1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাঙালি রোবট

২৮ মে ২০১২

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র -- নাসার একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় এবারও অংশ নিয়েছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়৷ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ‘চন্দ্রবট’ নামক একটি রোবট তৈরি করেছে৷

https://p.dw.com/p/153NC
ছবি: picture-alliance/dpa

এই রোবটের কাজ হচ্ছে চাঁদের বুক থেকে বিভিন্ন উপাদান সংগ্রহ৷

প্রতিযোগিতার নাম হচ্ছে ‘লুনাবোটিকস মাইনিং কনটেস্ট'৷ এবার তৃতীয়বারের মতো এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে নাসা৷ বাংলাদেশের ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় গত বছর এই প্রতিযোগিতায় প্রথম অংশগ্রহণ করে৷ তাদের তৈরি ‘চন্দ্রবট' রোবট সে বার প্রতিযোগিতার প্রথম ধাপ উৎরে যায়৷ এই প্রসঙ্গে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আইনুন নিশাত বলেন, ‘‘মূলত স্থানীয় ম্যাটেরিয়াল দিয়ে এবং রিসাইকেলড বিভিন্ন উপাদান, যেমন খেলনা, গাড়ি এবং নিজেরাই গবেষণা করে এই রোবটটি তৈরি করেছে শিক্ষার্থীরা৷ তারা প্রথম রাউন্ড পার হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে গিয়েছিল এবং বিশ্বের সবচেয়ে নামীদামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও তারা প্রতিযোগিতায় অবতীর্ন হয়েছিল৷ সেকেন্ড রাউন্ডে গিয়ে ওদের মোটর যেটা ছিল, যেটি স্থানীয় বাজার থেকে কেনা, সেটার ক্যাপাসিটিতে কুলায়নি৷''

Prof Dr Ainun Nishat Vize-Rektor der BRAC Universität im DW Gebäude
ড. আইনুন নিশাত^ছবি: Ahm Abdul Hai / DW

লুনাবোটিকস মাইনিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারে৷ বিশ্বের অল্প কয়েকটি দেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে৷ তবে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রকল্প এই প্রতিযোগিতায় রয়েছে৷ আন্তর্জাতিক এই প্রতিযোগিতায় প্রথমবার অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ‘চন্দ্রবট'কে আরো শক্তিশালী করেছেন ব্র্যাকের শিক্ষার্থীরা৷ এটির কর্মক্ষমতা আরো বাড়ানো হয়েছে৷ এই প্রসঙ্গে ড. নিশাত বলেন, ‘‘ এবার আয়োজক কর্তৃপক্ষ রোবট তৈরির নীতিমালা আরো জটিল করেছে৷ মাটি তোলার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে৷ অর্থাৎ রোবটটি অত্যন্ত শক্তিশালী হতে হবে৷ চাঁদের যে সারফেস সেখানে এটি চলতে সক্ষম হতে হবে এবং সবদিকে মুভ করার মতো ক্ষমতা এটির থাকতে হবে৷''

বলাবাহুল্য, শুরুতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের খরচে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিলেও এবার একটি মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসেছে৷ ফ্লোরিডায় এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার যাবতীয় খরচ তাই বহন করছে বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্পন্সর প্রতিষ্ঠানটি৷ ড. আইনুন নিশাত এই বিষয়ে বলেন, ‘‘ মূল খরচ আমরাই দিয়েছি৷ স্পন্সর বলা যেতে পারে এক-তৃতীয়াংশ কিংবা এক-চতুর্থাংশ খরচটা দিচ্ছে৷ তবে আমরা স্পন্সর নিয়েছি এই কারণে যে, তাদের সঙ্গে আমরা চুক্তি করেছি৷ ভবিষ্যতে আমাদের ছেলেরা যদি কোন ধরনের পরীক্ষামূলক কাজ করে, যন্ত্রপাতি তৈরি করে এবং এধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় তাহলে স্পন্সর তাদের সহায়তা দেবে৷''

প্রসঙ্গত, চলতি বছর নাসার এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে আরো দুটি বিশ্ববিদ্যালয় অংশ নিয়েছে৷ এগুলো হচ্ছে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) এবং ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি)৷ গত ২১ থেকে ২৬ মে প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য