1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নির্বাচন বন্ধের আহ্বান...

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৩ জানুয়ারি ২০১৪

বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি আবারো ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে৷ বিএনপি নেতা ড. ওসমান ফারুক বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভোটারবিহীন নির্বাচন করে সরকার দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/1AkTT
Kombobild Khaleda Zia und Sheikh Hasina
ছবি: Getty Images/AFP/FARJANA K. GODHULY

বিএনপি নির্বাচন বন্ধের আহ্বান জানালেও, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিন্তু তাঁর বেতার টেলিভিশন ভাষণে দেশবাসীকে উত্‍সবমূখর পরিবেশে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন৷

নির্বাচনের দু'দিন আগে, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক তাঁর গুলশানের বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘‘ভোটারবিহীন নির্বাচন করে সরকার দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে৷ এই নির্বাচনে দেশের মানুষের কোনো আগ্রহ নাই৷ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও ইতিমধ্যে তাদের অনাগ্রহের কথা জানিয়ে দিয়েছে৷ তারপরও প্রধানমন্ত্রী একগুঁয়েমির পথ থেকে ফিরে আসছেন না৷''

Bangladesch Wahlen 2014 Militär Unruhen
মানবতা কি সত্যিই পিষ্ট হচ্ছে যৌথবাহিনীর বুটের তলায়?ছবি: Munir uz Zaman/AFP/Getty Images

তিনি ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘‘এখনো সময় আছে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের জন্য সংলাপের ব্যবস্থা নিন৷ এই প্রহসনের নির্বাচন জনগণ মানবে না৷ কেউ ভোটকেন্দ্রে যাবে না৷''

ড. ওসমান ফারুকের দাবি, জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে৷ আর সরকার একদলীয় বাকশাল কায়েম করতে তার নীলনকশা ধরে এগিয়ে যাচ্ছে৷ যৌথবাহিনীর অভিযানের নামে দেশকে আজ দলীয় সন্ত্রাসের লীলাভূমিতে পরিণত করা হয়েছে৷ মানবতা পিষ্ট হচ্ছে যৌথবাহিনীর বুটের তলায়৷

তাই তিনি জনগণের প্রতি বিএনপির চেয়ারপার্সনের পক্ষ থেকে এই নির্বাচনকে ‘না' বলার আহ্বান জানান৷

এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেতার ও টেলিভিশনে তাঁর নির্বাচনি ভাষণে বলেছেন, ‘‘আমরা আশা করেছিলাম জনগণের ওপর আস্থা রেখে প্রধান বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ নেবে৷ কিন্তু আমাদের আন্তরিক চেষ্টা সত্ত্বেও বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নাই৷'' তিনি বলেন, বিরোধী দলের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে সংলাপের জন্য নানাভাবে চেষ্টা হয়েছে৷ তিনি বিরোধী দলীয় নেত্রীকে নিজে টেলিফোন করেছেন৷ শেষ পর্যন্ত মহাচিব পর্যায়েও বৈঠক হয়েছে৷ তারপরও বিএনপি নির্বাচনে আসেনি৷ দেশের সংবিধান সমুন্নত ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহ রাখতে এই নির্বাচনের কোনো বিকল্প নাই বলে জানান প্রধানমন্ত্রী৷

তিনি বলেন, ২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগ ও মহাজোটকে নির্বাচিত করেছিল৷ নির্বাচনে যে অঙ্গীকার করা হয়েছিল আওয়ামী লীগ তা পূরণের চেষ্টা করেছে৷ কোনো কোনো ক্ষেত্রে নির্বাচনি ওয়াদার চেয়েও বেশি কাজ করা হয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘‘এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়ে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত করবে৷'' এ জন্য দেশবাসীর অকুণ্ঠ সমর্থন আশা করেন তিনি৷

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দল আন্দোলনের নামে, হরতাল ও অবরোধের নামে মানুষকে জিম্মি করে সন্ত্রাস ও নাশকতা সৃষ্টি করেছে৷ ককটেল আর পেট্রোল বোমা দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছে৷ রাস্তা কেটে, রেললাইন উপড়ে ফেলে, কাছ কেটে জনগণকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করেছে৷

শেখ হাসিনা ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘গত পাঁচ বছরে স্থানীয় সরকার এবং উপ-নির্বাচনে আপনারা যেভাবে ভীতিমুক্ত পরিবেশে ভোট দিয়েছেন, সেভাবেই আগামী ৫ই জানুয়ারি উত্‍সবমূখর পরিবেশে ভোট দেবেন৷ পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে গণতন্ত্রকে দৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করবেন৷''

উল্লেখ্য, ৫ই জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩টি আসনে প্রার্থীরা ইতিমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন৷ ৩৭টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ ২৫টি দল এই নির্বাবচন বর্জন করে তা প্রতিহত করার ডাক দিয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য