1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিখোঁজ বিমানের খোঁজ মেলেনি!

১০ মার্চ ২০১৪

দু'দিন কেটে গেলেও হদিশ মেলেনি মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের বোয়িং ৭৭৭ বিমানটির৷ যাত্রী এবং ক্রু মিলিয়ে বিমানে ছিলেন ২৩৯ জন৷ শনিবার থেকে নিখোঁজ বিমানটির তল্লাশির জন্য মালয়েশিয়াকে আরো তৎপর হতে বলেছে চীন৷

https://p.dw.com/p/1BMhF
Malaysia Airlines Boeing 777-2H6
ছবি: imago/Rüdiger Wölk

শনিবার কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কিছুক্ষণ পরই লাপাত্তা হয়ে যায় মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের এমএইচ৩৭০ নাম্বার ফ্লাইট৷ বিমানের ২৩৯ জন আরোহীর মধ্যে ১২ জন ক্রু আর বাকিরা যাত্রী৷ যাত্রীদের অন্তত ১৫২ জন চীনের, ৩৮ জন মালয়েশিয়ার, সাতজন ইন্দোনেশিয়ার, ছয়জন অস্ট্রেলিয়ার, পাঁচজন ভারতের, চারজন ফ্রান্সের এবং তিনজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বলে জানা গেছে৷ খুব ভালো আবহাওয়া থাকা সত্ত্বেও কন্ট্রোল প্যানেল থেকে কোনো বিপদ সংকেত না পাঠিয়েই বিমান নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায়, ঘটনাটি নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে সন্দেহের ধুম্রজাল, বড় হয়ে উঠেছে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন৷

ইন্টারপোল জানিয়েছে, বিমান যাত্রীদের মধ্যে অন্তত দু'জন চুরি করা পাসপোর্ট নিয়ে বিমানে উঠেছিলেন৷ পাসপোর্ট দুটো থাইল্যান্ড থেকে চুরি হয় দু'বছর আগে৷ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশের দুই নাগরিকের পাসপোর্ট বলে কুয়ালালামপুর থেকে ঐ যাত্রী দু'জনকে চীনের ভিসা নিতে হয়নি৷ তবে ইন্টারপোল জানিয়েছে, চুরি যাওয়া পাসপোর্ট দুটির সমস্ত তথ্য কুয়ালালামপুর বিমান কর্তৃপক্ষের কাছে ছিল৷ কিন্তু শনিবার বোয়িং ৭৭৭-এর বিমানটি যাত্রা শুরুর আগে যাত্রীদের পাসপোর্টের যাচাই-বাছাইয়ের কাজে গুরুত্ব দেয়া হয়নি৷

চুরি যাওয়া পাসপোর্ট নিয়ে দু'জন ওঠায় বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার পেছনে কোনো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের ভূমিকা থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ তবে এখনো কোনো সংগঠন দায়িত্ব স্বীকার করেনি৷ বিমান বা বিমানের ধ্বংসাবশেও খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিমান এখনো তল্লাশি চালাচ্ছে৷

সোমবার ভিয়েতনামের বিমান থেকে সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় হলুদ রংয়ের একটি বস্তু দেখা গেছে বলে দাবি করা হয়৷ বস্তুটি নিখোঁজ বিমানের দরজা বা তার মধ্যে থাকা ছোট্ট ডিঙি নৌকার অংশ হতে পারে বলে ধারণা করা হলেও, পরে এ তথ্য সত্য নয় বলে জানা যায়৷

এসিবি/ডিজি (রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ)