1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নাশকতার ষড়যন্ত্র ব্যর্থ

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৩০ মার্চ ২০১৩

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও স্থাপনায় হামলার একটি ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়েছেন গোয়েন্দারা৷ জঙ্গিদের সম্পৃক্ত করে এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল৷ আর পরিকল্পনায় নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন জামায়াত নেতা মাওলানা ফরিদ উদ্দিন আহমেদ৷

https://p.dw.com/p/18781
ছবি: Reuters

পরিকল্পনায় যুক্ত চার পাকিস্তানি নাগরিক এবং দুই জামায়াত নেতাসহ ১৬ জনকে শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয়েছে৷

আটক দুই জামায়াত নেতা হলেন ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও ফরিদ উদ্দিন মাসুদ৷ আর পাকিস্তানি চার নাগরিক হলেন সাঈদ উদ্দিন, মোহাম্মদ ফারহান, রুবিনা বেগম এবং নার্গিস আক্তার৷ তাদের কাছ থেকে দেড় কোটি ভারতীয় ও পাকিস্তানি রূপি, আটটি হাতবোমা, পাসপোর্ট এবং বিপুল সংখ্যক জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়েছে৷

ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশানর মনিরুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে জানান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন আহমেদ একজন চিকিৎসক৷ সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সময় তিনি ছাত্র শিবিরের সভাপতি ছিলেন৷ পরে তিনি সিলেট জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন৷ সর্বশেষ তিনি ফরিদপুর জামায়াতের আমীর ছিলেন৷ তিনি জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অংশ নেন৷

মাওলানা ফরিদ উদ্দিন আহমেদ মূলত নিষিদ্ধ ঘোষিত হরকাতুল জিহাদের জঙ্গিদের ঐক্যবদ্ধ করছিলেন৷ আর চার পাকিস্তানি নাগরিক এই কাজে অর্থ সংগ্রহে নিয়োজিত ছিলেন৷ আর তারা জঙ্গি অর্থায়নের জন্য ব্যাংক ডাকাতিরও পরিকল্পনা করেছিল বলে জানান মনিরুল ইসলাম৷ তারা এই অর্থ দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক কিনতেন৷

তিনি বলেন জামায়াত নেতার মূল টার্গেট ছিল দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং স্থাপনায় হামলা চালানো৷ এজন্য তারা একটি তালিকাও তৈরি করেছিল বলে স্বীকার করেছেন৷ দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে পরিস্থিতি তাদের অনুকূলে নেয়ার জন্যই তারা এই তৎপরতা শুরু করে বলে জানান যুগ্ম পুলিশ কমিশনার৷

বাংলাদেশে এপর্যন্ত পাঁচটি জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ সেগুলো হলো জেএমবি, জেএমজেবি, হরকাতুল জিহাদ, হিজবুত তাহরির ও শাহাদাত ই আল হিকমা৷ বিশ্লেষকরা বলছেন এসব জঙ্গি সংগঠন প্রকাশ্য ইসলাম ভিত্তিক দু'একটি দলের আন্ডারগ্রাউন্ড ফ্রন্ট৷ আর এই জঙ্গিদের বড় একটি অংশ এক সময় জামায়াত বা শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল - ধরা পড়ার পর যা তারা স্বীকারও করেছে৷

মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মশিউর রহমান ডয়চে ভেলেকে জানান, মাওলানা ফরিদ দাবি করছেন তিনি এখন আর জামায়াতের সঙ্গে যুক্ত নন৷ কিন্তু জামায়াতের রুকনসহ শীর্ষ পদে থাকা এই নেতার পক্ষে জামায়াত ত্যাগ আদৌ সম্ভব কিনা তা তারা তদন্ত করে দেখছেন৷ তিনি জানান কিছু ইসলাম ভিত্তিক দল তাদেরই লোক দিয়ে জঙ্গি সংগঠন পরিচালনা করেন৷ এটি সে ধরণের ঘটনা কিনা তাও দেখা হচ্ছে৷ তিনি জানান মাওলানা ফরিদ জানিয়েছেন দেশের এখন যা পরিস্থিতি তাতে ‘জিহাদ' করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই৷ তিনি জিহাদের ওপর সাড়ে তিনশ' পৃষ্ঠার একটি বইও লিখেছেন৷ মশিউর রহমান দাবি করেন জামায়াতের একাংশ যে শেষ পর্যন্ত জঙ্গি তৎপরতায় জড়িয়ে পড়ে তা প্রমাণিত৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য