1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মৌলিক অধিকার

২৩ জুন ২০১২

গত আড়াই দশকে অনেকদূর এগিয়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত৷ কিন্তু যেসব শ্রমিকের ঘাম আর শ্রমে পোশাক খাতের এই সাফল্য তাদের ভাগ্যের কতটা পরিবর্তন হয়েছে৷ এই আড়াই দশকে তাদের বেতন বেড়েছে দুই হাজার টাকারও কম৷

https://p.dw.com/p/15JqI
ছবি: AP

দিন-রাত পরিশ্রম করেও ন্যূনতম মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে তারা ব্যর্থ হচ্ছেন৷ আর এ কারণে রাস্তায় নেমে তাদের আন্দোলন-বিক্ষোভ৷ বিশ্লেষকরা বলছেন, তৈরি পোশাক খাতের স্বার্থেই তাদের ন্যায্য মজুরি দেয়া উচিত৷

সকালে রাজধানীর রাস্তায় বের হলে দেখা যাবে দলে দলে নারী-পুরুষ ছুটে চলছেন কর্মস্থলের দিকে৷ এদের অধিকাংশই কাজ করেন গার্মেন্টসে৷ এই শ্রমিকরাই দেশের অর্থনীতিকে সচল রেখেছেন৷ নব্বইয়ের দশকে কিছু উদ্যোক্তা আর এসব শ্রমিকের ঘামে পথচলা শুরু হয় তৈরি পোশাক শিল্পের৷ এরপর উদ্যোক্তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হলেও শ্রমিকদের ক্ষেত্রে তা হয়নি৷ ১৯৮৫ সালে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয় ৯৪০ টাকা৷ সর্বশেষ ২০১২ সালে নির্ধারণ করা হয় ৩ হাজার টাকা৷ এই টাকায় কীভাবে চলছে তাদের জীবন৷ সেকথাই বলছিলেন শ্রমিকরা৷

দিন দিন বাড়ছে বাড়িভাড়া, সেই সাথে রয়েছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি৷ কিন্তু সেই তুলনায় বাড়ছে না শ্রমিকদের মজুরি৷ পর্যবেক্ষকরা বলছেন, দেশে কার্যকর শ্রমনীতি না থাকায় শ্রমিকরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন৷ আমাদের সংবিধানে যে মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে তা ন্যূনতম মজুরি দিয়ে মেটানো সম্ভব নয় বলে মনে করেন সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন৷

আর মজুরি বাড়ানো হলে মালিকরা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন না, বরং তা শিল্পের সার্বিক কাঠামোকে স্থিতিশীল করতে সহায়ক হবে বলে মনে করেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবুল বারাকাত৷

তবে এই শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ'র সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন মনে করেন, এই শিল্পকে পরিণত রূপ দিতে আরো সময় প্রয়োজন৷

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বে বাংলাদেশের এই পোশাক শিল্পকে আরো উঁচু অবস্থানে নিতে হলে এর শ্রমিকদের ভালো জীবন ধারণ নিশ্চিত করতে হবে৷ আর সেটা তখনই সম্ভব হবে যখন তারা সম্মানজনক মজুরি পাবেন৷

প্রতিবেদন: সমীর কুমার দে, ঢাকা

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য