1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পলিথিন নিষিদ্ধ

১১ নভেম্বর ২০১২

ভারতের নতুন দিল্লির সরকার সেখানে পলিথিন ব্যবহার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ অবশ্য তিন বছর আগেও এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল৷ কিন্তু বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি৷ এবার কী হবে?

https://p.dw.com/p/16gkY
ছবি: picture alliance/WILDLIFE

সরকারের হিসেবে, দিল্লি ও এর আশেপাশের এলাকায় প্রতিদিন গড়ে এক কোটি প্লাস্টিকের ব্যাগ বা থলে ব্যবহৃত হয়৷ আর পরিবেশ বিষয়ক বেসরকারি সংস্থা ‘টক্সিকস লিংক' এর হিসেবে, দিল্লিতে প্রতি বছর আড়াই লক্ষ টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদিত হয়৷

প্লাস্টিকের এমন ব্যবহারে শহরে যেমন নোংরা পরিবেশের তৈরি হয় তেমনি গবাদিপশু পড়ে থাকা এসব পলিথিন খেয়ে ফেলে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর৷ কেননা পলিথিন উৎপাদনে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহৃত হয়ে থাকে৷ পানিতে বসবাসকারী প্রাণীর জন্যও পলিথিন খারাপ৷

এমন পরিস্থিতিতে ২০০৯  সালে একবার দিল্লিতে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে আইন করা হয়েছিল৷ কিন্তু তা বাস্তবায়নের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় সিদ্ধান্তটা কার্যকর করা যায়নি৷

তবে এবার সরকার বেশ আটঘাট বেঁধে নেমেছে বলে ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন দিল্লি সরকারের এক কর্মকর্তা প্রদীপ গুপ্ত৷

যে আইন মানবে না তার জন্য সর্বোচ্চ এক লক্ষ ভারতীয় টাকা জরিমানা বা সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ তবে চিকিৎসা কাজে পলিথিনের ব্যবহার করা যাবে৷

আগামী এক বছরের মধ্যে এ সংক্রান্ত আইন বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে বলে জানা গেছে৷

সরকারের এ সিদ্ধান্তে প্লাস্টিক ব্যাগ উৎপাদন শিল্পের সঙ্গে জড়িত প্রায় বিশ হাজার লোকের চাকরি যাবে দাবি করছেন এই খাতের সঙ্গে জড়িতরা৷

তবে পরিবেশবাদীরা বলছেন, যারা প্লাস্টিক ব্যাগ উৎপাদনের কাজ করতো তাদেরকে দিয়ে প্লাস্টিক সামগ্রী তৈরির কাজ করানো যেতে পারে৷ এভাবে ঐ লোকগুলোর চাকরি বাঁচানো যেতে পারে৷

রাজীব বেনটে নামের এক পরিবেশবাদী ডিডাব্লিউকে বলেন, ‘‘পলিথিন পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি করে৷ সরকার এটা বন্ধে রাজনৈতিক ইচ্ছা পোষণ করেছে৷ এবার তা বাস্তবায়নে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে৷''

তবে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ হলে বিপদে পড়বেন দোকানদাররা৷ কেননা পলিথিনের মতো সস্তা বিকল্প এখনো নেই৷ কাপড় বা পাটের থলে এক্ষেত্রে ব্যয়বহুল হবে বলে জানালেন রমেশ গৌড় নামে দিল্লির এক দোকানদার৷ কাগজও পলিথিনের বিকল্প হতে পারে না বলে জানান তিনি৷

প্রতিবেদন: মুরলি কৃষ্ণন/জেডএইচ

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন