1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পড়াশোনার নতুন বিষয় ‘ডিজাইন থিঙ্কিং’

৯ মে ২০১১

জার্মানির পটসডাম শহরের হাসো প্লাটনার ইন্সটিটিউট নতুন একটি বিষয় পড়ানো শুরু করেছে৷ কোর্সের নাম ‘ডিজাইন থিঙ্কিং’৷ বলা হচ্ছে দৈনন্দিন জীবন-যাপনকে সহজ করে তুলতে এই বিষয়টি সাহায্য করবে৷ কীভাবে?

https://p.dw.com/p/11Bsq
জার্মানির পটসডাম শহরছবি: picture-alliance/ dpa

হাসো প্লাটনার ইন্সটিটিউটে সাধারণত সফটওয়্যার তৈরি শেখানো হয়৷ সফটওয়্যার তৈরির বিভিন্ন দিক নিয়ে ব্যাচেলর এবং মাস্টার্স করার সুযোগ দিচ্ছে এই প্রতিষ্ঠান৷ ১৯৮৮ সালে এই ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়৷ তবে ২০০৭ সালে নতুন আরেকটি বিষয় যোগ করা হয় ইন্সটিটিউটে৷ বিষয়ের নাম ‘ডিজাইন থিঙ্কিং'৷ কারা ভর্তি হবে এই বিষয়টি পড়ার জন্য?

ডিজাইন থিঙ্কিং বিষয়ে কী পড়ানো হয়? এক কথায় দৈনন্দিন জীবনের সব সমস্যার সমাধান দেয়া হয়৷ কীভাবে? যেমন আপনি গেলেন বিশাল একটি সুপার মার্কেটে৷ কিছু কেনা-কাটা করবেন৷ অথচ সুপার মার্কেটটি এত বড় যে আপনি কোন তাল খুঁজে পাচ্ছেন না৷ অথবা আপনি একটি হোম থিয়েটার সিস্টেম কিনলেন৷ বাড়িতে এনে প্যাকেট খোলার পর দেখলেন আপনার বাড়িতে তারের পর তার৷ সাপের মত জড়িয়ে, ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে কালো তারগুলো৷ এবং আপনি বুঝে উঠতে পারছেন না কোন তারটির সংযোগ কোথায় হবে৷ আপনার জীবন সহজ করে দেবে এই ডিজাইন থিঙ্কিং৷

মাত্র পাঁচজন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হয়েছে এই বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে৷ জাবিনে, উলরিকে, ফেলিক্স, মিনা এবং ডানিয়েল৷ সবাই গোল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে৷ পেছনের দেয়ালে বিভিন্ন রঙের স্টিক অনে অনেক কিছু লেখা৷ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এরা মাথা খাটিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন বের করেছে৷ কীভাবে একটি সুপার মার্কেটের আর্কিটেকচার ক্রেতাদের জন্য সহজভাবে তৈরি করা যায়৷

তবে এসব ছাত্র-ছাত্রীর বিশেষত্ব হল এরা সবাই অন্য আরেকটি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করছে৷ কেউ খেলাধুলা, সংগীত, চীন দেশের ইতিহাস অথবা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং৷ কে কোন ধরণের সৃজনশীলতার পরিচয় দিতে পারে সেই জন্য ডিজাইন থিঙ্কিং-এ আসা৷ কেউই এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নয়৷ সবার একটিই লক্ষ্য - সৃজনশীলতার পরিচয় দেয়া৷

CeBIT 2006 Bildgalery Foto 7/10
নিজ থেকেই মুছে যাবে এসএমএসগুলোছবি: AP

প্রথম পদক্ষেপ: সমস্যা চিহ্নিত করা

ছাত্রী জাবিনে বলল,‘‘ অনেকেই সুপার মার্কেটে গিয়ে তাল হারিয়ে ফেলেন৷ নির্দিষ্ট জিনিস খুঁজতে চলে যায় ২০-২৫ মিনিট৷ যা প্রয়োজন বা কেনার দরকার সেই জিনিসটিই যেন হাতের কাছে নেই৷ অনেকেরই সাহায্যের প্রয়োজন হয়৷ কোথায় কোন দ্রব্যটি রয়েছে তা জানার কোন সুযোগও নেই৷''

দ্বিতীয় পদক্ষেপ: গবেষণা এবং চিন্তা-ভাবনা করা

ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেরাই এগিয়ে গিয়ে ক্রেতাদের বিভিন্ন প্রশ্ন করছে৷ যারা সুপারমার্কেট চালাচ্ছে তাদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছে৷ বিষয় অনুযায়ী ধাপে ধাপে প্রশ্ন করা হচ্ছে৷ ক্রেতারা কী চায়, কোন বিষয়টি তাদের বিরক্ত করছে, কোন পণ্যটি কিনতে সময় নষ্ট হয়েছে সবচেয়ে বেশি – এসব৷

তৃতীয় পদক্ষেপ: সৃজনশীলতা এবং বুদ্ধিমত্তা

অনেকেরই সেল ফোন আছে৷ তবে কেনাকাটার জন্য কেউ তা ব্যবহার করে না৷ তবে এমন একটি সফটওয়্যার উদ্ভাবন করার চেষ্টা করছে ছাত্র-ছাত্রীরা যা সুপার মার্কেটে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে সেল ফোন ব্যবহারকারীকে জানিয়ে দেবে একটি এসএমএসের মাধ্যমে৷ এরপর আরেকটি এসএমএস জানিয়ে দেবে কোন পণ্যটি কোথায় আছে৷ একটি কমিউনিকেশন্স বক্স বসানো হবে সুপার মার্কেটের প্রবেশ পথে৷ যে কোন ক্রেতা আসলেই তার সেল ফোন কমিউনিকেশন্স বক্সের নেটওয়ার্কের মধ্যে চলে আসবে৷

আরেক ছাত্রী মিনা জানাল,‘‘যে কেউ সুপার মার্কেটে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে একটি এসএমএস আসবে৷ সেখানে লেখা থাকবে ‘আজ কী রান্না হচ্ছে'৷ সেখানে বলে দেয়া হবে কোন পণ্যটি কোথায়, কোন শেল্ফে রাখা আছে৷''

ভাবছেন তাহলে তো অনেকগুলো এসএমএস জমে যাবে সেলফোনে, তখন কী হবে? কোন চিন্তা নেই৷ ক্রেতা সুপার মার্কেট থেকে চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজ থেকেই এসএমএসগুলো মুছে যাবে৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক