1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নতুন যুগ সূচনার লক্ষ্যকে সামনে রেখে লিসবন চুক্তি বাস্তবায়ন শুরু

১ ডিসেম্বর ২০০৯

নতুন যুগের সূচনা এই লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে আজ মঙ্গলবার থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংস্কার চুক্তি, লিসবন চুক্তি, তা বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে৷ দায়িত্ব নিচ্ছেন ইউরোপীয় কাউন্সিলে প্রথম প্রেসিডেন্ট হারমান ফান রম্পয়৷

https://p.dw.com/p/KmTl
ছবি: AP

একই সঙ্গে দায়িত্বভার নিচ্ছেন কাউন্সিলের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা বিষয়ক প্রধান, কার্যত যাকে বলা হচ্ছে ইইউ এর পররাষ্ট্র মন্ত্রী, সেই ক্যাথরিন অ্যাশটন৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাঠামোর আমূল সংস্কার করার উদ্দেশ্যে ২০০৫ সালে রচিত হয়েছিল ইউরোপীয় সংবিধান৷ কিন্তু ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসের গণভোটে তা বাতিল হয়ে যায়৷ সেই সংবিধানের মৌলিক কিছু বিষয় বজায় রেখে ২০০৭ সালে প্রণীত হয় লিসবন চুক্তি৷ কিন্তু আয়ারল্যান্ড, পোল্যান্ড এবং চেক প্রজাতন্ত্র এই চুক্তিটি অনুমোদন না করায় এক সময় ইইউ নেতাদের ভাবিয়ে তুলেছিল এর বাস্তবায়ন নিয়ে৷

অক্টোবরে আইরিশ ভোটাররা এটি অনুমোদন দিলেও লিসবন চুক্তি বাস্তবায়নে সর্বশেষ বাধা ছিল চেক প্রজাতন্ত্র৷ নানা বাধার কারণে সে দেশের প্রেসিডেন্ট এই চুক্তিতে সই করছিলেন না৷ অবশেষে নভেম্বর চেক প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট ভাৎস্লাভ ক্লাউস লিসবন চুক্তিতে সই করেন৷ তার এই সই-সাবুদের ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি সদস্য দেশই লিসবন চুক্তি অনুমোদনের কার্যক্রম সম্পন্ন করে৷ তখনি জানানো হয়েছিল এই চুক্তিটি ১লা ডিসেম্বর থেকে বাস্তবায়িত হবে৷ তাই হলো৷

এবার সামনে এগিয়ে চলার পালা৷ বলা হচ্ছে এই চুক্তির বাস্তবায়নের মূল বিষয়টি হবে ইউরোপীয় সংসদকে আরও কার্যকর করা৷ ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান জোসে মানুয়েল বারোসোর আশা, এই চুক্তি ইউরোপের জনগণের কল্যানে বিভিন্ন পরিকল্পনা ও প্রকল্প বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় ভুমিকা পালন করবে৷ তার মতে এবার জ্বালানি নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, আন্ত:সীমান্ত অপরাধ এবং অভিবাসন প্রক্রিয়ার জটিল সমস্যাগুলো সমাধানের পথকে প্রসস্ত করবে৷

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রথমত এই চুক্তির ফলে ইউরোপ আরও গণতান্ত্রিক হয়ে উঠবে৷ এই চুক্তি কার্যকর হলে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট জাতীয় সংসদের সমান মর্যাদা পাবে৷ তবে আইন প্রনয়ণের ক্ষেত্রে জাতীয় সংসদ সবার আগে সিদ্ধান্ত নেবে৷ দ্বিতীয়ত, ইউরোপ অনেক বেশী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে৷ লিসবন চুক্তির মধ্যে এর জন্য প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷ কমিশনের গঠন থেকে শুরু করে মন্ত্রী পরিষদে ভোটাভুটির নিয়ম - অনেক ক্ষেত্রেই রদবদলের ব্যবস্থা রয়েছে৷ এই সব পরিবর্তনের মাধ্যমে ইউরোপীয় স্তরে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া অনেক দ্রুত ও কার্যকর হয়ে উঠবে৷ তৃতীয়ত, এই চুক্তির মাধ্যমে গোটা বিশ্বে ইউরোপ স্পষ্ট এক কণ্ঠ অর্জন করবে বলেই সংশ্লিষ্টদের ধারণা৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার, সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম