1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মেসির কিরণে নেইমার

১৬ আগস্ট ২০১৩

লা লিগার নতুন মরসুমেও ঐ দু ঘোড়ার রেসই প্রত্যাশা করছেন পণ্ডিতরা: রেয়াল বনাম বার্সেলোনা৷ দুটি দলই চ্যাম্পিয়নস লিগে বুন্ডেসলিগার দুটি ক্লাবের কাছে মার খাবার পর এখনও থাবা চাটছে৷ তবে বার্সায় এসেছে এক নতুন স্টার, যার মার নেই৷

https://p.dw.com/p/19QaE
ছবি: PIERRE-PHILIPPE MARCOU/AFP/Getty Images

ইউরোপের ক্লাব টিমগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রতিপত্তিশালী ছিল এই বার্সা, চ্যাম্পিয়নস লিগের আগে অবধি৷ বার্সার সমস্যাগুলোর মধ্যে ছিল কোচ টিটো ভিলানোভার অসুখ – গলার ক্যানসার৷ ঠিক সেই কারণেই তিনি সরে দাঁড়ানোর পরে জেরার্দো মার্তিনো তাঁর জায়গা নিয়েছেন এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, বার্সা তার কুইক পাসিং, অ্যাটাকিং ফুটবল শৈলী বজায় রাখবে – তবে সেই সঙ্গে ডিফেন্সে স্থিতি বাড়ানোর চেষ্টা করবে৷

অ্যাটাকে বার্সার নতুন অস্ত্র এসেছে ব্রাজিল থেকে, নেইমার, যিনি লিওনেল মেসির সঙ্গে ফরোয়ার্ডে ভেলকি দেখাবেন বলে আশা করা হচ্ছে৷ বলতে কি, ক্লাব ফুটবলে এর চেয়ে মারাত্মক আক্রমণাত্মক জুটি কল্পনাই করা যায় না৷ কিন্তু ডিফেন্স? বার্সেলোনা নাকি পারি স্যাঁ-জার্ম্যাঁ-র টিয়াগো সিলভা এবং চেলসি-র ডেভিড লুইজ-কে কিনতে চেয়েছিল, সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার হিসেবে, কিন্তু পিএসজি বা চেলসি তাতে রাজি হয়নি৷

নয়তো মার্তিনো দলের লাইন-আপ নিয়ে বিশেষ নাড়াচাড়া করবেন বলে মনে হয় না৷ সের্জিও বুস্কেটস সম্ভবত আগের মতোই মিডফিল্ডের কেন্দ্রবিন্দু থাকবেন৷ খাবি হ্যার্নান্দেস আর আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা থাকবেন তার সামনে দলের সৃজনশীল প্রতিভা হিসেবে৷ তবে মার্তিনো প্রাক-মরসুম ম্যাচগুলোতেই দেখিয়েছেন৷ তিনি চান যে বল মিডফিল্ডে বিপক্ষের কাছে গেলে অন্তত দুজন মিডফিল্ডার যেন তার পিছনে ধাওয়া করে বিপক্ষদলের আক্রমণ ব্যাকলাইনের চারজনের কাছে পৌঁছনোর আগেই সে আক্রমণকে অঙ্কুরে বিনষ্ট করে৷

Brasilien Spieler Neymar da Silva
নেইমার বললেন,‘‘মেসি দারুণ মানুষ, আমরা রোজ কথা বলি৷’’ছবি: picture alliance/dpa

সূক্ষ্ম স্ট্র্যাটেজির এতো খুঁটিনাটী নিয়ে আর ক'জন মাথা ঘামায়৷ ফ্যানদের জিজ্ঞাসা করলে তারা বলবে, এ মরসুমে বার্সার স্প্যানিশ খেতাব জেতার তিনটি কারণ আছে: লিওনেল মেসি, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা ও নেইমার৷ সূচনার একাদশে এ রকম তিনজন পাগল-করা, মাথা-ঘোরানো ড্রিবলার আর বিশ্বের কোথাও কিংবা কারো কাছে নেই৷ বিপদ যেটা ঘটতে পারে, সেটা লুকনো রয়েছে ঐ তিনজনের ব্যক্তিত্বে: নরম-স্বভাব, প্রায় মুখচোরা ইনিয়েস্তার মেসি-কে পাদপ্রদীপের আলো ছেড়ে দিয়ে নিজের পিছনে থাকতে কোনো আপত্তি ছিল না৷ নেইমার কিন্তু নিজেই একজন স্টার৷ বয়সটাও মাত্র ২১ বছর, মেসির যেখানে ২৬, ইনিয়েস্তার ত্রিশের কোঠায়৷ যাকে ব্রাজিলের সান্টোস ক্লাবের ফ্যানরা আগামীর পেলে বলে মাথায় তুলে রেখেছিল, সে কি আর্জেন্টিনার মেসির এই একাধিপত্য সহ্য করতে পারবে? সেটাই হবে এ মরসুমে বার্সেলোনার আসল নাটক৷

যেদিন নেইমার-কে বার্সেলোনায় সরকারিভাবে উপস্থাপন করা হয়, সেদিন থেকেই সে বলে চলেছে: ‘‘আমি আমার ভূমিকাটুকু পালন করতে এসেছি যাতে লিওনেল মেসি আগের মতোই বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় থাকতে পারে৷'' তার কয়েক সপ্তাহ পরে নেইমার-কে আবার বলতে শোনা যায়: ‘‘মেসি দারুণ মানুষ৷ আমরা রোজ কথা বলি৷ কোনো সমস্যাই হবে না৷'' আরো শুনতে চান: ‘‘আমার ছোটবেলা থেকে মেসি, সাভি, ইনিয়েস্তা, পুইয়ল'এর মতো প্লেয়ারদের সঙ্গে খেলার যে স্বপ্ন ছিল, সেটাই সফল হচ্ছে৷''

মুশকিল এই যে, পেলে স্বয়ং মনে করেন, নেইমার মেসি-কে ছাড়িয়ে যাবার ক্ষমতা ধরে৷ বার্সেলোনার খেলায় মেসি আর ইনিয়েস্তার যে স্বাধীনতা আছে, তার ভাগ নেইমার-কে দিতে হলে মেসি-র নিজের ভাগটা কিছুটা কম হয়ে যেতে পারে৷ এছাড়া স্যামুয়েল এটো, স্লাটান ইব্রাহিমোভিচ, ডাভিড ভিয়া – অনেকেই তো বার্সেলোনায় মেসি-র পাশে জায়গা করে নেবার চেষ্টা করেছেন: কেউ সফল হতে পেরেছেন কি?

বিরোধ এড়ানোর একমাত্র উপায় হতে পারে, যদি মেসি ও নেইমার উভয়েই উপলব্ধি করেন যে, বার্সেলোনার মেসি-পরবর্তী যুগের সূচনা বোধহয় এই নেইমার'কে দিয়েই৷

এসি / এসবি (এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান