1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ন্যাটোর দুই নতুন সদস্য ক্রোয়েশিয়া ও আলবেনিয়া

২ এপ্রিল ২০০৯

নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন (ন্যাটো) বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে আলবেনিয়া এবং ক্রোয়েশিয়াকে সদস্যপদ প্রদান করেছে৷ এর ফলে ন্যাটোর সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৮৷

https://p.dw.com/p/HOgi
দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে ন্যাটোর সদস্যপদ পেলো ক্রোয়েশিয়া ও আলবেনিয়া

ওয়াশিংটনে আয়োজিত এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে আলবেনিয়া এবং ক্রোয়েশিয়ার দুই রাষ্ট্রদূত প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র হস্তান্তর করেন৷ এর মধ্য দিয়ে মধ্য ইউরোপের এ দু'টি দেশের সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দেয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়৷ ন্যাটোর সদস্য হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সব দাপ্তরিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দেশ দু'টির প্রায় এক বছর সময় লেগেছে৷ জোটের সদর দপ্তর ব্রাসেলসে আগামী ৭ এপ্রিল নতুন সদস্য দেশ দু'টির পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন করা হবে৷ পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ লাভের ফলে আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্যালি বেরিশা এবং ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইভো সানাডের ন্যাটোর ৬০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সম্মেলনে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন৷ আগামী ৩ ও ৪ এপ্রিল ফ্রান্সের স্ট্রাসবুর্গ এবং জার্মানির বাডেন বাডেন শহরে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে৷

বুধবার ন্যাটো মহাসচিব ইয়াপ দ্য হুপ স্কেফার এক বিবৃতিতে বলেন, আজ আলবেনিয়া এবং ক্রোয়েশিয়া প্রয়োজনীয় সকল শর্ত পূরণ করে পূর্ণাঙ্গ সদস্য হিসেবে জোটে যুক্ত হয়েছে৷ তিনি বলেন, এই ঐতিহাসিক অর্জনের জন্য আমি তাদেরকে অভিনন্দন জানাই৷ সদস্য হওয়ার মধ্য দিয়ে এই দুই দেশ এখন থেকে সামগ্রিক নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সব দায়-দায়িত্ব এবং সুবিধা ভোগ করবে৷ তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইভো সানাডের বলেন, আমরা যে অর্জন করলাম তার জন্য দীর্ঘ ২০ বছর প্রচেষ্টা চালিয়েছি৷

আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্যালি বেরিশা ন্যাটো সদস্য পদ পাওয়ার পরপরই আফগানিস্তানসহ অন্যান্য অঞ্চলে মোতায়েন ন্যাটো বাহিনীতে তাঁর দেশ থেকে আরো সৈন্য পাঠানোর ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন৷ এ পর্যন্ত ন্যাটো বাহিনীর অংশ হিসেবে আফগানিস্তানে আলবেনিয়ার ১৪২ এবং ক্রোয়েশিয়ার ৫৩০ সেনা সদস্য রয়েছে৷ বেরিশা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ১৯১২ সালে অটোমান সাম্রাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে আলবেনিয়ার ইতিহাসে ন্যাটোর সদস্য পদ লাভের ঘটনাটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ৷ আলবেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী গাসমেন্ড ওকেটা বলেন, ন্যাটোর সদস্যপদ লাভই আমাদের চূড়ান্ত অর্জন নয় বরং দায় দায়িত্বের বিবেচনায় এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া৷ তিনি ন্যাটোর সদস্যপদকে আলবেনিয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য পদ পাওয়ার সহায়ক ধাপ বলে উল্লেখ করেন৷ উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের মার্চ মাসে ইরাকে মার্কিন অভিযানের পর আলবেনিয়াই সর্বপ্রথম সেখানে সৈন্য পাঠিয়েছিল এবং ইরাকে এখনও ২০০ আলবেনীয় সৈন্য রয়েছে৷

প্রতিবেদক: হোসাইন আব্দুল হাই, সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার