1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের অস্পষ্ট ফল

১০ মে ২০১০

জার্মানির সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়ায় রোববারের বিধানসভা নির্বাচনে শাসক খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী ইউনিয়ন সিডিইউ ও উদারপন্থি এফডিপি দলের কোয়ালিশন সরকারের শোচনীয় পরাজয় ঘটেছে৷

https://p.dw.com/p/NKaI
ফাইল ফটোছবি: DW

তবে ভবিষ্যৎ কোয়ালিশনের কোন সুস্পষ্ট সমীকরণ তুলে ধরেনি এই নির্বাচন৷ ফলে সরকার গড়তে সময় লাগবে৷

আর এর ফলে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল-এর নেতৃত্বাধীন ফেডারেল সরকার সংসদের উচ্চ কক্ষ বুন্ডেসরাট'এ তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে ফেলবে, এমন আশঙ্কা অমূলক নয়৷

রোববার এই নির্বাচন নিয়ে চ্যান্সেলর ম্যার্কেল একেবারেই মুখ খোলেননি৷ একদিন পর সোমবার তিনি তাঁর দলের পরাজয়ের কথা উল্লেখ করলেন বার্লিনে এবং বলেলন যে নির্বাচনে দলের লক্ষ্য অর্জন করা যায়নি৷ সিডিইউ দলের প্রিসিডিয়ামের এক বৈঠকের পর দলপ্রধান ম্যার্কেল একথাও স্বীকার করলেন যে, এই পরাজয়ে ইউনিয়ন ও এফডিপি'র ফেডারেল সরকারেরও কিছু ভূমিকা ছিল৷ কেননা নর্থরাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের সরকার বার্লিন থেকে সেরকম সমর্থন পায়নি৷এই বৈঠকে রাজ্যের পরাজিত মুখ্যমন্ত্রী ইউর্গেন রুটগার্সও অংশ নেন৷

নির্বাচনে সিডিইউ'র পরাজয়ের কারণে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল-এর নেতৃত্বাধীন ফেডারেল সরকার সংসদের উচ্চ কক্ষ বুন্ডেসরাট'এ তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে ফেলবে, এমন আশঙ্কা অমূলক নয়৷ এই গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে সিডিইউ ২০০৫ সালের তুলনায় ১০ শতাংশের মত ভোট কম পেয়েছে৷ এবার তার ভাগে পড়েছে ৩৪.৬ শতাংশ আর বিরোধী সামাজিক গণতন্ত্রী দলের ভাগে ৩৪.৫ শতাংশ ভোট৷ দুই দলেরই আসন সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৬৭/৬৭৷ এই নির্বাচনের আসল বিজয়ী অবশ্য সবুজ দল৷ তারা পেয়েছে আগের ভোটের প্রায় দ্বিগুন - ১২.১ শতাংশ৷ এসপিডি আর সবুজ দলের কাঙ্খিত কোয়ালিশন হবার মত আসন সংখ্যা কিন্তু থাকছেনা৷ এই প্রথম নর্থরাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের বিধানসভায় প্রথমবারের মত বামপন্থি দলের প্রবেশ ঘটছে৷ কিন্তু তাদের নিয়ে কোয়ালিশন গড়তে কেউ রাজি নয়৷

রাজ্যে সিডিইউ আর তার এখনকার কোয়ালিশন সহযোগী এফডিপি'র আসন দিয়েও কোন কোয়ালিশন গঠন করা যাবেনা৷ ফলে ধরে নেয়া যায় যে, এখন নানা দলের মধ্যে নানা পর্যায়ে আলাপ আলোচনা শুরু হয়ে যাবে৷ এসপিডি দল তাদের প্রার্থিত লাল-সবুজ কোয়ালিশনের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেয়েও সরকার গঠন করতে উদ্যোগী হবে বলে জানিয়েছে৷ রাজ্য নির্বাচনে দলের শীর্ষ প্রার্থী হানেলোরে ক্রাফ্ট জানিয়েছেন, তিনি প্রথমে সবুজ দলের সঙ্গেই আলোচনা শুরু করবেন৷ ১৯৯৮ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত এই রাজ্য শাসন করে এসপিডি আর সবুজ দলেরই কোয়ালিশন৷ কিন্তু এবার কোয়ালিশনের কোন্ সমীকরণ শেষ পর্যন্ত কার্যকর হবে সেটা ঠিক হতে বেশ সময় লাগবে বলেই মনে হয়৷

সিডিইউ বিরোধী এসপিডি'র চেয়ে ৬২০০ ভোট বেশি পেয়েছে৷ ফলে পরাজিত মুখ্যমন্ত্রী রুটগার্সও সরকার গড়ার চেষ্টা করতে পিছপা হবেননা৷ কিন্তু এবার কোয়ালিশনের কোন্ সমীকরণ শেষ পর্যন্ত কার্যকর হবে সেটা ঠিক হতে বেশ সময় লাগবে বলেই মনে হয়৷

প্রতিবেদন: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন