1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নারী চরিত্রের বিখ্যাত যাত্রানট চপলরানির ভূমিকায় ঋতুপর্ণ

২৮ ডিসেম্বর ২০১০

সদ্য মুক্তি পেয়েছে কৌশিক গাঙ্গুলি নির্দেশিত ছবি ‘‘আরেকটি প্রেমের গল্প’’৷ যে পুরুষ অভিনেত্রীর জীবনকাহিনির আদলে তৈরি হয়েছে এই ছবি, তিনি এককালের যাত্রা জগতের খ্যাতিমান চপলরানি৷ তাঁরই ভূমিকায় ঋতুপর্ণ ঘোষ৷

https://p.dw.com/p/zqbh
দুজন পুরুষের মধ্যে সম্পর্কই ছবিটির মূল বিষয়ছবি: UNI

‘‘আরেকটি প্রেমের গল্প'', এই ছবিটির মূল বিষয় সমকামী প্রেম৷ দুজন পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক৷ এমন সাহসী এবং বিতর্কিত বিষয় নিয়ে দর্শকদের সঙ্গে এত সরাসরি, এত কুন্ঠাহীন কথোপকথন এর আগে বাংলা সিনেমায় হয়নি৷ কিন্তু কীভাবে যেন, এই ছবির মূল বিষয়ের থেকে নজর সরে যাচ্ছে নির্দিষ্ট একজন অভিনেতার ওপর৷ যেহেতু সেই অভিনেতার নাম ঋতুপর্ণ ঘোষ৷ পরিচালক ঋতুপর্ণ এই ছবিতে নিজের ভূমিকাতেই অভিনয় করেছেন বলা চলে৷ অর্থাৎ এমন একজন চিত্র পরিচালকের ভূমিকায়, যিনি আদতে পুরুষ হলেও মানসিকতায় এবং বহিরঙ্গে একজন নারী৷

যদিও এই ছবির মূল কাহিনি, একদা যাত্রার জগতে চপলরানি নামে বিখ্যাত, নারী চরিত্রের বিখ্যাত পুরুষ অভিনেতা চপল কুমার ভাদুড়ির জীবনের কিছু সত্যি ঘটনা নিয়ে৷ চপলবাবু কিন্তু মনে করছেন যে বাস্তবের প্রতি অনুগতই থেকেছে ‘‘আরেকটি প্রেমের গল্প''৷

Berlinale
গতবছর বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে প্রথম দেখানো হয়েছিল ছবিটিছবি: AP

চলচ্চিত্র সমালোচকদের একাংশ কিন্তু মনে করছেন যে চপলরানির গল্প ঋতুপর্ণ সুকৌশলে ব্যবহার করেছেন নিজেদের, অর্থাৎ নারী মানসিকতার পুরুষদের কথা বলার জন্য৷ তবে সবাই একবাক্যে তারিফ করেছেন ঋতুপর্ণের অভিনয়ের৷ এমনকী চপলরানি নিজেও প্রশংসায় পঞ্চমুখ৷

এই ছবিতে অভিনয়ের পর কী মনে হল জানতে চাওয়ায় চপলরানী যা বললেন, তাতে কিন্তু স্পষ্ট পাওয়া গেল আফশোসের সুর৷

আলাপচারিতা শেষ হওয়ার পর চপলরানি বললেন, তাঁর একটাই প্রশ্ন আছে৷ ‘‘আরেকটি প্রেমের গল্প'' ছবি হিসেবে সফল হল, কিন্তু তিনি কী পেলেন? তাঁদের মত পুরুষ অভিনেত্রীরা কী পেলেন? বললেন, আপনি তো সাংবাদিক৷ আপনি জিজ্ঞেস করে দেখুন না সবার কাছে৷ চপলরানিদের সম্পর্কে তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গী কি এতটুকু পাল্টাল?

প্রতিবেদন: শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক