নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের অস্পষ্ট ফল
১০ মে ২০১০তবে ভবিষ্যৎ কোয়ালিশনের কোন সুস্পষ্ট সমীকরণ তুলে ধরেনি এই নির্বাচন৷ ফলে সরকার গড়তে সময় লাগবে৷
আর এর ফলে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল-এর নেতৃত্বাধীন ফেডারেল সরকার সংসদের উচ্চ কক্ষ বুন্ডেসরাট'এ তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে ফেলবে, এমন আশঙ্কা অমূলক নয়৷
রোববার এই নির্বাচন নিয়ে চ্যান্সেলর ম্যার্কেল একেবারেই মুখ খোলেননি৷ একদিন পর সোমবার তিনি তাঁর দলের পরাজয়ের কথা উল্লেখ করলেন বার্লিনে এবং বলেলন যে নির্বাচনে দলের লক্ষ্য অর্জন করা যায়নি৷ সিডিইউ দলের প্রিসিডিয়ামের এক বৈঠকের পর দলপ্রধান ম্যার্কেল একথাও স্বীকার করলেন যে, এই পরাজয়ে ইউনিয়ন ও এফডিপি'র ফেডারেল সরকারেরও কিছু ভূমিকা ছিল৷ কেননা নর্থরাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের সরকার বার্লিন থেকে সেরকম সমর্থন পায়নি৷এই বৈঠকে রাজ্যের পরাজিত মুখ্যমন্ত্রী ইউর্গেন রুটগার্সও অংশ নেন৷
নির্বাচনে সিডিইউ'র পরাজয়ের কারণে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল-এর নেতৃত্বাধীন ফেডারেল সরকার সংসদের উচ্চ কক্ষ বুন্ডেসরাট'এ তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে ফেলবে, এমন আশঙ্কা অমূলক নয়৷ এই গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে সিডিইউ ২০০৫ সালের তুলনায় ১০ শতাংশের মত ভোট কম পেয়েছে৷ এবার তার ভাগে পড়েছে ৩৪.৬ শতাংশ আর বিরোধী সামাজিক গণতন্ত্রী দলের ভাগে ৩৪.৫ শতাংশ ভোট৷ দুই দলেরই আসন সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৬৭/৬৭৷ এই নির্বাচনের আসল বিজয়ী অবশ্য সবুজ দল৷ তারা পেয়েছে আগের ভোটের প্রায় দ্বিগুন - ১২.১ শতাংশ৷ এসপিডি আর সবুজ দলের কাঙ্খিত কোয়ালিশন হবার মত আসন সংখ্যা কিন্তু থাকছেনা৷ এই প্রথম নর্থরাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের বিধানসভায় প্রথমবারের মত বামপন্থি দলের প্রবেশ ঘটছে৷ কিন্তু তাদের নিয়ে কোয়ালিশন গড়তে কেউ রাজি নয়৷
রাজ্যে সিডিইউ আর তার এখনকার কোয়ালিশন সহযোগী এফডিপি'র আসন দিয়েও কোন কোয়ালিশন গঠন করা যাবেনা৷ ফলে ধরে নেয়া যায় যে, এখন নানা দলের মধ্যে নানা পর্যায়ে আলাপ আলোচনা শুরু হয়ে যাবে৷ এসপিডি দল তাদের প্রার্থিত লাল-সবুজ কোয়ালিশনের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেয়েও সরকার গঠন করতে উদ্যোগী হবে বলে জানিয়েছে৷ রাজ্য নির্বাচনে দলের শীর্ষ প্রার্থী হানেলোরে ক্রাফ্ট জানিয়েছেন, তিনি প্রথমে সবুজ দলের সঙ্গেই আলোচনা শুরু করবেন৷ ১৯৯৮ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত এই রাজ্য শাসন করে এসপিডি আর সবুজ দলেরই কোয়ালিশন৷ কিন্তু এবার কোয়ালিশনের কোন্ সমীকরণ শেষ পর্যন্ত কার্যকর হবে সেটা ঠিক হতে বেশ সময় লাগবে বলেই মনে হয়৷
সিডিইউ বিরোধী এসপিডি'র চেয়ে ৬২০০ ভোট বেশি পেয়েছে৷ ফলে পরাজিত মুখ্যমন্ত্রী রুটগার্সও সরকার গড়ার চেষ্টা করতে পিছপা হবেননা৷ কিন্তু এবার কোয়ালিশনের কোন্ সমীকরণ শেষ পর্যন্ত কার্যকর হবে সেটা ঠিক হতে বেশ সময় লাগবে বলেই মনে হয়৷
প্রতিবেদন: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন