1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তৃতীয় ব্রিকস সম্মেলন

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি২২ নভেম্বর ২০১৩

ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা – ব্রিকসভুক্ত এই দেশের প্রতিনিধিরা বাণিজ্য ও বিনিয়োগে প্রতিযোগিতার গুরুত্ব কতটা ও তার সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে নিজেদের মধ্যে মত-বিনিময় করছেন দু'দিনের এই সম্মেলনে৷

https://p.dw.com/p/1AM2M
BRICS 5 Gipfel in Durban http://www.flickr.com/photos/brics5/8593910682/in/photostream
আলোচনায় ব্রিকসের প্রতিনিধিরা (ফাইল ছবি)ছবি: BRICS

নতুন দিল্লিতে তৃতীয় ব্রিকস সম্মেলন

ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা – ব্রিকসভুক্ত এই পাঁচটি দেশের প্রতিনিধিরা বাণিজ্য ও বিনিয়োগে প্রতিযোগিতার গুরুত্ব কতটা ও তার সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে নিজেদের মধ্যে মত-বিনিময় করছেন দু'দিনের এই সম্মেলনে৷

ব্রিকস আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা সম্মেলন ২০১৩'-এর মূল আলোচ্য বিষয় ‘‘ব্রিকস দেশগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক নীতির প্রয়োগ ও তার সুফল৷'' সম্মেলনের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং জোর দেন প্রবৃদ্ধি, উন্নয়ন ও দারিদ্র্য মোচনের ওপর৷ এ জন্য বিদেশি প্রতিযোগিতার জন্য পাল্লা দিতে হবে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে৷ কারণ, আজকের বাজার অর্থনীতির এটাই বীজমন্ত্র৷ তবে প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে দিতে হবে কাজকর্মের স্বাধীনতা ও প্রশাসনিক স্বশাসন৷ অর্থাৎ, বেসরকারি সংস্থাগুলির সঙ্গে যুঝতে তাদের আমলাতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ মুক্ত করা জরুরি৷ তবেই আসবে ন্যায্য প্রতিযোগিতার মানসিকতা৷

BRICS 5 Summit opening held in Durban, South Africa. 27 March 2013.
ডার্বানে পঞ্চম ব্রিকস সম্মেলনছবি: BRICS

সরকারি মালিকানার অর্থ এই নয় যে, সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে প্রতিযোগিতা থেকে আড়াল করে রাখবে এবং তাদের জন্য রাখা থাকবে বাঁধা বাজার৷ সেই যুগ চলে গেছে শুরু হয়েছে ন্যায্য প্রতিযোগিতার বাজার৷ এর প্রেক্ষিতে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা – ব্রিকসভুক্ত এই পাঁচটি দেশের মধ্যে সুষ্ঠু সমন্বয় ও সহযোগিতা বাড়ানোর কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী ড. সিং৷ ব্রিকসভুক্ত দেশগুলির মধ্যে ব্রিকস উন্নয়ন ব্যাংক খোলার কথাও বলেন তিনি৷ প্রবৃদ্ধি, উন্নয়ন ও দারিদ্রমোচন ভারতের সামনে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ৷ যদিও ভারত অগ্রণী পরিষেবা রপ্তানিকারক দেশ৷ চীন যেমন তৈরি উপকরণ রপ্তানিতে বিশ্বের প্রথম সারির দেশ রাশিয়া ও ব্রাজিল যেমন কাঁচামাল রপ্তানিতে এবং দক্ষিণ আফ্রিকা গোটা আফ্রিকা মহাদেশের অনর্জিত সম্পদের বিরাট সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর মতো অবস্থায় আছে৷

ভারতের কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শচিন পাইলট তাঁর বক্তব্যে বলেন, অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতায় বিদেশি বিনিয়োগকে যুক্ত করতে পারলে অস্থির অর্থনীতিতে আসবে স্থিতি৷ বেশি প্রতিযোগিতা আর্থিক উদারিকরণের সুফল পেতে সহায়ক হবে৷ ব্রিকস আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক বাণিজ্যে শচিন পাইলট বলেন, উপযুক্ত নিয়মনীতি গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করবে৷ প্রতিযোগিতা এবং বিনিয়োগ নীতি হবে একে অপরের পরিপূরক৷ ন্যায্য প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে ব্রিকস দেশগুলির এই সম্মেলন অনুঘটকের ভূমিকা পালন করবে৷

আন্তর্জাতিক মঞ্চে ব্রিকসগোষ্ঠীর প্রভাব কতটা, সে বিষয়ে খুব একটা আশাবাদী নন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমন কল্যাণ লাহিড়ি৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ব্রিকস দেশগুলির মধ্যে মতাদর্শগত অমিল আছে৷ ভারত আর চীনের অবস্থান আলাদা৷ উভয় দেশের স্বার্থও আলাদা৷ ভারত যেভাবে আন্তঃআঞ্চলিক ধারণা গড়ে তুলতে চাইছে, সেটা চীনের ধারণার সঙ্গে তা মেলে না৷ বিদেশি প্রতিযোগিতার মুখে চীন তার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে কতটা প্রতিযোগিতার মুখে ঠেলে দেবে, তা নিয়েও সংশয় আছে৷ তবে অতি সম্প্রতি চীন আরো বেশি আর্থিক সংস্কারের দিকে ঝুঁকতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে৷ তবে চীনের ক্ষেত্রে না আঁচালে বিশ্বাস নেই৷৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা আসিয়ান গোষ্ঠীর মতো ব্রিকস কতটা প্রভাব ফেলতে পারবে, সে বিষয়ে প্রশ্ন থাকছে, বলেন অধ্যাপক লাহিড়ি৷

ভারতের কম্পিটিশন কমিশন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে প্রতিযোগিতা সংক্রান্ত এক সমঝোতা- পত্রে সই করে৷ প্রতি দু'বছর অন্তর এই সম্মেলন বসে৷ দ্বিতীয় সম্মেলন হয়েছিল ২০১১ সালে চীনে৷ ব্রিকসভুক্ত পাঁচটি দেশের মোট জনসংখ্যা ৩০০ কোটি, মোট জিডিপি বা মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন প্রায় ১৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বিদেশি মুদ্রার মজুত চার ট্রিলিয়ন ডলার৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য