1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পথশিশু থেকে ম্যান ইউ তারকা বেবে

২০ আগস্ট ২০১০

মাত্র এক বছর আগেও বাস্তুহারা আশ্রয়হীনদের বিশ্বকাপে খেলেছিল যেই ছেলেটি তাকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কিনে নিল ৯০ লাখ ইউরোর বিনিময়ে৷ ম্যান ইউ এর সাথে চুক্তির পর থেকে এই রূপকথার নায়ক পাচ্ছেন মাসে ৬৫ হাজার ইউরো করে৷

https://p.dw.com/p/Oryz
পথশিশু, ম্যান ইউ, তারকা, ফুটবলার, বেবে, Vitoria, Tiago Manuel Dias Correia, Bebe,
টিয়াগো ম্যানুয়েল ডিয়াস কোরেয়াছবি: AP

২০ বছর বয়সি এই ফুটবলারকে মাত্র কিছুদিন আগেও ঘুমাতে হতো আবর্জনার পাত্রটির পাশে৷ পুরনো পত্রিকা বিছিয়ে বানাতে হতো বিছানা৷ লিসবনের উপকণ্ঠে লোরেসের কাসা ডো গায়োটো এতিমখানায় কেটেছে তাঁর অনেকগুলো বছর৷ মাত্র দশ বছর বয়সেই তাঁকে ছেড়ে চলে যান তাঁর বাবা-মা৷ এরপর লিসবন আর লোরেসের পথে-ঘাটেও কেটেছে তাঁর বহু সময়৷

ছেলেটির নাম টিয়াগো ম্যানুয়েল ডিয়াস কোরেয়া৷ তবে সবাই ডাকে ‘বেবে' নামে৷ ম্যান ইউ ম্যানেজার স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন বলেন, ‘‘ছেলেটির জীবন ইতিহাস পড়লে মনে হবে সেটি কোন রূপকথার গল্প৷'' আশ্চর্যের বিষয় হলো, ৯০ লাখ ইউরো দিয়ে কেনার আগে এক সেকেন্ডের জন্যও বেবের খেলা দেখেননি ফার্গুসন৷ শুধুমাত্র তাঁর বন্ধু ও সাবেক সহকারী কার্লোস কুয়েরোজ এবং দলের সুপারিশেই চুক্তি করে ফেলেন রূপকথার এই নায়কের সাথে৷

বেবে যে এতিমখানায় থাকতেন তার ব্যবস্থাপক ফাদার আর্সেনিও বলেন, ‘‘ম্যানচেস্টারে তাঁর অন্তর্ভুক্তি বেবেকে খুব আহত করেছে৷ দুইদিন ধরে সে শুধু কাঁদছিল৷ সে আসলে লোরেস ছেড়ে যেতে চায়নি৷ বেবে ঐ এতিমখানার অন্যান্য ছেলেদের কাছে একটি উপমা এবং অনুপ্রেরণা হয়ে গেছে৷'' এতিমখানার সেবিকা আনা মারিয়া বলেন, ‘‘সে যখন আমাদের কাছে বিদায় নেয়, আমরা তখন সবাই কাঁদছিলাম৷''

ম্যান ইউ ভক্তরা ভাবছেন, ‘‘কে এই ছেলে?'' এমন প্রশ্ন করা শুরু হয়েছে যখন বেবে এবং ম্যান ইউ এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় তখন থেকেই৷ বেবে মাত্র একটি মৌসুম পার করেছেন সেকেন্ড ডিভিশনের ক্লাব এস্ট্রেলা ডা আমাডোরার সাথে৷ এরপরেই মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে ফার্স্ট ডিভিশন ক্লাব ভিটোরিয়া গুয়িমারেস তাঁকে কিনে নেয় ৫০ হাজার ইউরো দিয়ে৷ আর তারপরই ম্যান ইউ-এর হাতে তুলে দিল মোটা অঙ্কের লাভ গুনে৷

মৌসুম-পূর্ব সাতটি প্রীতি ম্যাচে ভিটোরিয়ার পক্ষে পাঁচটি গোল করেছেন বেবে৷ ভিটোরিয়ার কোচ অ্যান্টোনিও মাচাডোর বলেন, ‘‘মাত্র কয়েক সপ্তাহ আমার সাথে রাখতে পেরেছি তাকে৷ তবে আমি তাকে পর্যবেক্ষণ করছি দীর্ঘ সময় ধরেই৷ সে প্রকৃতই বিশ্ব তারকাই পরিণত হবে৷''

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম