোটরগাড়ি আবিষ্কৃত হয়নি, তখন এইসব উটদের দাদা-দাদি মানে তাদের পূর্বপুরুষদের নিয়ে আসা হয়েছিল ভারত থেকে৷ কিন্তু মোটরগাড়ি আসার পর, এসব উটকে আর দরকার হয়নি৷ তারপর থেকে কেবল বংশবৃদ্ধি করে গিয়েছে এসব উট৷ আর সংখ্যায় এখন তারা দাঁড়িয়েছে ১২ লাখেরও বেশি৷ অসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উটের সংখ্যা প্রতি সাত বছরে দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে৷ যদি তাই হয়, তাহলে কয়েক দশক পর দেখা যাবে অস্ট্রেলিয়াতে মানুষ আর উটের সংখ্যা সমান সমান৷

কিন্তু তাই বলে উট মারতে হবে ? আসলে মাঝে মধ্যেই উটের পাল জনবসতিতে হামলা চালিয়ে বসে৷ এইতো গত বছর, প্রায় ছয় হাজার উটের একটি বিশাল পাল আটকে দিল ডকার নদী৷ সেখানে পানির পাইপ ছিন্নভিন্ন করে দিল তৃষ্ণার্ত উটের দল৷ হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে উট মারতে অসি সরকার তখন অর্থও বরাদ্দ করে৷

Bdt Känguruh in Australien
অস্চ্রেলিয়ার আদিবাসিন্দা!ছবি: AP

অসি সংসদের যুক্তি অবশ্য সেটি নয়৷ তাদের দাবি, পরিবেশ রক্ষার খাতিরে এখন উটের সংখ্যা কমাতে হবে৷ নর্থওয়েস্ট কার্বন কোম্পানির প্রধান টিম মুরে এই সংক্রান্ত উদ্যোগের পেছনে রয়েছেন৷ এই প্রস্তাবের সমর্থকদের বক্তব্য, উট যে ঢেকুর তোলে তাতে তাদের পেট থেকে মিথেন গ্যাস বের হয়৷ এভাবে প্রতি বছর একটি উট বায়ুমন্ডলে ছড়িয়ে দিচ্ছে এক টন কার্বন গ্যাস৷ সংসদের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সেক্রেটারি কার্ম ড্রেফুস বলেন, উট হচ্ছে সবচেয়ে বড় বায়ু দূষনকারী৷

তবে এর বিরোধীতাও করছেন অনেকে৷ তাদের যুক্তি, একটি উট আর কতই বা কার্বন ছড়ায়, একটি মোটর গাড়ি তার চেয়েও অনেক বেশি কার্বন ছড়ায়৷ সংসদের বিরোধী দলের কৃষি বিষয়ক মুখপাত্র জন কব জানান, অস্ট্রেলিয়ার সব উট যে পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ করে - সেটি রাস্তা থেকে তিন লাখ গাড়ি সরিয়ে নিলেই সমান সমান হয়ে যাবে৷ তবে, পরিবেশ বাঁচাতে লাখ টাকার গাড়ি নষ্ট করার চেয়ে একটি উট মারা বোধহয় অনেক সহজ!

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ